সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
১. সরকার ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা, সাশ্রয়ী জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইপিপি) ক্যাপাসিটি চার্জ পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
২. বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে, যেখানে মন্ত্রিপরিষদ বা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। বিদ্যুতের অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা ৪১% থাকায় ব্যয়বৃদ্ধি রোধে ক্যাপাসিটি চার্জ ও অন্যান্য খরচ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
৩. সরকার নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, কারণ ২০৩০ সালের জন্য নির্ধারিত ১০% নবায়নযোগ্য শক্তির লক্ষ্য এখনও অর্জিত হয়নি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৫ সালের মধ্যে চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ খাতে ক্রমবর্ধমান ভর্তুকি কমানোর জন্য একাধিক সুপারিশ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—
এই সুপারিশগুলো আসন্ন বাজেট আলোচনার অংশ। বিদ্যুৎ বিভাগ ৩০,৫৭৫ কোটি টাকা চাইলেও, অর্থ মন্ত্রণালয় ভর্তুকি কমিয়ে ১৩,৬৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে।
বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণে নতুন নীতিমালা
বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমাতে সরকার নতুন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে।
বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোর পরিকল্পনা
২০২৩ সালে সরকার বিদ্যুৎ খাতে ৩৩,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে।
অতিরিক্ত উৎপাদন ও ব্যয়বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ
সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিলেও বিদ্যুতের চাহিদা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছে না।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা
সরকার প্রতি তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করলেও তা এখনও কার্যকর করা হয়নি।
সরকার বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি চার্জসহ অন্যান্য ব্যয় পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে।
সংক্ষেপে
সরকার বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমানোর জন্য ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা, নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের দাম উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার পরিকল্পনা করছে। একই সঙ্গে আইপিপি চুক্তির পুনঃমূল্যায়ন, বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের নতুন নীতি এবং আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর আইনি দিকও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply