০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল মার্কো রুবিওর উপস্থিতিতে ডিআরসি-রুয়ান্ডা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২) ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি

২০২৬ সালে বিদ্যুৎ ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নেয়া হতে পারে

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • 19

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

১. সরকার ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা, সাশ্রয়ী জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইপিপি) ক্যাপাসিটি চার্জ পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

২. বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে, যেখানে মন্ত্রিপরিষদ বা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। বিদ্যুতের অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা ৪১% থাকায় ব্যয়বৃদ্ধি রোধে ক্যাপাসিটি চার্জ ও অন্যান্য খরচ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

৩. সরকার নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, কারণ ২০৩০ সালের জন্য নির্ধারিত ১০% নবায়নযোগ্য শক্তির লক্ষ্য এখনও অর্জিত হয়নি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৫ সালের মধ্যে চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


অর্থ মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ খাতে ক্রমবর্ধমান ভর্তুকি কমানোর জন্য একাধিক সুপারিশ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—

  • ব্যয়বহুল ও অকার্যকর বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা।
  • সাশ্রয়ী জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো।
  • স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইপিপি) ক্যাপাসিটি চার্জ পুনর্মূল্যায়ন।

এই সুপারিশগুলো আসন্ন বাজেট আলোচনার অংশ। বিদ্যুৎ বিভাগ ৩০,৫৭৫ কোটি টাকা চাইলেও, অর্থ মন্ত্রণালয় ভর্তুকি কমিয়ে ১৩,৬৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে।

বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণে নতুন নীতিমালা

বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমাতে সরকার নতুন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে।

  • বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে মন্ত্রিপরিষদ বা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নেওয়া হবে।
  • নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানো হবে, কারণ ২০৩০ সালের ১০% লক্ষ্য এখনও অর্জিত হয়নি।

বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোর পরিকল্পনা

২০২৩ সালে সরকার বিদ্যুৎ খাতে ৩৩,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে।

  • চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১৯,৫০০ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে ৬২,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত যেতে পারে।
  • আইএমএফ-এর শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

অতিরিক্ত উৎপাদন ও ব্যয়বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ

সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিলেও বিদ্যুতের চাহিদা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছে না।

  • বর্তমানে অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা ১১,৬২১ মেগাওয়াট, যা আদর্শ ২০%-এর পরিবর্তে ৪১%।
  • ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০,০০০ মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০,০০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
  • ২০২৫ সালের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হবে।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা

সরকার প্রতি তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করলেও তা এখনও কার্যকর করা হয়নি।

  • মুদ্রাস্ফীতি ৬.৫%-এর নিচে নামলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হতে পারে।
  • মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউনিটপ্রতি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ টাকা।
  • অন্যান্য কয়লা, গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুতের দাম পুনঃনির্ধারণ করা হচ্ছে।

সরকার বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি চার্জসহ অন্যান্য ব্যয় পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে।

সংক্ষেপে

সরকার বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমানোর জন্য ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা, নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের দাম উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার পরিকল্পনা করছে। একই সঙ্গে আইপিপি চুক্তির পুনঃমূল্যায়ন, বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের নতুন নীতি এবং আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর আইনি দিকও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল

২০২৬ সালে বিদ্যুৎ ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নেয়া হতে পারে

০৬:০০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

১. সরকার ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা, সাশ্রয়ী জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইপিপি) ক্যাপাসিটি চার্জ পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

২. বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে, যেখানে মন্ত্রিপরিষদ বা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। বিদ্যুতের অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা ৪১% থাকায় ব্যয়বৃদ্ধি রোধে ক্যাপাসিটি চার্জ ও অন্যান্য খরচ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

৩. সরকার নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, কারণ ২০৩০ সালের জন্য নির্ধারিত ১০% নবায়নযোগ্য শক্তির লক্ষ্য এখনও অর্জিত হয়নি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৫ সালের মধ্যে চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


অর্থ মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ খাতে ক্রমবর্ধমান ভর্তুকি কমানোর জন্য একাধিক সুপারিশ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—

  • ব্যয়বহুল ও অকার্যকর বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা।
  • সাশ্রয়ী জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো।
  • স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইপিপি) ক্যাপাসিটি চার্জ পুনর্মূল্যায়ন।

এই সুপারিশগুলো আসন্ন বাজেট আলোচনার অংশ। বিদ্যুৎ বিভাগ ৩০,৫৭৫ কোটি টাকা চাইলেও, অর্থ মন্ত্রণালয় ভর্তুকি কমিয়ে ১৩,৬৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে।

বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণে নতুন নীতিমালা

বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমাতে সরকার নতুন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে।

  • বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে মন্ত্রিপরিষদ বা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নেওয়া হবে।
  • নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানো হবে, কারণ ২০৩০ সালের ১০% লক্ষ্য এখনও অর্জিত হয়নি।

বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোর পরিকল্পনা

২০২৩ সালে সরকার বিদ্যুৎ খাতে ৩৩,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে।

  • চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১৯,৫০০ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে ৬২,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত যেতে পারে।
  • আইএমএফ-এর শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

অতিরিক্ত উৎপাদন ও ব্যয়বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ

সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিলেও বিদ্যুতের চাহিদা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছে না।

  • বর্তমানে অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা ১১,৬২১ মেগাওয়াট, যা আদর্শ ২০%-এর পরিবর্তে ৪১%।
  • ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০,০০০ মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০,০০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
  • ২০২৫ সালের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হবে।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা

সরকার প্রতি তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করলেও তা এখনও কার্যকর করা হয়নি।

  • মুদ্রাস্ফীতি ৬.৫%-এর নিচে নামলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হতে পারে।
  • মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউনিটপ্রতি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ টাকা।
  • অন্যান্য কয়লা, গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুতের দাম পুনঃনির্ধারণ করা হচ্ছে।

সরকার বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি চার্জসহ অন্যান্য ব্যয় পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে।

সংক্ষেপে

সরকার বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমানোর জন্য ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা, নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের দাম উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার পরিকল্পনা করছে। একই সঙ্গে আইপিপি চুক্তির পুনঃমূল্যায়ন, বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের নতুন নীতি এবং আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর আইনি দিকও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।