মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

ঈদে সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে প্রায় পৌনে ২ কোটি মানুষ

  • Update Time : সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫, ১০.০৮ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “প্রথমবারের মতো সমুদ্রপথে ফেরি চলাচল শুরু”

দেশে সমুদ্রপথে প্রথম বারের মতো চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাটে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতিক ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণাালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বাঁশবাড়িয়া থেকে ফেরিতে করে উপদেষ্টারা সন্দ্বীপে যাবেন। সেখানে সুধী সমাবেশ করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”ঈদে সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে প্রায় পৌনে ২ কোটি মানুষ”

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রায় পৌনে ২ কোটি মানুষ (১ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার) মানুষ বৃহত্তর ঢাকা ছাড়বে। তারা ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার স্থায়ী-অস্থায়ী বাসিন্দা। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ৬০ শতাংশ যাবে সড়কপথে। বাকি ৪০ শতাংশ নৌ ও রেলপথে যাবে। এ হিসেবে এবার সড়কপথে ঈদ যাত্রীসংখ্যা মোট ১ কোটি ৩ লাখ ৬২ হাজার। নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) ঈদপূর্ব যৌথ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পর্যবেক্ষণের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, সড়কে এবারও জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সরকারের সিদ্ধান্তগুলো ও নির্দেশনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে জাতীয় কমিটি ও এসসিআরএফ।

সর্বশেষ জনশুমারি ও অন্যান্য সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগের জনসংখ্যা সাড়ে ৪ কোটি, এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বাস করে ২ কোটি মানুষ। দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ তৈরি পোশাক কারখানা গাজীপুরে হওয়ায় ঐ সিটির জনসংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ। আর নারায়ণগঞ্জ সিটিতে বাস করে ৩০ লাখ মানুষ। সব মিলিয়ে তিন মহানগরের জনসংখ্যা ৩ কোটি ৫ লাখ।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রবৃদ্ধির গড় হার ১.৫%, কর্মসংস্থানে ০.২ শতাংশ”

যেকোনো দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হিসেবে ধরা হয় ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে, নতুন কর্মসংস্থান বেড়েছে তার তুলনায় একেবারেই সামান্য। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংকের এক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এক দশকে দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বেড়েছে গড়ে দেড় শতাংশ হারে। যদিও একই সময়ে কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ২ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছর দেশে বিপুলসংখ্যক তরুণ কর্মক্ষম হয়ে উঠলেও তাদের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়নি। এমনকি বিভিন্ন খাতের সবচেয়ে উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান বা ফ্রন্টিয়ার ফার্মগুলোও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। বরং অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক নানা দুর্বিপাকে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। এতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ও নতুন কর্মসংস্থানের গড় প্রবৃদ্ধিকেও ছাড়িয়ে গেছে কর্মহীনতা বৃদ্ধির গড় হার।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “হাসনাত–সারজিসের ফেসবুক পোস্টে এনসিপিতে অস্বস্তি”

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ফেসবুকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট নিয়ে দলটির ভেতরে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। তাঁদের পৃথক পোস্ট দেওয়ার বিষয়টিকে ‘ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা অর্জনের রাজনীতি’ বলছেন এনসিপির নেতাদের অনেকে।

দলীয় ফোরামে আলোচনা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের এভাবে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে এনসিপির ভেতরে নানা আলোচনা–বিতর্ক চলছে। কেউ কেউ বলছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে এনসিপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, ১১ মার্চ তিনিসহ দুজনকে ক্যান্টনমেন্টে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের ‘পুনর্বাসনের’ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। হাসনাতের সেই পোস্টের পর বিষয়টি নিয়ে দুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা–বিতর্ক চলছে। এর মধ্যেই গতকাল রোববার এক ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘যেভাবে এই কথাগুলো ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে, এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি। বরং এর ফলে পরবর্তীতে যেকোনো স্টেকহোল্ডারের সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে।’

সারজিস লিখেছেন, ‘যে টোনে হাসনাতের ফেসবুকের লেখা উপস্থাপন করা হয়েছে, আমি মনে করি কনভারসেশন ততটা এক্সট্রিম ছিল না। তবে অন্য কোনো একদিনের চেয়ে অবশ্যই স্ট্রেইট-ফরওয়ার্ড এবং সো-কনফিডেন্ট ছিল।’

সারজিসের এই পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ লিখেছেন, ‘এসব কী ভাই! পাবলিকলিই বলছি, দুজনের একজন মিথ্যা বলছেন। এটা চলতে পারে না। মানুষ এনসিপিকে নিয়ে যখন স্বপ্ন বুনছে, তখন এভাবে এনসিপিকে বিতর্কিত করা কাদের এজেন্ডা!’

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024