০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কোটার সিদ্ধান্ত জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে – শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদ

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • 18

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা অভিযোগ করেন যে, সরকার স্কুল-কলেজে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য যে কোটা সংরক্ষণ করছে, তা মূলত জুলাই অভ্যুত্থানের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী।

কোটার ঘোষণা

  • সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মোট আসনের ৫ শতাংশ কোটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সন্তানদের জন্য সংরক্ষণ করেছে।
  • শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।

চেতনার পরিপন্থী বলে অভিযোগ

  • বিন ইয়ামিন মোল্লার ভাষ্য অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানের মূল আদর্শ ছিল সাম্য ও অধিকারের প্রতিষ্ঠা
  • এই কোটা ব্যবস্থা তিনি ওই আদর্শের বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন।

কোটার বাতিলের দাবি এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণ

  • সংবাদ সম্মেলনে কোটা বাতিলের দাবি তোলার পাশাপাশি, নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
  • তাঁর মতে, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসনের জন্য এই ক্ষতিপূরণ অপরিহার্য

প্রথম কোটা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে মতামত

  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগে প্রথম যে ছাত্র কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছিল, সেটিকে সেসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব হিসেবে দেখানো হয়।
  • পরে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে একাধিক ছাত্র সংগঠনের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম থাকলেও, অংশগ্রহণকারী অনেক নেতা তাদের নিজ নিজ সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হন।

সমন্বয়ক কোটা ও নতুন সংগঠন প্রসঙ্গ

  • সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, পরে বিভিন্ন কমিশন বা সংস্কার বোর্ডে সমন্বয়ক কোটা পদ্ধতি চালু হয়।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন নিষিদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হলেও, যারা নিষিদ্ধ করেছিল, তারাই পরবর্তীতে নতুন ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে যুক্ত হন বলে অভিযোগ উঠে আসে।

নেতৃত্ব ও অনিয়মের অভিযোগ

  • সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, সমন্বয়ক কোটা ব্যবহার করে বড় পদে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
  • “মোংলা বন্দরের কর্মীও প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন, এমনকি চাঁদাবাজির অভিযোগও উঠছে”— এমন মন্তব্যও পাওয়া যায়।

সরকার ও কোটা পুনর্বহাল নিয়ে মন্তব্য

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক বলেন, যারা একসময় কোটা পদ্ধতিকে সমাধিস্থ করেছিলএখন তারাই কোটা পুনর্বহাল করছে।
  • তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা কোটা নিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরাও চাই নাআবার একই খেলায় আপনি ব্যর্থ হোন।

সংক্ষেপ

এই সংবাদ সম্মেলনে মূলত সরকারঘোষিত ৫ শতাংশ কোটা নিয়ে আলোচনা হয়, যা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী বলে অভিহিত করা হয়। পাশাপাশি নিহত ও আহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি উঠে আসে। ছাত্ররাজনীতি, কোটা ব্যবস্থা এবং ক্ষমতার বিন্যাস সম্পর্কে নানা আলোচনা ও সমালোচনাও উত্থাপন করেন বাংলাদেশ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের নেতারা।

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৮)

কোটার সিদ্ধান্ত জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে – শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদ

০৩:১৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা অভিযোগ করেন যে, সরকার স্কুল-কলেজে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য যে কোটা সংরক্ষণ করছে, তা মূলত জুলাই অভ্যুত্থানের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী।

কোটার ঘোষণা

  • সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মোট আসনের ৫ শতাংশ কোটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সন্তানদের জন্য সংরক্ষণ করেছে।
  • শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।

চেতনার পরিপন্থী বলে অভিযোগ

  • বিন ইয়ামিন মোল্লার ভাষ্য অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানের মূল আদর্শ ছিল সাম্য ও অধিকারের প্রতিষ্ঠা
  • এই কোটা ব্যবস্থা তিনি ওই আদর্শের বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন।

কোটার বাতিলের দাবি এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণ

  • সংবাদ সম্মেলনে কোটা বাতিলের দাবি তোলার পাশাপাশি, নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
  • তাঁর মতে, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসনের জন্য এই ক্ষতিপূরণ অপরিহার্য

প্রথম কোটা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে মতামত

  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগে প্রথম যে ছাত্র কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছিল, সেটিকে সেসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব হিসেবে দেখানো হয়।
  • পরে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে একাধিক ছাত্র সংগঠনের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম থাকলেও, অংশগ্রহণকারী অনেক নেতা তাদের নিজ নিজ সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হন।

সমন্বয়ক কোটা ও নতুন সংগঠন প্রসঙ্গ

  • সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, পরে বিভিন্ন কমিশন বা সংস্কার বোর্ডে সমন্বয়ক কোটা পদ্ধতি চালু হয়।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন নিষিদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হলেও, যারা নিষিদ্ধ করেছিল, তারাই পরবর্তীতে নতুন ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে যুক্ত হন বলে অভিযোগ উঠে আসে।

নেতৃত্ব ও অনিয়মের অভিযোগ

  • সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, সমন্বয়ক কোটা ব্যবহার করে বড় পদে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
  • “মোংলা বন্দরের কর্মীও প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন, এমনকি চাঁদাবাজির অভিযোগও উঠছে”— এমন মন্তব্যও পাওয়া যায়।

সরকার ও কোটা পুনর্বহাল নিয়ে মন্তব্য

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক বলেন, যারা একসময় কোটা পদ্ধতিকে সমাধিস্থ করেছিলএখন তারাই কোটা পুনর্বহাল করছে।
  • তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা কোটা নিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরাও চাই নাআবার একই খেলায় আপনি ব্যর্থ হোন।

সংক্ষেপ

এই সংবাদ সম্মেলনে মূলত সরকারঘোষিত ৫ শতাংশ কোটা নিয়ে আলোচনা হয়, যা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী বলে অভিহিত করা হয়। পাশাপাশি নিহত ও আহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি উঠে আসে। ছাত্ররাজনীতি, কোটা ব্যবস্থা এবং ক্ষমতার বিন্যাস সম্পর্কে নানা আলোচনা ও সমালোচনাও উত্থাপন করেন বাংলাদেশ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের নেতারা।