সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- ২০০০ সালে প্রথম শনাক্তের পর, ডেঙ্গু প্রায় দুই দশক ধরে ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল
- ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়; অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ও তরুণ প্রজন্মকেও অংশগ্রহণ করতে হবে
- বর্তমানে পুরনো ওষুধেই টেস্ট চালিয়ে যাচ্ছে; কার্যকারিতা হারালে নতুন ওষুধ বিবেচনা করা হবে
- সরকারের প্রস্তুতির অভাব ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ততপরতা কম
প্রতি বছর ডেঙ্গুর সমস্যা শুরু হলে দুই সিটি করপোরেশন একটি অভিযান চালু করে। তবে, রোগ ছড়ানোর পূর্বেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে, সম্পূর্ণ মশা ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে না। গরম ও মাঝে মাঝে বৃষ্টির আবহাওয়ায় এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা এপ্রিল থেকে অবস্থা আরও গুরুতর করে তুলবে।
বর্তমান পরিস্থিতি ও পরিসংখ্যান
- ডেঙ্গুর বিস্তার:
- ২০০০ সালে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর, প্রায় দুই দশক ধরে ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল।
- ২০১৯ সাল থেকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

- সংখ্যাতাত্ত্বিক তথ্য (২০২৪):
- মোট আক্রান্ত: ১,০১,২১৪ জন
- নিশ্চিত মৃত সংখ্যা: ৫৭৫ জন
- গত বছরের তথ্য অনুসারে, জানুয়ারিতে ১৫৫ জন, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে যথাক্রমে ৩৩৯ ও ৩১১ জন আক্রান্ত ছিল।
- এপ্রিল থেকে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, অক্টোবর ও নভেম্বরে যথাক্রমে ৩০,৮৭৯ ও ২৯,৬৫২ জন শনাক্ত হয়, এরপর ডিসেম্বরে কমে আসে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
-
- অপরিকল্পিত নগরায়ণ:
- বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
- অপরিকল্পিত নগরায়ণ ডেঙ্গুর একটি বড় কারণ।
- শুধুমাত্র স্বাস্থ্য বা স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়; অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ও তরুণ প্রজন্মকেও অংশগ্রহণ করতে হবে।
- খাল ও জলাশয় পরিষ্কার ও মশার লার্ভা ধ্বংসে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা জরুরি।

- সরকারের কার্যক্রম:
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, তাদের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রয়েছে।
- তারা জানিয়েছেন যে, সাধারণত জুন-জুলাইয়ে ডেঙ্গুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তবে ঈদের পর সচেতনতা বৃদ্ধি ও কার্যক্রম শুরু করা হবে।
- নতুন মশা ওষুধ প্রয়োগের প্রশ্নে, বর্তমানে পুরনো ওষুধেই টেস্ট চালিয়ে যাচ্ছেন; কার্যকারিতা হারালে নতুন ওষুধ বিবেচনা করা হবে।
- ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
উপসংহার
সরকারের প্রস্তুতির অভাব ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ততপরতা কম। বিশেষজ্ঞরা এ বছর সরকারের আরও জোরালো ও সুসংগঠিত কার্যক্রমের দাবি জানাচ্ছেন, যাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়া রোধ করা যায়।
Sarakhon Report 



















