সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
ঈদ ও নতুন জুতার ঐতিহ্য
ঈদ মানেই নতুন পোশাকের পাশাপাশি নতুন জুতাও কেনার ধুম। প্রতিবছর রমজানের প্রথম থেকেই রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড, মগবাজার, মৌচাকসহ বিভিন্ন বাজারে বাটা, অ্যাপেক্স, বে, জেনিস, দীপালী, লিবার্টি, সাম্পান ও খড়মের মতো ব্র্যান্ডের পাশাপাশি নন-ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। রমজানের মাঝামাঝি সময় এ ভিড় আরও বেড়ে যায়।
তবে এবার পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। রমজানের মাঝপথেও জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
বিক্রেতাদের হতাশা: বেচাকেনার অবস্থা
বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতারা দোকানে এলেও আগের মতো কেনাকাটা করছেন না।
বিক্রির তুলনামূলক চিত্র:
অনেক বিক্রেতা আশা করছেন, শেষের দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
বিক্রি কমার কারণ
মৌচাক মার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোডের দোকানিরা জানান, এবারের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা।
মূল কারণসমূহ:
অর্থনৈতিক মন্দা: মানুষের কেনাকাটার সামর্থ্য কমেছে, তাই প্রয়োজনীয় কেনাকাটার দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আগেভাগে কেনাকাটা: অনেকেই রমজানের শুরুর দিকেই কেনাকাটা শেষ করেছেন, তাই মাঝামাঝি সময়ে বাজার ফাঁকা।
স্কুল-কলেজ বন্ধ: শিক্ষার্থীদের ছুটি থাকায় অনেকেই ঢাকায় নেই, ফলে ক্রেতা সংখ্যা কমেছে।
এক দোকান মালিক জানান, অন্য বছরে প্রতিদিন ৫০-৭০ হাজার টাকার জুতা বিক্রি হতো, এখন সেটা ৫ হাজার টাকাতেও পৌঁছায়নি।
ক্রেতাদের মতামত
কিছু ক্রেতা আবার সাধ্যের মধ্যে মানসম্মত জুতা কিনতে এসেছেন।
শিক্ষার্থী শারমিন জুলি: “আমরা সবাই কাল বাড়ি চলে যাব, তাই সাধ্যের মধ্যে পছন্দের জুতা কিনতে এসেছি।”
আছিয়া বেগম, বাড্ডা: “এখানে দরদাম করে ভালো জুতা পাওয়া যায়, তাই পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে জুতা কিনতে এলাম।”
সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়বে?
বেশিরভাগ বিক্রেতারই আশা, রমজানের শেষ ১০ দিনে বেচাকেনা বাড়বে। তবে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, দাম বাড়ার প্রবণতা এবং আগেভাগে কেনাকাটার ফলে এবারের ঈদ বাজার প্রত্যাশিতভাবে জমছে না।
সংক্ষেপে মূল বিষয়
রমজানের মাঝামাঝিতেও ক্রেতা কম
ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ড সব দোকানেই বিক্রি কমেছে
বিক্রেতারা আশাবাদী, শেষ সপ্তাহে ভিড় বাড়তে পারে
মূল কারণ: অর্থনৈতিক মন্দা, আগেভাগে কেনাকাটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
Leave a Reply