সারাক্ষণ রিপোর্ট
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে সারা দেশে ১-২টি তীব্র তাপদাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ২-৪টি মৃদু (৩৬-৩৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮-৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপদাহও হতে পারে। একই সময়ে বঙ্গোপসাগরে ১-২টি নিম্নচাপের আশঙ্কা রয়েছে, যার একটি গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
সম্ভাব্য তাপদাহের ধরন
- ২-৪টি মৃদু বা মাঝারি তাপদাহ
- ১-২টি তীব্র (৪০-৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপদাহ
বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হতে পারে
- প্রায় ৫-৭ দিন হালকা বা মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা
- ১-৩ দিন তীব্র বজ্রঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা
সাগরে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা
- বঙ্গোপসাগরে ১-২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে
- এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা
তাপমাত্রার পূর্বাভাস
- মাসজুড়ে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে
নদ-নদীর জলপ্রবাহ
- দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকতে পারে
- উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও সংলগ্ন অববাহিকায় মাসের দ্বিতীয় ভাগে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির ফলে পানি দ্রুত বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে
আবহাওয়া বিশ্লেষণ
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) এপ্রিল মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে। এ ক্ষেত্রে উপগ্রহ-চিত্র, বৈশ্বিক আবহাওয়ার ধারা এবং বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অনুমোদিত বিভিন্ন কেন্দ্রের (ইসিএমডব্লিউএফ, জেএমএ, এনওএএ, আইআরআই-কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, এপিইসি ক্লাইমেট সেন্টার, আরআইএমইএস, সি৩এস) পূর্বাভাস কাজে লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া এল নিনো ও লা নিনো পরিস্থিতিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের জলবায়ু-সংকট ও তাপদাহ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রতি বছরই বাংলাদেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০২৪ সালে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। এতে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। ক্রমবর্ধমান তাপদাহ শুধু জনজীবনেই নয়, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও বাড়তি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।