০৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

৭ বছরের মধ্যে চা রপ্তানি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, এবার উৎপাদন কম

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৩২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 21

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের নবম বৃহত্তম চা উৎপাদকযা বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় ২ শতাংশ
  • বাংলাদেশ কম দামে চা সরবরাহ করে, যেখানে ভারত ও শ্রীলঙ্কার ব্র্যান্ডগুলো প্রিমিয়াম সেগমেন্টে সেবা দেয়
  • দেশের স্থানীয় চাহিদা কমে যাওয়ায় চা আমদানিরও প্রয়োজন নেই

০২৪ সালেপ্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের কারণে বাংলাদেশ গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ চা রপ্তানি করেছেযা ভারত ও শ্রীলঙ্কার মতো প্রধান রপ্তানিকারকদের তুলনায় দেশের জন্য একটি সুবিধা সৃষ্টি করেছে। প্তানিকারকরা বলেনএই বৃদ্ধির একটি মূল কারণ হলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশের চায়ের প্রতি আগ্রহ।টিটিবির তথ্য অনুযায়ীডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২৪.৫ লাখ কিলোগ্রাম চা রপ্তানি করেছেযা ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক পরিমাণ২০১৭ সালে রপ্তানি ছিল ২৫.৬ লাখ কিলোগ্রাম। ত ,বছরের রপ্তানি থেকে দেশটি ৩৮২.৫২ মিলিয়ন টাকা আয় করেছে।বেসাম্প্রতিক বছরগুলোতে চা রপ্তানি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। 

টিটিবির তথ্য অনুযায়ী২০১৮ সালে রপ্তানি ছিল ৬.৫ লাখ কিলোগ্রামযা ২০১৯ সালে কমে ৬ লাখ কিলোগ্রামে দাঁড়ায়।০২০ সালে রপ্তানি পুনরায় বেড়ে ২১.৭ লাখ কিলোগ্রামে পৌঁছায়তবে ২০২১ সালে তা কমে ৬.৮ লাখ কিলোগ্রামে নেমে আসে। রপর থেকে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে ৭.৮ লাখ কিলোগ্রাম এবং ২০২৩ সালে ১০.৪ লাখ কিলোগ্রামে পৌঁছেছে। শিল্প অভ্যন্তরীণরা সাম্প্রতিক বৃদ্ধির জন্য প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণকে কৃতিত্ব দেনকারণ বাংলাদেশ কম দামে চা সরবরাহ করেযেখানে ভারত ও শ্রীলঙ্কার ব্র্যান্ডগুলো প্রিমিয়াম সেগমেন্টে সেবা দেয়। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের নবম বৃহত্তম চা উৎপাদকযা বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় ২ শতাংশ উৎপাদন করে বলে জানানবাংলাদেশ চা অ্যাসোসিয়েশন ।

অন্যদিকেআগস্ট মাসের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ২০২৪ সালে ন্যাশনাল টি কোম্পানির অধীনে থাকা ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত চা বাগান ১০ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার ফলে চা সংগ্রহ ও উটপাদনে বাধাগ্রস্থ হয়। তবে চা বাগানের মালিকরা উৎপাদন হ্রাস সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ বাজারে কোনো ঘাটতির আশঙ্কা করছেন নাকারণ ২০২৩ সালের রেকর্ড উৎপাদনের উদ্বৃত্ত অংশ এই ঘাটতি পূরণ করতে পারে। তাদের মতেদেশের স্থানীয় চাহিদা কমে যাওয়ায় চা আমদানিরও প্রয়োজন নেই। দেশের চা অ্যাসোসিয়েশনযা বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলার বাগান মালিকদের একটি প্ল্যাটফর্মউৎপাদন হ্রাসের জন্য অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে। তারা এই উৎপাদন কমে যাবার মূল কারণ হিসেবে বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছে

৭ বছরের মধ্যে চা রপ্তানি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, এবার উৎপাদন কম

০৪:৩২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের নবম বৃহত্তম চা উৎপাদকযা বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় ২ শতাংশ
  • বাংলাদেশ কম দামে চা সরবরাহ করে, যেখানে ভারত ও শ্রীলঙ্কার ব্র্যান্ডগুলো প্রিমিয়াম সেগমেন্টে সেবা দেয়
  • দেশের স্থানীয় চাহিদা কমে যাওয়ায় চা আমদানিরও প্রয়োজন নেই

০২৪ সালেপ্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের কারণে বাংলাদেশ গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ চা রপ্তানি করেছেযা ভারত ও শ্রীলঙ্কার মতো প্রধান রপ্তানিকারকদের তুলনায় দেশের জন্য একটি সুবিধা সৃষ্টি করেছে। প্তানিকারকরা বলেনএই বৃদ্ধির একটি মূল কারণ হলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশের চায়ের প্রতি আগ্রহ।টিটিবির তথ্য অনুযায়ীডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২৪.৫ লাখ কিলোগ্রাম চা রপ্তানি করেছেযা ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক পরিমাণ২০১৭ সালে রপ্তানি ছিল ২৫.৬ লাখ কিলোগ্রাম। ত ,বছরের রপ্তানি থেকে দেশটি ৩৮২.৫২ মিলিয়ন টাকা আয় করেছে।বেসাম্প্রতিক বছরগুলোতে চা রপ্তানি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। 

টিটিবির তথ্য অনুযায়ী২০১৮ সালে রপ্তানি ছিল ৬.৫ লাখ কিলোগ্রামযা ২০১৯ সালে কমে ৬ লাখ কিলোগ্রামে দাঁড়ায়।০২০ সালে রপ্তানি পুনরায় বেড়ে ২১.৭ লাখ কিলোগ্রামে পৌঁছায়তবে ২০২১ সালে তা কমে ৬.৮ লাখ কিলোগ্রামে নেমে আসে। রপর থেকে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে ৭.৮ লাখ কিলোগ্রাম এবং ২০২৩ সালে ১০.৪ লাখ কিলোগ্রামে পৌঁছেছে। শিল্প অভ্যন্তরীণরা সাম্প্রতিক বৃদ্ধির জন্য প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণকে কৃতিত্ব দেনকারণ বাংলাদেশ কম দামে চা সরবরাহ করেযেখানে ভারত ও শ্রীলঙ্কার ব্র্যান্ডগুলো প্রিমিয়াম সেগমেন্টে সেবা দেয়। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের নবম বৃহত্তম চা উৎপাদকযা বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় ২ শতাংশ উৎপাদন করে বলে জানানবাংলাদেশ চা অ্যাসোসিয়েশন ।

অন্যদিকেআগস্ট মাসের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ২০২৪ সালে ন্যাশনাল টি কোম্পানির অধীনে থাকা ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত চা বাগান ১০ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার ফলে চা সংগ্রহ ও উটপাদনে বাধাগ্রস্থ হয়। তবে চা বাগানের মালিকরা উৎপাদন হ্রাস সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ বাজারে কোনো ঘাটতির আশঙ্কা করছেন নাকারণ ২০২৩ সালের রেকর্ড উৎপাদনের উদ্বৃত্ত অংশ এই ঘাটতি পূরণ করতে পারে। তাদের মতেদেশের স্থানীয় চাহিদা কমে যাওয়ায় চা আমদানিরও প্রয়োজন নেই। দেশের চা অ্যাসোসিয়েশনযা বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলার বাগান মালিকদের একটি প্ল্যাটফর্মউৎপাদন হ্রাসের জন্য অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে। তারা এই উৎপাদন কমে যাবার মূল কারণ হিসেবে বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছে