সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে, এবং ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশিত বিক্রি করতে পারছেন না
- কাপড়ের দাম বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন, কারণ এটি বিক্রয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে
- উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং ডলারের ওঠানামার কারণে কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেড়েছে
- ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ঈদের নিকটবর্তী সময়ে ক্রেতা সংখ্যা বাড়বে এবং বিক্রয় পুনরায় উন্নতির দিকে যাবে
পুরাতন ঢাকার ইসলামপুর – দেশের অন্যতম প্রধান পাইকারি কাপড় বাজার – ঈদের আগের দিনগুলোতে অনান্য বছর ব্যবসায়ীদের আকর্ষণ করলেও, সাম্প্রতিক দাম বৃদ্ধির কারণে বিক্রয়ে কমতি দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
১. ব্যবসায়িক প্রস্তুতি ও বাজারের বিন্যাস
• ঈদের প্রস্তুতির আগমন:
রোজা শুরুর পর দেশজুড়ে ব্যবসায়ী ঈদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাপড় যেমন থান কাপড়, পাঞ্জাবি, শাড়ি, লুঙ্গি, সালোয়ার কামিজ, থ্রি পিস ও বোরকা সংগ্রহ করতে এখানে আসেন।
• বাজারের বিন্যাস:
মূল সড়কের শুরু ও শেষ অংশে শাড়ির দোকান থাকলেও, মাঝামাঝি দোকানগুলোতে চাদর, থ্রি পিস, ভয়েল, পপলিন এবং মার্কিন থান কাপড়ের বিক্রয় হয়। পাশাপাশি আশপাশের লেনগুলো (যেমন জিএল গার্থ লেন ও আশেক লেন) পাইকারি কাপড়ের জন্য বিখ্যাত।

২. দাম বৃদ্ধির প্রভাব ও বিক্রয়ের অবস্থা
• দাম বৃদ্ধির কারণ:
উৎপাদন খরচ বাড়ার পাশাপাশি ডলারের ওঠানামার ফলে কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি হয়ে গেছে।
• ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতা:
o অনেক ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, রোজার এক সপ্তাহ পার হওয়ার পরও আগের মতো ক্রেতা জমেনি।
o বিক্রয় চললেও ‘ঈদের মত’ সেই পরিবশে ও বিক্রির হাওয়া পাওয়া যাচ্ছে না, এবং পাইকারি ক্রেতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
o ক্রেতারা মূলত দাম জিজ্ঞাসার জন্য আসছেন; কেনার ব্যাপারে আগ্রহ কম প্রকাশ করছেন।

৩. বিক্রয় পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
• বর্তমান অবস্থা:
ইসলামপুরের মূল রাস্তায় কাপড়ের বান্ডেল ঠেলানোর দৃশ্য এখনও দেখা যায়, তবে অনান্য বছরের তুলনায় ঈদের আগের ভিড় কম। স্থানীয় দোকানগুলোর মধ্যে কিছুতেই সুতি কাপড়ের উল্লেখ পাওয়া গেলেও, পাইকারি ক্রেতা আগমনের হার কম।
• ভবিষ্যতের প্রত্যাশা:
o অনেক ব্যবসায়ী আশা করছেন, ঈদের নিকটবর্তী সময়ে ক্রেতা সংখ্যা বাড়বে এবং বিক্রয় পুনরায় উন্নতির পথে যাবে।

o নতুন ডিজাইনের কালেকশন বাজারে আনার মাধ্যমে বিক্রয় বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
o শেষ মুহূর্তে পাঞ্জাবি ও থ্রি পিসের চাহিদা বাড়তে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে এই বছরের ব্যবসায়িক মন্দা স্পষ্ট।
উপসংহার:
ইসলামপুরের পাইকারি কাপড় বাজারে উৎপাদন খরচ ও ডলারের ওঠাপড়ার কারণে কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে বিক্রয় কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতি পূর্বের তুলনায় ভারসাম্যহীন, তবে ঈদের আগের দিনগুলোতে বিক্রয়ের উন্নতি হওয়ার আশাবাদ রয়েছে।
Sarakhon Report 


















