১০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

মিনিকেট সরু ১’শ টাকা,মোটা চাল সর্বনিম্ম ৫৫ টাকা,সবজির বাজার উর্ধগতি

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • 23

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • সপ্তাহের ব্যবধানে চালের কেজি প্রতি দাম ২ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে
  • শীতকালীন সবজি কমে যাওয়ায় এবং গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কিছুটা বেশি
  • সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে বলে বিক্রেতারা আশা করছেন

রাজধানীতে চালের দাম আরও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চালের কেজি প্রতি দাম ২ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। ক্রেতারা এ পরিস্থিতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, আর বিক্রেতারা বলছেন, মিল পর্যায়েই দাম বেড়ে গেছে।

চালের দাম বাড়ার বিবরণ

  • মিনিকেট চাল: মিনিকেট (সরু) আগের সপ্তাহে ৯২-৯৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১০০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছে।
  • রশিদ মিনিকেট (মোটা): ৭৬-৭৮ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৭৮-৮০ টাকা হয়েছে।
  • ভারতীয় মিনিকেট চাল: আগের ৭৮-৮০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৮২ টাকা কেজি।
  • নাজিরশাইল (মোটা): ৬৮-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭২ টাকা কেজি।
  • নাজিরশাইল (চিকন): ৭২-৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭৬-৮০ টাকা হয়েছে।
  • গরিবের মোটা চাল: ৫২-৫৩ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৫৬ টাকা কেজি হয়েছে।

পাড়া-মহল্লার দোকানে আরও দাম

কাঁচাবাজারের তুলনায় পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে চালের দাম আরও ২-৪ টাকা বেশি। স্থানীয় বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে দাম কিছুটা বেশি।

চালের দাম বৃদ্ধির কারণ

  • ধানের দাম বৃদ্ধি: বেশ কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দামও বেড়েছে।
  • আমদানির ঘাটতি: ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে চালের সরবরাহ কিছুটা কমেছে।
  • সরকারি চাল আমদানি: ভারত ও পাকিস্তান থেকে সরকার চাল আমদানি করলেও তা বাজারে দাম কমানোর ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব ফেলেনি।

সবজির বাজারেও ঊর্ধ্বগতি

কিছু সবজির দাম কমলেও বেগুনের দাম এখনও বেশি

  • বেগুন: বড় গোল বেগুন ১২০ টাকা কেজি, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা।
  • শসা: ৬০-৭০ টাকা, যা আগের তুলনায় ১০ টাকা কম।
  • লেবু: হালি ৪০-৬০ টাকা।
  • শীতকালীন সবজি: শিম ৫০-৬০ টাকা, শালগম ৫০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি-ফুলকপি ৩০-৫০ টাকা।
  • গ্রীষ্মকালীন সবজি: ঢেঁড়স ১০০ টাকা, করলা ৮০-১২০ টাকা, বরবটি ১০০-১১০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর মুখী ১২০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা।
  • মরিচ ও অন্যান্য সবজি: কাঁচামরিচ ১০০-১২০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, ক্ষীরার কেজি ৫০-৬০ টাকা।
  • ধনে পাতা: ১৪০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০-৫০ টাকা।

বিক্রেতাদের মতামত

গুলশান কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শীতকালীন সবজি কমে যাচ্ছে এবং গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে, যার ফলে দাম কিছুটা বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।

মশলাজাতীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল

মশলা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম তেমন বাড়েনি।

মশলা ও অন্যান্য পণ্যের বর্তমান দাম

  • পেঁয়াজ: ৩৫ টাকা কেজি।
  • আদা: ১৪০-২৮০ টাকা।
  • দেশি রসুন: ১০০ টাকা, ভারতীয় রসুন ২৩০-২৪০ টাকা।
  • ছোলা: ১০০-১১০ টাকা।
  • মসুর ডাল: দেশি ১৪০ টাকা, ভারতীয় ১১০-১১৫ টাকা।
  • মুগ ডাল: ১৮০ টাকা।
  • খেসারির ডাল: ১৩০ টাকা।
  • বেসন: ভুট্টার বেসন ১৩০-১৪০ টাকা, অ্যাংকরের বেসন ৯০-১০০ টাকা।
  • চিনি: ১২৫-১৩০ টাকা।

মিনিকেট সরু ১’শ টাকা,মোটা চাল সর্বনিম্ম ৫৫ টাকা,সবজির বাজার উর্ধগতি

০৪:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • সপ্তাহের ব্যবধানে চালের কেজি প্রতি দাম ২ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে
  • শীতকালীন সবজি কমে যাওয়ায় এবং গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কিছুটা বেশি
  • সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে বলে বিক্রেতারা আশা করছেন

রাজধানীতে চালের দাম আরও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চালের কেজি প্রতি দাম ২ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। ক্রেতারা এ পরিস্থিতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, আর বিক্রেতারা বলছেন, মিল পর্যায়েই দাম বেড়ে গেছে।

চালের দাম বাড়ার বিবরণ

  • মিনিকেট চাল: মিনিকেট (সরু) আগের সপ্তাহে ৯২-৯৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১০০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছে।
  • রশিদ মিনিকেট (মোটা): ৭৬-৭৮ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৭৮-৮০ টাকা হয়েছে।
  • ভারতীয় মিনিকেট চাল: আগের ৭৮-৮০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৮২ টাকা কেজি।
  • নাজিরশাইল (মোটা): ৬৮-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭২ টাকা কেজি।
  • নাজিরশাইল (চিকন): ৭২-৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭৬-৮০ টাকা হয়েছে।
  • গরিবের মোটা চাল: ৫২-৫৩ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৫৬ টাকা কেজি হয়েছে।

পাড়া-মহল্লার দোকানে আরও দাম

কাঁচাবাজারের তুলনায় পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে চালের দাম আরও ২-৪ টাকা বেশি। স্থানীয় বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে দাম কিছুটা বেশি।

চালের দাম বৃদ্ধির কারণ

  • ধানের দাম বৃদ্ধি: বেশ কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দামও বেড়েছে।
  • আমদানির ঘাটতি: ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে চালের সরবরাহ কিছুটা কমেছে।
  • সরকারি চাল আমদানি: ভারত ও পাকিস্তান থেকে সরকার চাল আমদানি করলেও তা বাজারে দাম কমানোর ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব ফেলেনি।

সবজির বাজারেও ঊর্ধ্বগতি

কিছু সবজির দাম কমলেও বেগুনের দাম এখনও বেশি

  • বেগুন: বড় গোল বেগুন ১২০ টাকা কেজি, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা।
  • শসা: ৬০-৭০ টাকা, যা আগের তুলনায় ১০ টাকা কম।
  • লেবু: হালি ৪০-৬০ টাকা।
  • শীতকালীন সবজি: শিম ৫০-৬০ টাকা, শালগম ৫০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি-ফুলকপি ৩০-৫০ টাকা।
  • গ্রীষ্মকালীন সবজি: ঢেঁড়স ১০০ টাকা, করলা ৮০-১২০ টাকা, বরবটি ১০০-১১০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর মুখী ১২০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা।
  • মরিচ ও অন্যান্য সবজি: কাঁচামরিচ ১০০-১২০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, ক্ষীরার কেজি ৫০-৬০ টাকা।
  • ধনে পাতা: ১৪০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০-৫০ টাকা।

বিক্রেতাদের মতামত

গুলশান কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শীতকালীন সবজি কমে যাচ্ছে এবং গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে, যার ফলে দাম কিছুটা বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।

মশলাজাতীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল

মশলা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম তেমন বাড়েনি।

মশলা ও অন্যান্য পণ্যের বর্তমান দাম

  • পেঁয়াজ: ৩৫ টাকা কেজি।
  • আদা: ১৪০-২৮০ টাকা।
  • দেশি রসুন: ১০০ টাকা, ভারতীয় রসুন ২৩০-২৪০ টাকা।
  • ছোলা: ১০০-১১০ টাকা।
  • মসুর ডাল: দেশি ১৪০ টাকা, ভারতীয় ১১০-১১৫ টাকা।
  • মুগ ডাল: ১৮০ টাকা।
  • খেসারির ডাল: ১৩০ টাকা।
  • বেসন: ভুট্টার বেসন ১৩০-১৪০ টাকা, অ্যাংকরের বেসন ৯০-১০০ টাকা।
  • চিনি: ১২৫-১৩০ টাকা।