মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন

রোজা শুরুর পূর্ব মুহর্তেই বাজারে সয়াবিনের তীব্র সংকট, বেড়েছে অন্য পণ্যের মূল্য

  • Update Time : রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫, ৪.৩৬ পিএম

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজার এবং সুপারশপগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে
  • ব্রয়লার মুরগির দাম ২১০ টাকা কেজি এবং সোনালি মুরগির দাম ৩৬০-৩৭০ টাকা কেজি
  • কোম্পানিগুলো থেকে পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ না পাওয়াই সংকটের প্রধান কারণ
  • সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রমজানের জন্য পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ রয়েছে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে

মজান শুরুর আগেই গতকাল দেশের বিভিন্ন বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন যে অনেক দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেও মূল্য অনেক বেশি। ঢাকার মোহাম্মদপুর, মগবাজার, বনশ্রী, মিরপুর, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার সুপারশপ ও খুচরা দোকানে তেল নেই বললেই চলে। কিছু দোকানে এক লিটারের বোতল মিললেও তা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

তেলের সংকট ও ভোগান্তি:

  • সুপারশপগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
  • খোলা তেলের চাহিদা বেড়ে গেছে।
  • অনেক দোকান তেল বিক্রির জন্য ক্রেতাদের অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করছে।

সবজির দাম দ্বিগুণমাংসের মূল্যও ঊর্ধ্বমুখী

রমজান উপলক্ষে শুধু তেল নয়, অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দামও বেড়েছে।

সবজি:

  • শসা ও বেগুনের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
  • কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সবজির দাম বাড়তি।
  • বিক্রেতারা বলছেন, রমজান যত এগিয়ে আসবে, দাম আরও বাড়তে পারে।

আমিষের দাম:

  • ব্রয়লার মুরগির দাম ২১০ টাকা কেজি এবং সোনালি মুরগির দাম ৩৬০-৩৭০ টাকা কেজি।
  • গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১৩০০ টাকা কেজি।
  • মুরগির ডিমের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও হাঁসের ডিমের দাম বেশি।

সরকারের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতা

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রমজানের জন্য পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ রয়েছে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে তেল, ছোলা, খেজুরসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে। তবে বাস্তবে বাজারে সেই প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

বিক্রেতাদের ভাষ্য

বিভিন্ন বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরবরাহ কম থাকায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। গুলশানের এক সুপারশপের বিক্রয়কর্মী জানান, দিনে তেল মজুদ থাকলেও রাতের দিকে তা ফুরিয়ে যায়। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানিগুলো থেকে পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ না পাওয়াই সংকটের প্রধান কারণ।

সংক্ষেপে মূল বিষয়:

  • রমজানের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।
  • সয়াবিন তেলের সরবরাহ কম, দাম বেশি।
  • সবজি ও মাংসের দাম বেড়ে ক্রেতাদের ভোগান্তি বেড়েছে।
  • সরকার আশ্বাস দিলেও বাজারে সংকটের সমাধান দেখা যাচ্ছে না।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ভোক্তাদের দুর্ভোগ অব্যাহত থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024