০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বেতনপ্যাকেজ ‘জিনিয়াস’ মিথের বিস্তৃত প্রভাব দেখায় বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দল উদ্ভাবন করেছে নমনীয় ও টেকসই রাডার-শোষণকারী আবরণ; ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপেও টিকে থাকে উত্তর আটলান্টিক রাইট তিমির সংখ্যা বাড়ছে—বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটির পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত উপ-সাহারার ক্ষেতে উড়ে বেড়ানো ছোট বুননপাখি ‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’—এক প্রজাতির কৃষিনাশক বিস্ময়, যার সংখ্যা ১৫০ কোটিরও বেশি অডিবলে ‘হ্যারি পটার’ নতুন কণ্ঠে—হ্যারি, হারমায়োনি, রনের ভূমিকায় তরুণ ত্রয়ী বিশ্বের স্মার্টতম নগরীগুলোতে বসবাস কেমন — প্রযুক্তিনির্ভর জীবনের নতুন সংজ্ঞা মঞ্চে বুকে টেপ—কেন করছেন লর্ড, জানালেন ‘আল্ট্রাসাউন্ড’ ট্যুরে ম্যাচা চায়ের বিশ্বজোড়া উন্মাদনা—জাপানি ঐতিহ্যের মাঝে নকল পণ্য, সংকট ও সংস্কৃতির বিকৃতি প্রথমবারের মতো ডাইনোসরের পায়ে খুর দেখা গেল পেনএআইয়ের ‘অ্যাটলাস’ ব্রাউজার: গুগল ক্রোমের আধিপত্যে নতুন চ্যালেঞ্জ

হিউএনচাঙ (পর্ব-৩)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 57

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

হিউএনচাঙ ছিলেন অল্পবয়সে সংসারত্যাগী বৌদ্ধ ভিক্ষু। সংসারের সাধারণ দৈনন্দিন ব্যাপার সম্বন্ধে বা বৌদ্ধ ছাড়া অন্য (‘বিধর্মী’) সম্প্রদায় সম্বন্ধে তাঁর বিশেষ কৌতূহল বা শ্রদ্ধা ছিল না। এমন কি, হিন্দু বা জৈন মন্দির, ভাস্কর্য ইত্যাদি তিনি প্রায় সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছেন।

তাঁর ভারতে আসার এক প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলি দর্শন করা। সমগ্র ভারতে সে সময়ে অসংখ্য বৌদ্ধ সঙ্ঘারাম স্তূপ ইত্যাদি ছিল।স্তূপগুলির কতক ছিল বুদ্ধের বা তাঁর প্রধান শিষ্যদের দেহাবশেষ বা ব্যবহৃত সামগ্রীর উপর।

বেশীর ভাগই ছিল কোনো-না-কোনো বৌদ্ধ পৌরাণিক ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন।হিউএনচাঙের গ্রন্থ ও তাঁর শিষ্য হুই-লির লিখিত জীবনচরিত এ সমস্ত স্তূপ সংক্রান্ত কাহিনীগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণে ভরা। এগুলির প্রত্যেকটি, ভক্ত বৌদ্ধের কাছে মনোরম হলেও, সাধারণ পাঠকের চিত্ত বিনোদন করতে অক্ষম।

তা ছাড়া তেরো শো বছর আগে হিউএনচাঙ যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার ভিতর দিয়ে পর্যটন করেছিলেন, তা মনে রাখলে তাঁর ভ্রমণের কতকটা স্পষ্ট ছবি কল্পনা করা সম্ভব হয়।

বর্তমান গ্রন্থে, সাধারণের পাঠোপযোগী ক’রে হিউএনচাঙের ভ্রমণ- কাহিনী ও তাঁর দৃষ্ট দেশগুলির সমসাময়িক রাষ্ট্রীয় ও সাংস্কৃতিক অবস্থা, যতদূর জানা গিয়েছে, সংক্ষেপে দেওয়ার চেষ্টা করা গেল।

চলবে

হিউএনচাঙ (পর্ব-২)

হিউএনচাঙ (পর্ব-২)

জনপ্রিয় সংবাদ

ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বেতনপ্যাকেজ ‘জিনিয়াস’ মিথের বিস্তৃত প্রভাব দেখায়

হিউএনচাঙ (পর্ব-৩)

০৯:০০:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

হিউএনচাঙ ছিলেন অল্পবয়সে সংসারত্যাগী বৌদ্ধ ভিক্ষু। সংসারের সাধারণ দৈনন্দিন ব্যাপার সম্বন্ধে বা বৌদ্ধ ছাড়া অন্য (‘বিধর্মী’) সম্প্রদায় সম্বন্ধে তাঁর বিশেষ কৌতূহল বা শ্রদ্ধা ছিল না। এমন কি, হিন্দু বা জৈন মন্দির, ভাস্কর্য ইত্যাদি তিনি প্রায় সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছেন।

তাঁর ভারতে আসার এক প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলি দর্শন করা। সমগ্র ভারতে সে সময়ে অসংখ্য বৌদ্ধ সঙ্ঘারাম স্তূপ ইত্যাদি ছিল।স্তূপগুলির কতক ছিল বুদ্ধের বা তাঁর প্রধান শিষ্যদের দেহাবশেষ বা ব্যবহৃত সামগ্রীর উপর।

বেশীর ভাগই ছিল কোনো-না-কোনো বৌদ্ধ পৌরাণিক ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন।হিউএনচাঙের গ্রন্থ ও তাঁর শিষ্য হুই-লির লিখিত জীবনচরিত এ সমস্ত স্তূপ সংক্রান্ত কাহিনীগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণে ভরা। এগুলির প্রত্যেকটি, ভক্ত বৌদ্ধের কাছে মনোরম হলেও, সাধারণ পাঠকের চিত্ত বিনোদন করতে অক্ষম।

তা ছাড়া তেরো শো বছর আগে হিউএনচাঙ যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার ভিতর দিয়ে পর্যটন করেছিলেন, তা মনে রাখলে তাঁর ভ্রমণের কতকটা স্পষ্ট ছবি কল্পনা করা সম্ভব হয়।

বর্তমান গ্রন্থে, সাধারণের পাঠোপযোগী ক’রে হিউএনচাঙের ভ্রমণ- কাহিনী ও তাঁর দৃষ্ট দেশগুলির সমসাময়িক রাষ্ট্রীয় ও সাংস্কৃতিক অবস্থা, যতদূর জানা গিয়েছে, সংক্ষেপে দেওয়ার চেষ্টা করা গেল।

চলবে

হিউএনচাঙ (পর্ব-২)

হিউএনচাঙ (পর্ব-২)