সারাক্ষণ রিপোর্ট
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাইহেলগামের বৈসারণ প্রাঙ্গণে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত‑পাকিস্তান সম্পর্ক আরও টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে। এই ঘটনার পরই ভারতের জাতীয় দলপ্রধান ও সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক‑বহুপাক্ষিক যোগাযোগ—খেলাধুলা থেকে সিনেমা, সংগীত ও সাংস্কৃতিক বিনিময়—সম্পূর্ণ বন্ধের আহ্বান জানান।
গম্ভীরের স্পষ্ট বার্তা: ‘জীবনই সবার আগে’
একটি এবিপি অনুষ্ঠানে গম্ভীর বলেন, ‘কোনো ক্রিকেট ম্যাচ, সিনেমা বা সাংস্কৃতিক আদান‑প্রদান মানুষের জীবনের চেয়ে বড় নয়… যত দিন সীমান্তে রক্ত ঝরবে, তত দিন ভারত‑পাকিস্তানের মধ্যে কোনো মেলামেশা থাকা উচিত নয়।’ তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন, শেষ সিদ্ধান্ত সরকারের; তবে ব্যক্তিগতভাবে তিনি পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার পক্ষেই আছেন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা
২০০৮‑এর মুম্বাই হামলার পর থেকে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট বন্ধ রেখেছে। ২০১২‑তে মাত্র একবারের জন্য তিন ম্যাচের ওয়ান‑ডে সিরিজ আয়োজন করা হলেও পরে দুই দেশের দেখা শুধু এশিয়া কাপ ও আইসিসি‑ইভেন্টে হয়েছে। গম্ভীর চাইছেন, বহুপাক্ষিক আসরেও আর মুখোমুখি না হতে।
সরকারের হাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
এশিয়া কাপ (সেপ্টেম্বর ২০২৫) বা ২০২৬‑এর ভারত‑শ্রীলঙ্কা যৌথ আয়োজিত টি‑২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে কি না—এ সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বিসিসিআই ও সরকারের বলে মন্তব্য করেন গম্ভীর। তিনি অনুরোধ করেন, সরকার যা ঠিক করবে তা‑ই মেনে নিতে এবং বিষয়টি রাজনীতি‑কেন্দ্রিক বিতর্ক না করতে।
নিরপেক্ষ ভেন্যু চুক্তি
সাম্প্রতিক চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত সব ম্যাচই দুবাইয়ে খেলেছিল; পাকিস্তানে যায়নি। বিসিসিআই, পিসিবি ও আইসিসি‑র সমঝোতা অনুযায়ী ২০২৭ পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টে ভারত‑পাকিস্তান ম্যাচ নিরপেক্ষ মাঠে হবে। এশিয়া কাপের সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে ভারত‑পাকিস্তান এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের মূল সদস্য হওয়ায় টুর্নামেন্ট আয়োজনেও নিরাপত্তা‑রাজনৈতিক সমীকরণ বড় ভূমিকা রাখবে।