প্রদীপ কুমার মজুমদার
পনের-১৫; তিথি, দিন, অছন, পক্ষ প্রভৃতি নামসংখ্যা ১৫’র পরিবর্তে ধরা হয়।
যোল-১৬, নৃপ, ভূগ, ভূপতি, অষ্টি, কলা প্রভৃতি নামসংখ্যা যোল’র পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। মকত্ত, হুহোত, পৌরব, শিবি, দাশরথি, রাম, ভগীরথী, দিলীপ, মান্ধাতা, যযাতি, অম্বরীষ, শশবিন্দু, গয়, রন্তিদেব, ভরত, পৃথু ও পরশুরাম এই ১৬ জন রাজার উপাখ্যান যুধিষ্ঠিরকে ব্যাসদেব শুনিয়েছিলেন। সেইথেকে নৃপ-১৬ বহু গ্রন্থে ধরা হচ্ছে।
সতের-১৭, সতেরোর পরিবর্তে অত্যষ্টি, মৈত্র, ঘন প্রভৃতি নাম সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। অবশ্য, পুরাণ প্রভৃতিতে ধৃতি-১৭ বলা হয়েছে।
উনিশ- ১৯, অতিবৃতি প্রভৃতি।
কুড়ি-২০, নখ, কৃতি।
একুশ- ২১, স্বর্গ, অবশ্য শ্রুতিতে আদিত্য- ২১ ধরা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে “এক বিংশো বা ইতোইসাবাদিত্যঃ অর্থাৎ এই হেতু আদিত্য একবিংশ। পণ্ডিতেরা এই হেতুটি নির্দিষ্ট করে গেছেন। তাঁরা বলেছেন “দ্বাদশমাসাঃ পঞ্চত্তবস্তুর ইমে লোকা অসবাদিত্য একবিংশঃ”। অর্থাৎ দ্বাদশ মাস, পঞ্চঋতু, এই তিন লোক এবং ঐ আদিত্য-এইরূপে আদিত্য একবিংশ।
বাইশ-২২, আকৃতি প্রভৃতি নামসংখ্যা
তেইশ- ২৩, বিকৃতি প্রভৃতি নামসংখ্যা।
চব্বিশ- ২৪, জিন; যেহেতু জৈন তীর্থঙ্কর চব্বিশজন ছিলেন সেইহেতু জিন=২৪ ধরা হয়।
(চলবে)