০৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
মোদি দিল্লির বিধ্বংসী বিস্ফোরণকে ‘চক্রান্ত’ বলে উল্লেখ করলেন সাংবিধানিক সংশোধনী বিল নিয়ে পাকিস্তান সংসদে ভোট, বিরোধীদের ওয়াকআউট ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১,১৩৯ জন এলএনজি আমদানিতে ঝুঁকির সতর্কতা: বাংলাদেশের অর্থনীতি দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ আমদানি সুবিধা: রমজানের ১০ পণ্য সহজে আমদানির নির্দেশনা নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়: ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যান মিরপুরে শতাব্দী পরিবহনের বাসে আগুন লকডাউনে আতঙ্কের কিছু নেই: অর্থের বিনিময়ে স্লোগান দিচ্ছে রিকশাচালকরা পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন যান্ত্রিক ত্রুটিই কারণেই ঘটেছে, বলছে ডিএমপি সিলেটে মাহমুদুল-মোমিনুলের ব্যাটে বাংলাদেশের আধিপত্য

শিল্পখাতে গ্যাসের দাম নতুন শিল্পের জন্যে ৩৩% বাড়ল

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • 97

সারাক্ষণ রিপোর্ট

গ্যাসের নতুন দর কাঠামো এপ্রিল থেকে কার্যকর

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ঘোষণা করেছে, এপ্রিল ২০২৫ থেকে শিল্পখাতে গ্যাসের নতুন দর কার্যকর হবে। তবে এই মূল্যবৃদ্ধি শুধুমাত্র নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও যারা অনুমোদিত লোডের বেশি গ্যাস ব্যবহার করেন, তাদের জন্য প্রযোজ্য। পুরনো বা বিদ্যমান গ্রাহকদের জন্য আগের দামই বহাল থাকবে।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

নতুন গ্রাহকদের জন্য কতটুকু দাম বাড়ল?

নতুন এবং অতিরিক্ত লোড ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে নিম্নরূপ—

  • শিল্প বয়লার: প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা
  • ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট: প্রতি ঘনমিটার ৩১.৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪২ টাকা

অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও একই নতুন হার প্রযোজ্য হবে।

পেট্রোবাংলার প্রস্তাব ও বিইআরসির প্রতিক্রিয়া

পেট্রোবাংলা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তার মূল বিষয় ছিল—

  • নতুন এবং প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ৭৫.৭২ টাকা করা
  • প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের বিল অর্ধেক বর্তমান হার, অর্ধেক নতুন হার অনুযায়ী নেয়া
  • বিদ্যমান গ্রাহকদের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন না করা

পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, যদি এই দাম না বাড়ানো হয়, তবে বছরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হবে। এই প্রস্তাব নিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বিইআরসির গণশুনানি।

ব্যবসায়ী মহলের আপত্তি

গণশুনানিতে ব্যবসায়ীরা এবং বিভিন্ন শিল্প সংগঠনের প্রতিনিধিরা তীব্র আপত্তি জানান। তাদের বক্তব্য—

  • একই শিল্পখাতে দুই ধরনের মূল্য নির্ধারণ বৈষম্যমূলক
  • নতুন শিল্প উদ্যোগের জন্য এটি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করবে
  • এতে শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হতে পারে

ক্যাবের উদ্বেগ ও আইনি চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন—

  • দাম না বাড়িয়েও সমাধান সম্ভব, তা তারা গণশুনানিতে প্রমাণ করেছেন
  • মূল সমস্যা অপচয় ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে
  • সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর চাপ বাড়াবে
  • একই দেশে, একই খাতে আলাদা দাম আইন পরিপন্থী—এ নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ আসতে পারে

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা

এই নতুন গ্যাসমূল্য কাঠামো শিল্পখাতের প্রতিযোগিতা, উৎপাদন ব্যয় এবং নতুন বিনিয়োগে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একই খাতে দুই ধরনের মূল্য নীতি ভবিষ্যতে শিল্পবিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মোদি দিল্লির বিধ্বংসী বিস্ফোরণকে ‘চক্রান্ত’ বলে উল্লেখ করলেন

শিল্পখাতে গ্যাসের দাম নতুন শিল্পের জন্যে ৩৩% বাড়ল

০৬:০৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

গ্যাসের নতুন দর কাঠামো এপ্রিল থেকে কার্যকর

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ঘোষণা করেছে, এপ্রিল ২০২৫ থেকে শিল্পখাতে গ্যাসের নতুন দর কার্যকর হবে। তবে এই মূল্যবৃদ্ধি শুধুমাত্র নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও যারা অনুমোদিত লোডের বেশি গ্যাস ব্যবহার করেন, তাদের জন্য প্রযোজ্য। পুরনো বা বিদ্যমান গ্রাহকদের জন্য আগের দামই বহাল থাকবে।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

নতুন গ্রাহকদের জন্য কতটুকু দাম বাড়ল?

নতুন এবং অতিরিক্ত লোড ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে নিম্নরূপ—

  • শিল্প বয়লার: প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা
  • ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট: প্রতি ঘনমিটার ৩১.৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪২ টাকা

অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও একই নতুন হার প্রযোজ্য হবে।

পেট্রোবাংলার প্রস্তাব ও বিইআরসির প্রতিক্রিয়া

পেট্রোবাংলা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তার মূল বিষয় ছিল—

  • নতুন এবং প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ৭৫.৭২ টাকা করা
  • প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের বিল অর্ধেক বর্তমান হার, অর্ধেক নতুন হার অনুযায়ী নেয়া
  • বিদ্যমান গ্রাহকদের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন না করা

পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, যদি এই দাম না বাড়ানো হয়, তবে বছরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হবে। এই প্রস্তাব নিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বিইআরসির গণশুনানি।

ব্যবসায়ী মহলের আপত্তি

গণশুনানিতে ব্যবসায়ীরা এবং বিভিন্ন শিল্প সংগঠনের প্রতিনিধিরা তীব্র আপত্তি জানান। তাদের বক্তব্য—

  • একই শিল্পখাতে দুই ধরনের মূল্য নির্ধারণ বৈষম্যমূলক
  • নতুন শিল্প উদ্যোগের জন্য এটি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করবে
  • এতে শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হতে পারে

ক্যাবের উদ্বেগ ও আইনি চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন—

  • দাম না বাড়িয়েও সমাধান সম্ভব, তা তারা গণশুনানিতে প্রমাণ করেছেন
  • মূল সমস্যা অপচয় ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে
  • সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর চাপ বাড়াবে
  • একই দেশে, একই খাতে আলাদা দাম আইন পরিপন্থী—এ নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ আসতে পারে

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা

এই নতুন গ্যাসমূল্য কাঠামো শিল্পখাতের প্রতিযোগিতা, উৎপাদন ব্যয় এবং নতুন বিনিয়োগে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একই খাতে দুই ধরনের মূল্য নীতি ভবিষ্যতে শিল্পবিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।