০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমারের সামরিক নেতা বৈশ্বিক বিচ্ছিন্নতার মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছেন

  • Sarakhon Report
  • ০১:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • 20

সারাক্ষণ ডেস্ক 

মিয়ানমারের সামরিক প্রধান রাশিয়া সফরে গেছেন, যেখানে তিনি তার সরকারের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার মধ্যে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাইছেন। এই সফর মিয়ানমারের পশ্চিমা শক্তিগুলোর পরিবর্তে রাশিয়ার মতো মিত্রদের প্রতি কৌশলগত ঝোঁককে স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে।

সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তারের আলোচনা

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় ছিল সামরিক সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়ানো। রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমারের জন্য প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ এবং উভয় পক্ষই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে, যেখানে মিয়ানমার পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন পথ খুঁজছে। রাশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মিয়ানমারকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

পশ্চিমা বিশ্বের পরিবর্তে নতুন মিত্রের দিকে ঝোঁক

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমার দেশটির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে জর্জরিত রয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো যখন ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, তখন জান্তা সরকার সামরিক সহায়তা ও অর্থনৈতিক চ্যানেল বজায় রাখতে রাশিয়ার মতো মিত্রদের দিকে ঝুঁকছে। এই পদক্ষেপ মিয়ানমারের বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা দেশটিকে রাশিয়া ও অন্যান্য অ-পশ্চিমা শক্তিগুলোর আরও কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে।

মিয়ানমারের সামরিক নেতা বৈশ্বিক বিচ্ছিন্নতার মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছেন

০১:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক 

মিয়ানমারের সামরিক প্রধান রাশিয়া সফরে গেছেন, যেখানে তিনি তার সরকারের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার মধ্যে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাইছেন। এই সফর মিয়ানমারের পশ্চিমা শক্তিগুলোর পরিবর্তে রাশিয়ার মতো মিত্রদের প্রতি কৌশলগত ঝোঁককে স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে।

সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তারের আলোচনা

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় ছিল সামরিক সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়ানো। রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমারের জন্য প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ এবং উভয় পক্ষই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে, যেখানে মিয়ানমার পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন পথ খুঁজছে। রাশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মিয়ানমারকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

পশ্চিমা বিশ্বের পরিবর্তে নতুন মিত্রের দিকে ঝোঁক

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমার দেশটির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে জর্জরিত রয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো যখন ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, তখন জান্তা সরকার সামরিক সহায়তা ও অর্থনৈতিক চ্যানেল বজায় রাখতে রাশিয়ার মতো মিত্রদের দিকে ঝুঁকছে। এই পদক্ষেপ মিয়ানমারের বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা দেশটিকে রাশিয়া ও অন্যান্য অ-পশ্চিমা শক্তিগুলোর আরও কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে।