প্রদীপ কুমার মজুমদার
গ্রহ- ৯ প্রয়োগ করা হয়েছে গণিতসারসংগ্রহে, গো-৯ ব্যবহৃত হয়েছে ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে। এছাড়া অন্যান্য নামসংখ্যাগুলি ভারতীয় শাস্ত্রে এবং গণিতগ্রন্থে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন যে, ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে যদিও অঙ্ক গটি কিন্তু শূ্যকে বাদ দিয়ে অঙ্ক নয়টি হওয়ায় অঙ্ক-৯ ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
দশ-১০, দশের পরিবর্তে নিম্নলিখিত নাম সংখ্যগুলি ব্যবহার করা হয়। দিশ, দিক, আশা, অদুলি, পংক্তি, রাবণশির, মহাদেব প্রভৃতি। রাবণশির ব্যবহার করার পিছনে রাবণের দশটা মাথা থাকায় রাবণশির ১০ ধরা হতেন পারে।
এগার-১১, এগারোর পরিবর্তে নিম্নলিখিত নামসংখ্যাগুলি প্রয়োগ করা হয়ে থাকেঃ রুদ্র, ঈশ্বর, মৃড়, হর, ভব, বর্গ, মহাদেব, অক্ষৌহিণী, গর্ভ প্রভৃতি। “অক্ষৌহিণী” কথাটি আলবিরূণীর তালিকায় দেখতে পাওয়া যায়। গর্ভ শব্দটি সিদ্ধান্ত শিরোমণিতে দেখতে পাওয়া যায়। অন্যান্য নাম সংখ্যাগুলি বিভিন্ন কবির কবিতায় অথবা গণিতগ্রন্থের বিভিন্ন অধ্যায়ে দেখতে পাওয়া যায়।
বার-১২, ধাতু, মিত্র, অর্থমন, রুদ্র, বরুণ, সূর্য, ভগ, বিবস্বত, পূষন, সবিত্ব, তই, ও বিষ্ণু এই দ্বাদশ সূর্যের কথা আমাদের শাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সেইহেতু ইন (সূর্য)= ১২ ধরা হয়। এছাড়া ভানু, সূর্য, রবি, অর্ক, দিবাকর প্রভৃতি শব্দকেও ১২ বলে ধরা হয়।
তের- ১৩, বিশ্ব, অতিদ্বাদশ, কাম, অতিজাগতী, অঘোষ প্রভৃতিকে ১৩’র পরিবর্তে ধরা হয়। অতিদ্বাদশ শব্দটি গণিতসার সংগ্রহে বেশী ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
চৌদ্দ- ১৪, চৌদ্দটি মন্বন্তরে চৌদ্দজন ইন্দ্র ছিলেন সেইজন ইন্দ্র ১৪ ধরা হয়। অবশ্য এটির ব্যবহার পঞ্চসিদ্ধান্তিকাতেই দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া বিজ্ঞা, মনু, শত্রু, লোক প্রভৃতি শব্দ ১৪এর পরিবর্তে ধরা হয়।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৮৮)