১২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আর্থিক পরামর্শকের ভূমিকা: কখন প্রয়োজন পেশাদার সহায়তা নিউইয়র্কের আকাশছোঁয়া মানবিক স্থাপনা: জেপি মরগান চেজ ভবনের নতুন দিগন্ত স্ট্যাটিনের বাইরে নতুন আশা: উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে আসছে আধুনিক ওষুধ ও জিন-সম্পাদনার যুগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) দক্ষ কর্মীরাই এখন অফিসের নতুন তারকা চীনের নৌবাহিনীতে নতুন শক্তি যোগ: ফুজিয়ান বিমানবাহী রণতরী আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন উপাদান: অ্যান্টিমনি অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণের পর ট্রাম্প-মধ্যস্থ শান্তি চুক্তি স্থগিত ভারতের ই-স্কুটার নির্মাতা এথার এনার্জির বিক্রি বেড়ে লোকসান কমল ভারতের ভোডাফোন আইডিয়ার ক্ষতি প্রত্যাশার চেয়ে কম, প্রিমিয়াম প্ল্যান গ্রাহক বাড়ায় আয় বৃদ্ধি জাতিসংঘে শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে প্রশ্ন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৬)

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 58

প্রদীপ কুমার মজুমদার

‘ প্রথম বর্গ ও অবর্গ স্থানের জন্য ‘অ’ ব্যবহার করেছেন। দ্বিতীয় বর্গ ও অবর্গ স্থানের জন্য ‘ই’ বর্ণ ব্যবহার করেছেন। এইভাবে অন্যান্য স্বরবর্ণের ব্যবহার আর্যভট করেছেন।

অর্থাৎ একক, দশক অ; শতক, সহস্রকই; অযুত, লক্ষ-উ; নিযুত, কোটি-স্ক; অর্বুদ, বৃন্দ; খর্ব, নিখর্ব-এ, মহাপদ্ম, শঙ্খ-ঐ; সমুদ্র, অন্ত-ও; মধ্য, পরার্ধ ঔ। আর্যভটের মতে অসম্পৃক্ত স্বরবর্ণ কোন সংখ্যা খ্যাপন না করলেও কোন ব্যঞ্জণবর্ণে সম্পৃক্ত হলে স্বরবর্ণটি নিজের দিকে টেনে নেয়। কিন্তু ব্যঞ্জনবোধিত অঙ্কটি কোথায় বসবে? এ সম্পর্কে তিনি বর্গ ও অবর্গের সংজ্ঞা দিয়ে কোথায় বসবে এবং কোথায় বসবে না সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলেছেন-

বর্গাক্ষরাণি বর্গৈহবর্গৈহবর্গাক্ষরাণি কাৎ এমৌ যঃ।
খ দ্বিনবকে স্বরা নব বর্গেহবর্গে নবান্ত্যবর্গে বা।

অর্থাৎ ক থেকে বর্গাক্ষরবর্গ (স্থান), (য থেকে) অবর্গাক্ষর অবর্গ (স্থানে বসবে যাতে) ও ওম মিলে য (হয়)। নয়টি বর্গ ও নয়টি অবর্গ (মিলে) শূন্যোপলক্ষিত আঠারটি স্থানে স্বরবর্ণ থাকবে। পরের স্থানগুলি এই প্রকার।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৫)

জনপ্রিয় সংবাদ

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আর্থিক পরামর্শকের ভূমিকা: কখন প্রয়োজন পেশাদার সহায়তা

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৬)

০৫:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

‘ প্রথম বর্গ ও অবর্গ স্থানের জন্য ‘অ’ ব্যবহার করেছেন। দ্বিতীয় বর্গ ও অবর্গ স্থানের জন্য ‘ই’ বর্ণ ব্যবহার করেছেন। এইভাবে অন্যান্য স্বরবর্ণের ব্যবহার আর্যভট করেছেন।

অর্থাৎ একক, দশক অ; শতক, সহস্রকই; অযুত, লক্ষ-উ; নিযুত, কোটি-স্ক; অর্বুদ, বৃন্দ; খর্ব, নিখর্ব-এ, মহাপদ্ম, শঙ্খ-ঐ; সমুদ্র, অন্ত-ও; মধ্য, পরার্ধ ঔ। আর্যভটের মতে অসম্পৃক্ত স্বরবর্ণ কোন সংখ্যা খ্যাপন না করলেও কোন ব্যঞ্জণবর্ণে সম্পৃক্ত হলে স্বরবর্ণটি নিজের দিকে টেনে নেয়। কিন্তু ব্যঞ্জনবোধিত অঙ্কটি কোথায় বসবে? এ সম্পর্কে তিনি বর্গ ও অবর্গের সংজ্ঞা দিয়ে কোথায় বসবে এবং কোথায় বসবে না সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলেছেন-

বর্গাক্ষরাণি বর্গৈহবর্গৈহবর্গাক্ষরাণি কাৎ এমৌ যঃ।
খ দ্বিনবকে স্বরা নব বর্গেহবর্গে নবান্ত্যবর্গে বা।

অর্থাৎ ক থেকে বর্গাক্ষরবর্গ (স্থান), (য থেকে) অবর্গাক্ষর অবর্গ (স্থানে বসবে যাতে) ও ওম মিলে য (হয়)। নয়টি বর্গ ও নয়টি অবর্গ (মিলে) শূন্যোপলক্ষিত আঠারটি স্থানে স্বরবর্ণ থাকবে। পরের স্থানগুলি এই প্রকার।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৫)