বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভারতে পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ গ্লোবাল অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ভারত-পাক ব্যয়ের ফারাক ৯ গুন রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩৭) ইশরাকের মেয়র পদের গেজেট নিয়ে বিতর্ক কেন? শপথ নিলে কতদিন পদে থাকতে পারবেন? মানবতার স্পর্শে পাঁচ বছরের পথচলা: ক্লাইমেট অলিম্পিয়াডে পুরস্কার ও ভবিষ্যতের ঘোষণা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪২%, সর্বশেষ হামলায় নিহত ৯ তামিম ইকবালের সমর্থন: তাইজুল ইসলামের সঠিক মূল্যায়ন নয় কেন? চমেক শিক্ষার্থী আবিদ হত্যায় খালাস পাওয়া ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্ট নির্দেশ কাশ্মীরে সক্রিয় প্রধান জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো জীবাশ্ম জ্বালানীভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগ না করার আহ্বান

জুতার বাজারে মন্দাভাব: কেন কমছে ক্রেতা?

  • Update Time : শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৩.২৬ পিএম

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • বিক্রির পরিমাণ কমে যাওয়ায় বিক্রেতারা হতাশ
  • রমজানের মাঝামাঝি সময়েও জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম
  • বেশিরভাগ বিক্রেতাই রমজানের শেষ ১০ দিনে বিক্রি বাড়ার আশা করছেন
  • অর্থনৈতিক মন্দা, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস, আগেভাগে কেনাকাটা এবং স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে

ঈদ ও নতুন জুতার ঐতিহ্য

ঈদ মানেই নতুন পোশাকের পাশাপাশি নতুন জুতাও কেনার ধুম। প্রতিবছর রমজানের প্রথম থেকেই রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড, মগবাজার, মৌচাকসহ বিভিন্ন বাজারে বাটা, অ্যাপেক্স, বে, জেনিস, দীপালী, লিবার্টি, সাম্পান ও খড়মের মতো ব্র্যান্ডের পাশাপাশি নন-ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। রমজানের মাঝামাঝি সময় এ ভিড় আরও বেড়ে যায়।

তবে এবার পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। রমজানের মাঝপথেও জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

বিক্রেতাদের হতাশা: বেচাকেনার অবস্থা

বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতারা দোকানে এলেও আগের মতো কেনাকাটা করছেন না।

বিক্রির তুলনামূলক চিত্র:

  • সাধারণত রমজানের প্রথম ১০ দিনে অনেক দোকানে ৩০-৩৫ লাখ টাকার জুতা বিক্রি হতো, কিন্তু এবার তা ২০ লাখ টাকাতেও পৌঁছায়নি।
  • কিছু দোকানে বিক্রি আরও কম।
  • ব্র্যান্ডেড দোকানগুলোর ক্যাশ কাউন্টারে লোকজন আসলেও তারা শুধু দেখে চলে যাচ্ছেন, কেনা-কাটার হার অনেক কম।

অনেক বিক্রেতা আশা করছেন, শেষের দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

বিক্রি কমার কারণ

মৌচাক মার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোডের দোকানিরা জানান, এবারের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা।

মূল কারণসমূহ:
অর্থনৈতিক মন্দা: মানুষের কেনাকাটার সামর্থ্য কমেছে, তাই প্রয়োজনীয় কেনাকাটার দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আগেভাগে কেনাকাটা: অনেকেই রমজানের শুরুর দিকেই কেনাকাটা শেষ করেছেন, তাই মাঝামাঝি সময়ে বাজার ফাঁকা।
স্কুল-কলেজ বন্ধ: শিক্ষার্থীদের ছুটি থাকায় অনেকেই ঢাকায় নেই, ফলে ক্রেতা সংখ্যা কমেছে।

এক দোকান মালিক জানান, অন্য বছরে প্রতিদিন ৫০-৭০ হাজার টাকার জুতা বিক্রি হতো, এখন সেটা ৫ হাজার টাকাতেও পৌঁছায়নি।

ক্রেতাদের মতামত

কিছু ক্রেতা আবার সাধ্যের মধ্যে মানসম্মত জুতা কিনতে এসেছেন।

শিক্ষার্থী শারমিন জুলি: “আমরা সবাই কাল বাড়ি চলে যাব, তাই সাধ্যের মধ্যে পছন্দের জুতা কিনতে এসেছি।”
আছিয়া বেগমবাড্ডা: “এখানে দরদাম করে ভালো জুতা পাওয়া যায়, তাই পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে জুতা কিনতে এলাম।”

সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়বে?

বেশিরভাগ বিক্রেতারই আশা, রমজানের শেষ ১০ দিনে বেচাকেনা বাড়বে। তবে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, দাম বাড়ার প্রবণতা এবং আগেভাগে কেনাকাটার ফলে এবারের ঈদ বাজার প্রত্যাশিতভাবে জমছে না।

সংক্ষেপে মূল বিষয়

রমজানের মাঝামাঝিতেও ক্রেতা কম
ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ড সব দোকানেই বিক্রি কমেছে
বিক্রেতারা আশাবাদীশেষ সপ্তাহে ভিড় বাড়তে পারে
মূল কারণ: অর্থনৈতিক মন্দাআগেভাগে কেনাকাটাশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024