১২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড মার্থা ওয়াশিংটন থেকে মেলানিয়া ট্রাম্প: যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডিদের পোশাকে ইতিহাস, রাজনীতি ও শক্তির প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলির ঘটনায় কী জানা যাচ্ছে; দলগুলো কেন ক্যাডার রাখে? ট্রাম্প যখন যুদ্ধ শেষের দম্ভ দেখাচ্ছেন, চীন তখন নীরবে শান্তির পথে কাজ করছে অটিজম চিকিৎসার অপ্রতিষ্ঠিত পথে প্রতিটি পরিবার সাত দশক পর ব্রিটিশ মিউজিক্যালে নতুন জীবন পেল প্রিয় ভালুক সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা

রাত জেগে থাকা কি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে?

  • Sarakhon Report
  • ০১:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • 284

সারাক্ষণ ডেস্ক 

একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, যারা রাতে জেগে থাকে এবং দিনের বেলায় ঘুমায়—অর্থাৎ যাদের আমরা সাধারণভাবে ‘নাইট আওল’ বা রাতজাগা মানুষ বলি—তারা হতাশায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে তুলনামূলকভাবে বেশি। সমাজে এদের প্রায়ই অলস বা অপ্রোডাক্টিভ হিসেবে দেখা হয়, কিন্তু সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে—এই ঘুমের ধরন মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

PLOS One জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিজেদের ‘ইভনিং টাইপ’ হিসেবে চিহ্নিত করেন, তারা সাধারণত হতাশার উপসর্গ বেশি জানান। এই রাতজাগারা ঘুমের মানে পিছিয়ে, অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনার প্রবণতায় ভোগেন এবং অনেক সময় মদ্যপানের দিকে ঝোঁকেন—যেসব কারণে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার আশঙ্কা বাড়ে।

রাতজাগা মানুষের ঝুঁকি বেশি কেন?

গবেষণার প্রধান লেখক এবং ইউনিভার্সিটি অব সারে-র নিউরোসায়েন্সের প্রভাষক ড. সাইমন ইভানস বলেন, রাত জেগে থাকা ও হতাশার মধ্যে সম্পর্কের পেছনে মূলত জীবনধারার কিছু অভ্যাস কাজ করে। শুধু ঘুমানোর সময় নয়, বরং সচেতনতার অভাব (বিশেষ করে “acting with awareness”), খারাপ ঘুমের অভ্যাস এবং ঘন ঘন মদ্যপানের মতো অভ্যাসই এই ঝুঁকি বাড়ায়।

যদিও রাতজাগার অভ্যাস বদলানো অনেকের পক্ষে কঠিন—বিশেষ করে কাজ বা ব্যক্তিগত জীবনের কারণে—তবে গবেষণায় বলা হয়েছে, এই অভ্যাসগুলোর বেশিরভাগই পরিবর্তনযোগ্য। অর্থাৎ, সকালের মানুষে পরিণত না হয়েও একজন ব্যক্তি তার হতাশার ঝুঁকি কমাতে পারেন।

সমাধানের উপায় কী?

বিশেষজ্ঞরা কিছু কার্যকর পদ্ধতি তুলে ধরেছেন, যেগুলো রাতজাগা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করতে পারে—

 ঘুমের মান উন্নত করুন: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ুন, স্ক্রিন টাইম কমান এবং ঘুমের আগে কিছুটা শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন।

মনোযোগ বাড়ান: মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের মতো মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন মানসিক সচেতনতা বাড়ায় এবং নেতিবাচক চিন্তার চক্র ভাঙতে সাহায্য করে।

মদ্যপান কমান: রাতে মদ্যপান ঘুম ব্যাহত করতে পারে এবং মেজাজ খারাপ করে দেয়। এর পরিমাণ কমালে তাৎক্ষণিক উপকার মিলতে পারে।

বর্তমানে প্রায় অর্ধেক তরুণ-তরুণী নিজেদের ‘নাইট আওল’ বলে মনে করেন এবং তাদের মধ্যেই হতাশার হার ক্রমাগত বাড়ছে। এই গবেষণা আমাদের জানায়, জীবনধারায় কিছু ছোট পরিবর্তন—যা বাস্তবায়নযোগ্য—এই সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান দিতে পারে।

রাত জেগে কাজ করলেও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব—প্রয়োজন শুধু কিছু সচেতন ও ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তোলা।

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড

রাত জেগে থাকা কি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে?

