প্রদীপ কুমার মজুমদার
প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন আর্যভট অক্ষর সংখ্য। প্রণালীর জন্য পাণিণিকে অনুসরণ করেছেন। অবশ্য উভয়েই আবার শিবসূত্রের কাছে ঋণী। ঐতিহাসিকেরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে গবেষণা করে বলেছেন যে স্থানীয়মান তত্ত্ব ও দশাংক সংখ্যা প্রচলিত হবার অনেক পরে ভারতবর্ষে অক্ষরসংখ্যা প্রণালী প্রচলিত হয়েছিল।
তাহলে কেন ভারতীয়রা দশমিক প্রণালী বাদ দিয়ে অক্ষর সংখ্যা প্রণালীর ব্যবহার করেছিলেন? এর পিছনে ঐতিহাসিকেরা নানা যুক্তি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য যুক্তি তুলে ধরা হোল।
১) অক্ষর সংখ্যা প্রণালীর সাহায্যে বড় সংখ্যাকে ছোট করে প্রকাশ করা যায়।
২) এই প্রণালীতে যে সংখ্যা খ্যাপন করা যায় সেই একই সংখ্যা ইচ্ছামত নানা উপায়ে প্রকাশ করে ছন্দোপোযোগী করা যায়।
৩) দশমিক প্রণালী মতে লিখিত সংখ্যার অঙ্কচিহ্নের স্থান বিনিময় করলে সংখ্যাটি বিকৃত হয়। কিন্তু অক্ষর সংখ্যা প্রণালীতে লিখে স্থান পরিবর্তন করলেও সংখ্যাটি ঠিক থাকে। যেমন গকি ও কিগ।
প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন এই প্রণালী সংখ্যা খ্যাপনে সুবিধা যেমন আছে সেরূপ অসুবিধাও আছে।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৯)