প্রদীপ কুমার মজুমদার
তন্ত্রী ও কণ্ঠ থেকে বড়,জ, ঋষভ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, বৈবত, নিষাদ নামে সাতটি স্বর উত্থিত হয় বলে স্বর-৭ ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।এগুলি ছাড়াও সাতের পরিবর্তে নিম্নলিখিত নাম সংখ্যাগুলি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
হয় (ঘোড়া), যতি (মুনি), মাতৃকা, মহীঘ্র, ভূঘ্র, ভয়, পদ্মগ, নগ, গিরি, অশ্বিন, অচল, লোক, অদ্রি, স্বর, ধাতু মুনি, দ্বীপ, গ্রহ, সমিধ, অগ্নি প্রভৃতি। প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন শেষের নয়টি শব্দ সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে এদের সাতটি করে জিহ্বা আছে সেই হেতু এগুলির প্রত্যেকটির পরিবর্তে সাত ধরা যেতে পারে। এ সম্পর্কে একটি সুন্দর শ্লোক দেখতে পাওয়া বায়। শ্লোকটি হচ্ছে:
“লোকানদ্রীন্ স্বরান ধাতুন্ মুনীন্ দ্বীপান্ গ্রহানপি।
সমিধঃ সপ্তসংখ্যাতাঃ সপ্তজিহ্বা হবিভুজঃ।”
আট-৮, পিঙ্গলাচার্য বলেছেন, “অষ্টৌ বসব ইতি” অর্থাৎ ‘বহু সংখ্যা দ্বারা আট বুঝিবে।’ সুতরাং বস্তু-৮ ধরা হয়ে থাকে। অমরকোষে বলা হয়েছে:
আদিত্যা বিশ্ববসবস্তুষিতা ভাস্করানিলাঃ।
মহারাজিকসাধ্যান্ট রুদ্রাশ্চ গণদেবতাঃ ॥
ক্ষীরস্বামী এই শ্লোকটির অর্থ করেছেন: “আদিত্য দ্বাদশ, বিশ্বদেব ত্রয়োদশ, বহু আট, তুষিত ষটত্রিংশৎ, আভাস্বর চতুষষ্টি, অনিল ঊনপঞ্চাশ, মহারাজক দ্বিশতষট ত্রিংশত, সাধ্য দ্বাদশ ও রুদ্র একাদশ।” পৃথিবীর আটটি দ্বার। ঐরাবত, পুণ্ডরীক, ৰামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদণ্ড, সার্বভৌম ও স্বপ্রতীক এই আটটি হাতি রক্ষা করছে বলে ইভ-৮ ধরা হয়।
(চলবে)