মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

নাগানোর ঐতিহাসিক স্বাদে পর্যটকদের আকর্ষণ

  • Update Time : সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫.৩৫ এএম

সারাক্ষণ রিপোর্ট

জাপানের নাগানো শহর তাদের ঐতিহাসিক মাতসুশিরো জেলা ঘিরে নতুন পর্যটন উদ্যোগ শুরু করেছে। এর মূল লক্ষ্য—বিদেশি পর্যটকদের জাপানি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গভীরে নিয়ে যাওয়া। এ উদ্দেশ্যে চালু হয়েছে বিশেষ গাইডেড ‘ডিপ-ডাইভ’ ট্যুর এবং এডো যুগের খাদ্যসংস্কৃতি থেকে অনুপ্রাণিত করে তৈরি বিশেষ খাবার।

ফিউডাল প্রভুর খাবার দিয়ে ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা

মাতসুশিরো এলাকার নবম প্রভু ইউকিনোরি সানাদার খাবারের ধরনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে একটি ব্যতিক্রমী রন্ধনানুষ্ঠান। ১৮৫২ সালে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর প্রিয় খাবারের আধুনিক সংস্করণ উপস্থাপন করেছে স্থানীয় Mercure Nagano Matsushiro Resort & Spa হোটেল।

এই বিশেষ খাবারের তালিকায় রয়েছে:

  • কেল্পে সংরক্ষিত সিব্রিম মাছ
  • গ্রিলড ডিম
  • জাপানি স্পাইনি লবস্টার

এসব পদ স্থানীয় উপাদানে তৈরি ও এডো যুগের রান্নার ধরনে পরিবেশিত হয়।

ঐতিহাসিক স্থাপনায় ভবিষ্যতের আয়োজন

এ খাবারকে পর্যটকদের জন্য অনন্য সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি পরিবেশন করার পরিকল্পনা রয়েছে ঐতিহাসিক সানাদা রেসিডেন্সে—যা ১৮৬৪ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এক সময় ফিউডাল প্রভুর সৎ মায়ের আবাসস্থল ও মাতসুশিরো দুর্গের বাইরের প্রাসাদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ আয়ের পর্যটকদের লক্ষ্য

নাগানো শহরের এ উদ্যোগ মূলত ঐতিহাসিক আগ্রহসম্পন্ন, উচ্চ ব্যয়ের পর্যটকদের লক্ষ করে তৈরি। এতে স্থানীয় সরকার, পর্যটন সংস্থা ও ব্যবসায়ী চেম্বার একসঙ্গে কাজ করছে। অর্থায়ন মিলছে জাপান সরকারের একটি ভর্তুকি কর্মসূচি থেকেও।

গাইডেড ইতিহাসভিত্তিক ট্যুর: ডিপ-ডাইভ

নতুন পর্যটন প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে রয়েছে গাইডেড ‘ডিপ-ডাইভ’ ট্যুর, যা মাতসুশিরোর ইতিহাস ঘিরে সাজানো। ম্যাকিনোভেট নামের স্থানীয় ট্যুর কোম্পানি এখন ইংরেজিভাষী গাইডের পাশাপাশি মার্কিন গাইডদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে স্থানীয় ইতিহাসবিদদের সহায়তায়।

একটি নতুন ট্যুর ম্যানুয়াল তৈরি হয়েছে, যাতে মাতসুশিরোর ইতিহাস, স্থাপত্য ও সানাদা রেসিডেন্সের গুরুত্ব বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

টেকসই পর্যটন ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের সমন্বয়

নাগানো শহর সম্প্রতি তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পর্যটন বিভাগকে একীভূত করেছে যাতে কার্যক্রমে গতি আসে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে এ ট্যুর থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ স্থানীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণে ব্যয় করা হবে। এর মাধ্যমে গড়ে তোলা হচ্ছে এক টেকসই পর্যটন মডেল, যা ঐতিহ্য রক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন—উভয় দিকেই সহায়ক।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024