০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
গ্র্যামির ডাবল মনোনয়নে কেটসআইয়ের জয়যাত্রা — বৈচিত্র্য, প্রতিভা ও সংস্কৃতির গ্লোবাল উদযাপন যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন সমাপ্তির সম্ভাবনায় ডলার স্থিতিশীল, অস্ট্রেলীয় ডলার শক্তিশালী, ইয়েন দুর্বল প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১) হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • 10

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

এই সময়ে চীনদেশে মহা যুদ্ধবিপ্লব আরম্ভ হল। চীনের সুই রাজবংশের পতন হল আর সিংহাসনের নানা দাবিদারদের মধ্যে সংঘর্ষ আরম্ভ হল। এই সুযোগে তুরুস্করাও দলে দলে চীনদেশ আক্রমণ করল। থাজবংশের নতুন সম্রাট ৬১৮ খৃস্টাব্দে সিংহাসন আরোহণ করলেন।

কিন্তু তুরুস্কদের আক্রমণ থেকে উদ্ধার করে সে সিংহাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তাঁর পুত্র থাই-চুঙকে আরও কয়েক বছর যুদ্ধ করতে হয়েছিল। ৬২৬ খৃস্টাব্দে সম্রাট থাইচুঙ, নিজে চীনের সিংহাসন আরোহণ করেন। ক্রমশ তাঁর সাম্রাজ্য পশ্চিমে কাম্পীয়ান সাগর পর্যন্ত পৌঁছেছিল / আর তাঁর সময়ে চীন এক মহা-সমৃদ্ধিশালী সাম্রাজ্য হয়ে ওঠে।

কিন্তু ৬১৪-৬১৫ খৃস্টাব্দে, হিউএনচাঙ যে সময়ে লো ইয়াঙে শাস্ত্রা- নুশীল করছিলেন, তখন যুদ্ধের হিড়িকে লো-ইয়াঙ প্রদেশ ধ্যান-ধারণার মোটেই উপযুক্ত স্থান ছিল না। অরাজকতা এতদূর বেড়ে গেল যে, প্রাদেশিক রাজধানী দস্যুদের আড্ডা হয়ে উঠল। হোনান প্রদেশ হিংস্র পশুর আবাসে পরিণত হল। লো-ইয়াঙের পথে-ঘাটে মৃতদেহ দেখা যেতে লাগল। বিচারকরা হত হলেন। পলায়ন ছাড়া বৌদ্ধ- ভিক্ষুর জীবনরক্ষার অন্য কোনো পথ রইল না।

কিন্তু কোথায় পালাবেন? হিউএনচাঙের মত নিরীহ সাধু-সন্ন্যাসীদের পক্ষে এ সময়টাই ভয়াবহ ছিল। সব লোকই যুদ্ধবিগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত। হিউএনচাঙ আর তাঁর দাদা সুচুয়ান প্রদেশের পর্বতে আশ্রয় নিতে গেলেন। কেবল এইখানেই কতকটা শাস্তি ছিল।

চলবে

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্র্যামির ডাবল মনোনয়নে কেটসআইয়ের জয়যাত্রা — বৈচিত্র্য, প্রতিভা ও সংস্কৃতির গ্লোবাল উদযাপন

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭)

০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

এই সময়ে চীনদেশে মহা যুদ্ধবিপ্লব আরম্ভ হল। চীনের সুই রাজবংশের পতন হল আর সিংহাসনের নানা দাবিদারদের মধ্যে সংঘর্ষ আরম্ভ হল। এই সুযোগে তুরুস্করাও দলে দলে চীনদেশ আক্রমণ করল। থাজবংশের নতুন সম্রাট ৬১৮ খৃস্টাব্দে সিংহাসন আরোহণ করলেন।

কিন্তু তুরুস্কদের আক্রমণ থেকে উদ্ধার করে সে সিংহাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তাঁর পুত্র থাই-চুঙকে আরও কয়েক বছর যুদ্ধ করতে হয়েছিল। ৬২৬ খৃস্টাব্দে সম্রাট থাইচুঙ, নিজে চীনের সিংহাসন আরোহণ করেন। ক্রমশ তাঁর সাম্রাজ্য পশ্চিমে কাম্পীয়ান সাগর পর্যন্ত পৌঁছেছিল / আর তাঁর সময়ে চীন এক মহা-সমৃদ্ধিশালী সাম্রাজ্য হয়ে ওঠে।

কিন্তু ৬১৪-৬১৫ খৃস্টাব্দে, হিউএনচাঙ যে সময়ে লো ইয়াঙে শাস্ত্রা- নুশীল করছিলেন, তখন যুদ্ধের হিড়িকে লো-ইয়াঙ প্রদেশ ধ্যান-ধারণার মোটেই উপযুক্ত স্থান ছিল না। অরাজকতা এতদূর বেড়ে গেল যে, প্রাদেশিক রাজধানী দস্যুদের আড্ডা হয়ে উঠল। হোনান প্রদেশ হিংস্র পশুর আবাসে পরিণত হল। লো-ইয়াঙের পথে-ঘাটে মৃতদেহ দেখা যেতে লাগল। বিচারকরা হত হলেন। পলায়ন ছাড়া বৌদ্ধ- ভিক্ষুর জীবনরক্ষার অন্য কোনো পথ রইল না।

কিন্তু কোথায় পালাবেন? হিউএনচাঙের মত নিরীহ সাধু-সন্ন্যাসীদের পক্ষে এ সময়টাই ভয়াবহ ছিল। সব লোকই যুদ্ধবিগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত। হিউএনচাঙ আর তাঁর দাদা সুচুয়ান প্রদেশের পর্বতে আশ্রয় নিতে গেলেন। কেবল এইখানেই কতকটা শাস্তি ছিল।

চলবে

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬)