প্রদীপ কুমার মজুমদার
এবার কাত্যায়ন শ্রৌতসূত্র এবং লাট্যায়ন শ্রৌতসূত্র থেকে কয়েকটি শ্লোক উদ্ধৃতি দিয়ে দেখানো হবে যে, শ্রৌতসূত্রগুলিতেও নাম সংখ্যার বহুল ব্যবহার রয়েছে। কাত্যায়ন শ্রৌতসূত্রে বলা হয়েছে-“দক্ষিণা গায়ত্রী সম্পন্ন। ব্রাহ্মনস্য”। অর্থাৎ ব্রাহ্মণের দক্ষিণা গায়ত্রী সম্পন্ন। এছানে গায়ত্রীর অর্থ ২৪, এর কারণ গায়ত্রী একটি বৈদিক ছন্দের নাম। এতে তিনটি পাদ আছে এবং প্রত্যেক পাদে আটটি করে অক্ষর আছে। অতএব ২৪ না বলে গায়ত্রী -(৩০৮) বলা হয়েছে।
ঠিক এইভাবে জগতী ৪৮ ধরা হয়েছে। কারণ জগতী ছন্দে চারটি পাদ আছে এবং প্রতিটি পাদে বারোটি করে অক্ষর আছে। লাট্রায়ন শ্রৌতসূত্রে একই শব্দে গায়ত্রী এবং জগতী শব্দ দুটি দেখতে পাওয়া যায়। এখানে বলা হয়েছে-“গায়ত্রী সম্পন্না দক্ষিণা ব্রাহ্মণো দক্ষাৎ, জগতী সম্পন্না রাজা”। অর্থাৎ ব্রাহ্মণকে গায়ত্রী সম্পন্ন দক্ষিণা দিবে এবং রাজাকে জগতী সম্পন্না দক্ষিণা দিবে।
মহাভারতে নাম সংখ্যা প্রণালীর’ব্যবহার বহুল দেখতে পাওয়া যায়। উদাহরণ- স্বরূপ মহাভারতের অনুশাসন পর্বের ১৬৭/২৭-২৮ শ্লোক দুটি তুলে ধরা যেতে পারে। এখানে ভীষ্ম যুধিষ্টিরকে বলছেন:
অষ্টপঞ্চাশতং রাত্র্যঃ শয়ানস্তাদ্য মে গতাঃ।
শরেসু নিশিতাগ্রেষু যথা বর্ষশতং তথা ।।
মাঘোহয়ং সমনুপ্রাপ্তো মাসঃ সৌম্যো যুধিষ্টির’।
ত্রিভাগাশেষং পক্ষোহয়ং শুক্রো ভবিতুমর্হতি।’
নীলকণ্ঠ সুরী এই শ্লোক দুটির ভাষ্যে বলেছেন-অষ্টপঞ্চাশতং এর অর্থ ৪২০। অষ্টপঞ্চাশতং – অষ্টপঞ্চ + অশতং ১০০ অষ্টপঞ্চ ১০০-৫৮-৪২। অবশ্য নীলকণ্ঠ সুরী কোন এক জায়গায় অষ্টপঞ্চাশতং- ৫৮ বলে মত দিয়েছেন। যাই হোক আমরা শ্লোকটিতে নামসংখ্যার ব্যবহার দেখতে পাচ্ছি সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ।
(চলবে)
Sarakhon Report 



















