সারাক্ষণ ডেস্ক
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কে একটি একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের চামচের ওজনের সমপরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে। এই ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণাগুলো মূলত খাদ্য প্যাকেজিং, বোতলজাত পানি এবং এমনকি আমরা যে বাতাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি, সেখান থেকেও আসে। উদ্বেগজনক হারে এগুলো মস্তিষ্কে জমা হচ্ছে। ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মানব মস্তিষ্কে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ ৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কে এর উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করছে।

কীভাবে মাইক্রোপ্লাস্টিকের সংস্পর্শ কমানো যায়
মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রধানত বোতলজাত পানি, প্লাস্টিকের খাদ্য পাত্র এবং এমনকি টি-ব্যাগের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। সংক্রমণ কমাতে ফিল্টার করা কলের পানি পান করা, কাচ বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার করা এবং অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়ানো যেতে পারে। এছাড়া, বাতাসের মাধ্যমে প্রবেশ করা মাইক্রোপ্লাস্টিক কমাতে HEPA এয়ার ফিল্টার ব্যবহার করা সহায়ক হতে পারে।
মাইক্রোপ্লাস্টিক কি মস্তিষ্ক থেকে অপসারণ করা সম্ভব?

বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন যে শরীর কীভাবে মাইক্রোপ্লাস্টিককে দূর করে, তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘাম, মূত্র বা মলের মাধ্যমে এগুলো নির্গত হতে পারে। এই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন, তবে এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা মানুষের সংস্পর্শ যতটা সম্ভব কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।
Sarakhon Report 



















