১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • 46

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ শুক্রবার চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করছেন। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় সময় আজ সকাল ১০টায় বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শুরু হয়।

এই বৈঠকের পর মুহাম্মদ ইউনূস স্থানীয় সময় আজ বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রেসিডেনশিয়াল বেইজিংয়ে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি ‘ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে’ অংশগ্রহণ করবেন।

চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সম্পর্কে অবহিত এবং বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা একই স্থানে টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ ২.০ উৎপাদন ও বাজার সুযোগ, সামাজিক ব্যবসা, যুব উদ্যোক্তা, তিন শূন্যের বিশ্ব—এই বিষয়ের ওপর তিনটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেবেন।

বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সামাজিক ব্যবসা সার্কেলের অভিজ্ঞ ব্যক্তি, বিখ্যাত চীনা কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

মুহাম্মদ ইউনূস চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সম্মানে আয়োজিত এক নৈশভোজে যোগ দেবেন।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “ঈদের ছুটিতে রাজধানীর নিরাপত্তায় বসবে সাত শতাধিক চেকপোস্ট”

ঈদের ৯ দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে। ইতিমধ্যে রাজধানী ফাঁকা হতে শুরু করেছে। ফলে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ঘরমুখো মানুষ নানা প্রতারণা ও অপরাধের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গত বুধবার ধানমন্ডি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ডাকাতির ঘটনা রাজধানীর মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। এ কারণে ঈদে রাজধানীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপি বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে এক সভায় ঈদের ছুটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিশ্চিত নিরাপত্তার জন্য করণীয় বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনা দেন আইজিপি। এই নির্দেশনার পর সারাদেশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ছাড়াও আনসার সদস্যরা এসময় মাঠে থাকবে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়েছে। সর্বাধিক সংখ্যক টহলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বসবে সাত শতাধিক চেকপোস্ট: মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী সভাপতিত্বে এক সভায় ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার নিরাপত্তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, বিজিবি থাকবে মাঠে। টহল ছাড়াও সকল অলি গলিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবে। পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আমাদের ব্যবস্থাপনাটা আমরা করবো।

মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল মল্লিক বলেন, ডিবির পক্ষ থেকে সমগ্র মহানগরকে নিরাপত্তার চাদরে ডেকে দেওয়া হবে। সব জায়গাতে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা থাকবে। মহানগর উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ টহল ও চেক পোস্ট বৃদ্ধি করা হবে। সাত শতাধিক চেকপোস্ট পরিচালনা করা হবে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড এক মাসেই”

মার্চের ২৬ দিনেই রেমিট্যান্স আসার নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা গত বুধবার পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ বা ২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আর গতকালও রেমিট্যান্স এসেছে ১০ কোটি ডলারের বেশি। সে হিসাবে মার্চ শেষের চারদিন আগেই একক একটি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণের মাইলফলক পেরিয়েছে। এর আগে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। ওই মাসে মোট ২৬৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল বাংলাদেশে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে সবসময়ই রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। তবে এবারের মতো এত বেশি প্রবৃদ্ধি অতীতে কখনই দেখা যায়নি। এবার রমজান ও ইংরেজি মার্চ মাস প্রায় একই সময়ে শুরু ও শেষ হচ্ছে। এ কারণে মাসের পুরো সময়েই প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর পরও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড গড়া দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় অর্জন। কারণ এ উল্লম্ফনে দেশ থেকে অর্থ পাচার ও হুন্ডির তৎপরতা কমে যাওয়ারও বড় প্রভাব রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আরিফ হোসেন খান জানান, ‘চলতি মার্চের ২৫ ও ২৬ তারিখে মাত্র দুইদিনেই ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আর ১ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ বা ২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২৪ সালের মার্চের প্রথম ২৬ দিনে ১৬১ কোটি ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে চলতি মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮২ দশমিক ৪ শতাংশ।’

গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীরা রেকর্ড ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এতদিন এটিই ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার ঘটনা। এর আগে দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। ওই সময় কভিডজনিত দুর্যোগের মধ্যে প্রবাসীরা ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। আর ২০২৪ সালের জুনে দেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রত্যয় ট্রাম্পের”

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ট্রাম্পের শুভেচ্ছা বার্তাটি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে ট্রাম্প বলেছেন, প্রিয় প্রধান উপদেষ্টা, আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাংলাদেশের এমন পরিবর্তিত সময় দেশের জনগণের জন্য গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং অধিক নিরাপত্তার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ এ বছরে আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, আমি আত্মবিশ্বাসী আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। একই সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পারবো। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প। শুভেচ্ছা বার্তার শেষে ট্রাম্প বলেছেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আপনি এবং বাংলাদেশের জনগণ আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। প্রসঙ্গত, এর আগে বুধবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

 

চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার

০৯:০০:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ শুক্রবার চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করছেন। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় সময় আজ সকাল ১০টায় বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শুরু হয়।

এই বৈঠকের পর মুহাম্মদ ইউনূস স্থানীয় সময় আজ বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রেসিডেনশিয়াল বেইজিংয়ে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি ‘ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে’ অংশগ্রহণ করবেন।

চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সম্পর্কে অবহিত এবং বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা একই স্থানে টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ ২.০ উৎপাদন ও বাজার সুযোগ, সামাজিক ব্যবসা, যুব উদ্যোক্তা, তিন শূন্যের বিশ্ব—এই বিষয়ের ওপর তিনটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেবেন।

বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সামাজিক ব্যবসা সার্কেলের অভিজ্ঞ ব্যক্তি, বিখ্যাত চীনা কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

মুহাম্মদ ইউনূস চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সম্মানে আয়োজিত এক নৈশভোজে যোগ দেবেন।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “ঈদের ছুটিতে রাজধানীর নিরাপত্তায় বসবে সাত শতাধিক চেকপোস্ট”

ঈদের ৯ দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে। ইতিমধ্যে রাজধানী ফাঁকা হতে শুরু করেছে। ফলে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ঘরমুখো মানুষ নানা প্রতারণা ও অপরাধের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গত বুধবার ধানমন্ডি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ডাকাতির ঘটনা রাজধানীর মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। এ কারণে ঈদে রাজধানীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপি বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে এক সভায় ঈদের ছুটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিশ্চিত নিরাপত্তার জন্য করণীয় বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনা দেন আইজিপি। এই নির্দেশনার পর সারাদেশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ছাড়াও আনসার সদস্যরা এসময় মাঠে থাকবে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়েছে। সর্বাধিক সংখ্যক টহলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বসবে সাত শতাধিক চেকপোস্ট: মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী সভাপতিত্বে এক সভায় ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার নিরাপত্তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, বিজিবি থাকবে মাঠে। টহল ছাড়াও সকল অলি গলিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবে। পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আমাদের ব্যবস্থাপনাটা আমরা করবো।

মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল মল্লিক বলেন, ডিবির পক্ষ থেকে সমগ্র মহানগরকে নিরাপত্তার চাদরে ডেকে দেওয়া হবে। সব জায়গাতে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা থাকবে। মহানগর উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ টহল ও চেক পোস্ট বৃদ্ধি করা হবে। সাত শতাধিক চেকপোস্ট পরিচালনা করা হবে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড এক মাসেই”

মার্চের ২৬ দিনেই রেমিট্যান্স আসার নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা গত বুধবার পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ বা ২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আর গতকালও রেমিট্যান্স এসেছে ১০ কোটি ডলারের বেশি। সে হিসাবে মার্চ শেষের চারদিন আগেই একক একটি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণের মাইলফলক পেরিয়েছে। এর আগে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। ওই মাসে মোট ২৬৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল বাংলাদেশে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে সবসময়ই রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। তবে এবারের মতো এত বেশি প্রবৃদ্ধি অতীতে কখনই দেখা যায়নি। এবার রমজান ও ইংরেজি মার্চ মাস প্রায় একই সময়ে শুরু ও শেষ হচ্ছে। এ কারণে মাসের পুরো সময়েই প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর পরও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড গড়া দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় অর্জন। কারণ এ উল্লম্ফনে দেশ থেকে অর্থ পাচার ও হুন্ডির তৎপরতা কমে যাওয়ারও বড় প্রভাব রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আরিফ হোসেন খান জানান, ‘চলতি মার্চের ২৫ ও ২৬ তারিখে মাত্র দুইদিনেই ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আর ১ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ বা ২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২৪ সালের মার্চের প্রথম ২৬ দিনে ১৬১ কোটি ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে চলতি মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮২ দশমিক ৪ শতাংশ।’

গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীরা রেকর্ড ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এতদিন এটিই ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার ঘটনা। এর আগে দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। ওই সময় কভিডজনিত দুর্যোগের মধ্যে প্রবাসীরা ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। আর ২০২৪ সালের জুনে দেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রত্যয় ট্রাম্পের”

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ট্রাম্পের শুভেচ্ছা বার্তাটি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে ট্রাম্প বলেছেন, প্রিয় প্রধান উপদেষ্টা, আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাংলাদেশের এমন পরিবর্তিত সময় দেশের জনগণের জন্য গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং অধিক নিরাপত্তার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ এ বছরে আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, আমি আত্মবিশ্বাসী আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। একই সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পারবো। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প। শুভেচ্ছা বার্তার শেষে ট্রাম্প বলেছেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আপনি এবং বাংলাদেশের জনগণ আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। প্রসঙ্গত, এর আগে বুধবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।