মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

বস্তায় পচছে আলু

  • Update Time : শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৪.৩৬ পিএম

সারাক্ষণ রিপোর্ট

প্রচুর পরিমাণ আলু উৎপাদন সত্ত্বেও, যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে প্রচুর আলূ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা উপযুক্ত ঠান্ডা গুদামের অভাবে ফসল ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারছেন না, যা তাদের জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ

  • উৎপাদনের ব্যাপকতা:
    যদিও প্রচুর আলূ উৎপাদিত হয়েছে তবে সংরক্ষণের সুযোগ খুবই সীমিত।
  • সংরক্ষণের অভাব:
    যেমন রাজশাহীর ৩৮টি হিমাগারের সম্মিলিত ক্ষমতা ৪.৫৭ লাখ টন হলেও, এবার  উৎপাদিত আলূর পরিমাণ প্রায় ১০.৩০ লাখ টন।
  • অসাম্য সুবিধাভোগ:
    ক্ষমতাশালী কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সুবিধা নিয়ে থাকলেও, প্রান্তিক কৃষকরা বাড়ি বা খোলা আকাশে সংরক্ষণের চেষ্টা করে পটেটো নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছেন।

সংরক্ষণে সমস্যাসমূহ

  • ঠান্ডা গুদামের সীমাবদ্ধতা:
    কৃষকরা আগেই ঠান্ডা গুদামে বুকিং করলেও, বাস্তবে প্রয়োজনের তুলনায় সংরক্ষণের জায়গা অনেক কম। ফলে অতিরিক্ত আলূ এমন জায়গায় রাখা হচ্ছে যা আদর্শ নয় ও দ্রুত পচতে শুরু করছে।
  • বাড়িতে সংরক্ষণের অসুবিধা:
    হিমাগারের অভাবে অনেক কৃষক তাদের ফসল বাড়িতে বা বাঁশের তৈরি মাচানের নিচে রাখছেন। যেহেতু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ নেই,তাড়াতাড়ি পচে যাচ্ছে।

কৃষক ও বাজারে প্রভাব

  • আর্থিক ক্ষতির বিশাল মাত্রা:
    একজন কৃষকের উদাহরণে বলা হয়েছে যে, ২০০ বিঘায় উৎপাদিত ১২,০০০ বস্তা আলূর মধ্যে মাত্র ২০০০বস্তাই হিমাগারে রাখা সম্ভব হয়েছে। বাকি ১০,০০০ ব্যাগের মধ্যে প্রায় ৫০০ ব্যাগ নষ্ট হয়ে গেছে। উৎপাদন খরচ (প্রতি বিঘায় ৮০,০০০ টাকা) ও বিক্রয়মূল্য (প্রতি বিঘায় ২৫,০০০ টাকা) এর মাঝে বিশাল ব্যবধান থাকার কারণে কৃষকদের এক কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হচ্ছে।

  • মূল্য পার্থক্যের প্রভাব:
    ভালো মানের পটেটো প্রতি কেজি ১২ টাকা বিক্রয়ে থাকা সাপেক্ষে, পচা পটেটো শুধুমাত্র প্রতি কেজি ২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কৃষকদের উপার্জনে প্রভাব ফেলছে।
  • ঋণের বোঝা:
    অনেক কৃষক ঋণের বোঝা নিয়ে চাষ করছেন, যার ফলে ফসলের ক্ষতির সাথে সাথে ঋণ পরিশোধে অতিরিক্ত সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান

  • সংরক্ষণের স্থান অভাব:
    মূল সমস্যাটি হলো সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত স্থান না থাকা। পর্যাপ্ত ঠান্ডা গুদামের অভাবে আলু সংরক্ষণ অপর্যাপ্ত হয়ে পড়ছে।

নতুন সরকার, নতুন রাষ্ট্রদূত

নীতিগত ও সহায়ক উদ্যোগ:

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারী সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আরও ঠান্ডা গুদাম স্থাপন করে সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করলেও সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

উপসংহার

প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপাদনের পাশাপাশি যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। উচ্চ উৎপাদন ব্যয় ও কম বিক্রয়মূল্যের মিলিত প্রভাবের ফলে কৃষকদের উপার্জনের উপর মারাত্মক চাপ পড়ছে। এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য সরকার এবং বেসরকারী খাতের সহায়তা ও নতুন সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন অপরিহার্য।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024