ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
মাজুপিঙ্গু (Machu Picchu)
মাচ্চুপিচ্চু কেবল ইনকা সভ্যতার মধ্যেই একটি পরিচিত নাম নয়। ইনকা সভ্যতার ধ্বংসচিহ্ন হিসেবে সারা পৃথিবীর এক ঐতিহ্যপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
এর ঐতিহ্য, স্থানিক গাম্ভীর্য, সৌন্দর্য চিলির নোবেলজয়ী কবি পাবলো নেরুদার কলমেও ধরা পড়েছে। মাচ্চুপিচ্চুকে দক্ষিণ মধ্য পেরুর এক পাহাড়ি শহরও বলা যায়। উঁচু পাহাড়ের কোলে এই চারপাশে-প্রসারিত লম্বা পাহাড়ি স্প্যানিশ শাসকরা এর সন্ধান পায়নি। ১৯১১ সালে আমেরিকান অভিযাত্রী হিরাম বিংহাম এই মাজুপিচ্ছ আবিষ্কার করেন।
এই ধ্বংস্তূপের মধ্যে পাওয়া গেছে মন্দির, প্রাসাদ বড় বড় সিঁড়ি, সৌর ঘড়ি। এর মধ্যে একটা ছোট পাহাড় সংরন্ধমন্দির, সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে একটা ছোট পাহাড় সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। এর আ ছাউনি দিয়ে তৈরি। এরই পেছনে রয়েছে একটি বাঁকানো পর্বত যাকে কার্যত একটা ছোট বাড়ি বলা যায়। এ
খানে মৃতদের শরীর দিয়ে মমি তৈরি করা হত বলে অনুমান করা হয়। মন্দিরের ভেতরে পাওয়া গেছে একটি শহিদস্তম্ভ এবং একটি জানালা। এই জানালাটি সর্প জানালা (Serpent window) নামে পরিচিত। মন্দিরের নীচে একটি কুলুঙ্গি দিয়ে বাঁকানো একটি মিনার আছে। এখানে বেশ কয়েকটি মমির সন্ধান পাওয়া গেছে।
(চলবে)
ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫৯)