ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
সামাজিক উৎসব পর্বর প্রতি সুবিচার করতে হলে পেরুর আন্দেস ক্রিসমাস-এর কথা উল্লেখ করতেই হয়। আন্দেস ক্রিসমাসে যীশুর জন্মদিবস পালন করা হয় এবং এই উৎসবের মধ্যে সামগ্রিকভাবে পেরু শহরের ভাবমূর্তি, ভাবানুষঙ্গ মিশে থাকে।
এই অনুষ্ঠানে খাবার-এর নানা আয়োজন থাকে। এই সঙ্গে শৈল্পিক কাজ-এর নিদর্শনও পাওয়া যায়। এইসব শিল্পকর্মের মধ্যে থাকে একটি আলাবাসটার মার্বেল। যাকে হুয়ামাংগা (Huamanga)-ও বলা হয়। হস্তশিল্পীরা এই সময় গির্জার তাক বানিয়ে তার মধ্যে যীশুর মূর্তিও বানায়। এই ধরনের মূর্তির মধ্যে মানুষের শরীর থাকে, থাকে প্রাণীর প্রতিকৃতি।
এছাড়া শিল্পীরা তাদের কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রাক কলম্বীয় দেবতা, তারা, পাহাড়, পর্বত, হ্রদ এর মত বিষয় তাদের কর্মদক্ষতায় প্রকাশ করে। এই সঙ্গে থাকে বাঁকা লাউ-এর এক কায়দা করা কাজ, যাকে ইনকারা খোদাই করা বোকা বলেও ডাকে।
ইনকা সমাজের সামাজিক উৎসব সময়, সম্পদ, অর্থনীতি, রাজনীতির টানাপোড়েনে এখন অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। তবু একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে ইনকা জনগোষ্ঠী তাঁদের মূল সংস্কৃতি ও তার ঐতিহ্যকে এখনো অক্ষুণ্ণ রাখার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
(চলবে)