০২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
অ্যামাজন বন বিপদে: খরা, বন উজাড় আর মানুষের চাপ মস্তিষ্কের সুরক্ষা: অ্যালকোহল কমিয়ে আনুন, কমান স্ট্রোক ও মস্তিষ্ক ক্ষতির ঝুঁকি বিশ্বের তেল সম্পদের নতুন এলাকা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আর্থিক পরামর্শকের ভূমিকা: কখন প্রয়োজন পেশাদার সহায়তা নিউইয়র্কের আকাশছোঁয়া মানবিক স্থাপনা: জেপি মরগান চেজ ভবনের নতুন দিগন্ত স্ট্যাটিনের বাইরে নতুন আশা: উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে আসছে আধুনিক ওষুধ ও জিন-সম্পাদনার যুগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) দক্ষ কর্মীরাই এখন অফিসের নতুন তারকা চীনের নৌবাহিনীতে নতুন শক্তি যোগ: ফুজিয়ান বিমানবাহী রণতরী আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন উপাদান: অ্যান্টিমনি অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণের পর ট্রাম্প-মধ্যস্থ শান্তি চুক্তি স্থগিত

হিউএনচাঙ (পর্ব-২৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 14

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙ কুচায় এক শো সঙ্ঘারাম ও পাঁচ হাজারের বেশী হীনযানী ভিক্ষু দেখেন। তিনি বলেন, ‘সব সঙ্ঘারামগুলিতেই চমৎকার কারুকার্যময় বুদ্ধমূর্তি আছে। এগুলি বহুমূল্যরত্নখচিত আর রেশমীবস্ত্রে মণ্ডিত। পর্বের দিনে এসমস্ত মৃতি রথে চড়িয়ে শোভাযাত্রা করা হয়।’ একটা সঙ্ঘারামে তিনি এত চমৎকার একটা বুদ্ধমূর্তি দেখেছিলেন যে, তিনি বলেন, ‘এটা দেবতার তৈরি।’

হিউএনচাঙের সময়ে যিনি কুচার রাজা ছিলেন, তাঁর নাম তুখারীয়ভাষায় স্বর্ণটেপ (সংস্কৃত- স্বর্ণদেব)। এ’র পিতার নাম ছিল স্বর্ণপুষ্প।স্বর্ণদেব খুব ধার্মিক বৌদ্ধ ছিলেন। তাঁর প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন মোক্ষগুপ্ত,আর মোক্ষগুপ্তের অধীনে পাঁচ শত ভিক্ষু রাজা দ্বারা প্রতিপালিত হতেন।

হিউএনচাঙের আগমনবার্তা পেয়ে রাজা প্রধান প্রধান রাজকর্মচারীআর ভিক্ষুদের সঙ্গে করে বাদ্যযন্ত্রসহকারে তাঁকে অভ্যর্থনা করে নিয়েএলেন। নগরে প্রবেশ করবার পর একজন ভিক্ষু তাঁকে এক ঝুড়ি সদ্য-ফোটা ফুল দিলেন।

সেইসব নিয়ে হিউএনচাঙ নগরের দশ-বারোটি বৌদ্ধ মন্দিরে পূজা দিলেন। প্রত্যেক মঠে বুদ্ধের প্রতিমা পূজা করবার জন্যে তাঁকে ফুল ও মদ দেওয়া হল।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-২৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-২৮)

জনপ্রিয় সংবাদ

অ্যামাজন বন বিপদে: খরা, বন উজাড় আর মানুষের চাপ

হিউএনচাঙ (পর্ব-২৯)

০৯:০০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙ কুচায় এক শো সঙ্ঘারাম ও পাঁচ হাজারের বেশী হীনযানী ভিক্ষু দেখেন। তিনি বলেন, ‘সব সঙ্ঘারামগুলিতেই চমৎকার কারুকার্যময় বুদ্ধমূর্তি আছে। এগুলি বহুমূল্যরত্নখচিত আর রেশমীবস্ত্রে মণ্ডিত। পর্বের দিনে এসমস্ত মৃতি রথে চড়িয়ে শোভাযাত্রা করা হয়।’ একটা সঙ্ঘারামে তিনি এত চমৎকার একটা বুদ্ধমূর্তি দেখেছিলেন যে, তিনি বলেন, ‘এটা দেবতার তৈরি।’

হিউএনচাঙের সময়ে যিনি কুচার রাজা ছিলেন, তাঁর নাম তুখারীয়ভাষায় স্বর্ণটেপ (সংস্কৃত- স্বর্ণদেব)। এ’র পিতার নাম ছিল স্বর্ণপুষ্প।স্বর্ণদেব খুব ধার্মিক বৌদ্ধ ছিলেন। তাঁর প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন মোক্ষগুপ্ত,আর মোক্ষগুপ্তের অধীনে পাঁচ শত ভিক্ষু রাজা দ্বারা প্রতিপালিত হতেন।

হিউএনচাঙের আগমনবার্তা পেয়ে রাজা প্রধান প্রধান রাজকর্মচারীআর ভিক্ষুদের সঙ্গে করে বাদ্যযন্ত্রসহকারে তাঁকে অভ্যর্থনা করে নিয়েএলেন। নগরে প্রবেশ করবার পর একজন ভিক্ষু তাঁকে এক ঝুড়ি সদ্য-ফোটা ফুল দিলেন।

সেইসব নিয়ে হিউএনচাঙ নগরের দশ-বারোটি বৌদ্ধ মন্দিরে পূজা দিলেন। প্রত্যেক মঠে বুদ্ধের প্রতিমা পূজা করবার জন্যে তাঁকে ফুল ও মদ দেওয়া হল।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-২৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-২৮)