০১:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক 

একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, যারা রাতে জেগে থাকে এবং দিনের বেলায় ঘুমায়—অর্থাৎ যাদের আমরা সাধারণভাবে ‘নাইট আওল’ বা রাতজাগা মানুষ বলি—তারা হতাশায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে তুলনামূলকভাবে বেশি। সমাজে এদের প্রায়ই অলস বা অপ্রোডাক্টিভ হিসেবে দেখা হয়, কিন্তু সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে—এই ঘুমের ধরন মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

PLOS One জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিজেদের ‘ইভনিং টাইপ’ হিসেবে চিহ্নিত করেন, তারা সাধারণত হতাশার উপসর্গ বেশি জানান। এই রাতজাগারা ঘুমের মানে পিছিয়ে, অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনার প্রবণতায় ভোগেন এবং অনেক সময় মদ্যপানের দিকে ঝোঁকেন—যেসব কারণে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার আশঙ্কা বাড়ে।

রাতজাগা মানুষের ঝুঁকি বেশি কেন?

গবেষণার প্রধান লেখক এবং ইউনিভার্সিটি অব সারে-র নিউরোসায়েন্সের প্রভাষক ড. সাইমন ইভানস বলেন, রাত জেগে থাকা ও হতাশার মধ্যে সম্পর্কের পেছনে মূলত জীবনধারার কিছু অভ্যাস কাজ করে। শুধু ঘুমানোর সময় নয়, বরং সচেতনতার অভাব (বিশেষ করে “acting with awareness”), খারাপ ঘুমের অভ্যাস এবং ঘন ঘন মদ্যপানের মতো অভ্যাসই এই ঝুঁকি বাড়ায়।

যদিও রাতজাগার অভ্যাস বদলানো অনেকের পক্ষে কঠিন—বিশেষ করে কাজ বা ব্যক্তিগত জীবনের কারণে—তবে গবেষণায় বলা হয়েছে, এই অভ্যাসগুলোর বেশিরভাগই পরিবর্তনযোগ্য। অর্থাৎ, সকালের মানুষে পরিণত না হয়েও একজন ব্যক্তি তার হতাশার ঝুঁকি কমাতে পারেন।

সমাধানের উপায় কী?

বিশেষজ্ঞরা কিছু কার্যকর পদ্ধতি তুলে ধরেছেন, যেগুলো রাতজাগা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করতে পারে—

 ঘুমের মান উন্নত করুন: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ুন, স্ক্রিন টাইম কমান এবং ঘুমের আগে কিছুটা শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন।

মনোযোগ বাড়ান: মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের মতো মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন মানসিক সচেতনতা বাড়ায় এবং নেতিবাচক চিন্তার চক্র ভাঙতে সাহায্য করে।

মদ্যপান কমান: রাতে মদ্যপান ঘুম ব্যাহত করতে পারে এবং মেজাজ খারাপ করে দেয়। এর পরিমাণ কমালে তাৎক্ষণিক উপকার মিলতে পারে।

বর্তমানে প্রায় অর্ধেক তরুণ-তরুণী নিজেদের ‘নাইট আওল’ বলে মনে করেন এবং তাদের মধ্যেই হতাশার হার ক্রমাগত বাড়ছে। এই গবেষণা আমাদের জানায়, জীবনধারায় কিছু ছোট পরিবর্তন—যা বাস্তবায়নযোগ্য—এই সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান দিতে পারে।

রাত জেগে কাজ করলেও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব—প্রয়োজন শুধু কিছু সচেতন ও ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তোলা।