সারাক্ষণ রিপোর্ট
ভ্যান্সের স্পষ্ট বক্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস‑প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ “মৌলিকভাবে আমাদের বিষয় নয়”। তিনি জানান, ওয়াশিংটন কূটনৈতিক চাপের মাধ্যমে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করবে, তবে কোনো পক্ষকে অস্ত্র নামিয়ে রাখতে তারা বাধ্য করতে পারবে না।
কূটনৈতিক পথে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা
ভ্যান্স বলেন, সংঘাত যাতে বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধ বা পারমাণবিক মোকাবিলায় গড়ায় না, সে দিকেই যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি। মার্কিন প্রশাসন “কূটনৈতিক চ্যানেল” ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাবে, কারণ সামরিক হস্তক্ষেপের ক্ষমতা বা পরিকল্পনা তাদের নেই।
‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রতিফলন
এই অবস্থান সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সঙ্গতি রাখে—যেখানে বিদেশি সংঘাতে মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সীমিত করার কথা বলা হয়। ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির আলোচনাতেও যুক্তরাষ্ট্র একই ধরনের শর্ত আরোপ করেছে।
সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা
বুধবার গভীর রাতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে ৩১ জন নিহত হয়। দিল্লি বলছে, তারা “সন্ত্রাসী অবকাঠামো” টার্গেট করেছে; ইসলামাবাদ ওই এলাকায় জঙ্গি উপস্থিতি অস্বীকার করেছে। পরদিন সন্ধ্যায় ভারত দাবি করে, পাকিস্তান থেকে চালানো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ তারা ভু্লুঞ্ঝ করেছিলেন, যা দুই দেশের সর্বশেষ পাল্টা‑পাল্টি হামলার ধারা।
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আহ্বান
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে “তাৎক্ষণিক উত্তেজনা প্রশমন”‑এর আহ্বান জানান। একই দিনে ইরান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দিল্লি সফর করেন, যা কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ার ইঙ্গিত দেয়।
ভ্যান্সের সাম্প্রতিক ভারত সফর
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ভ্যান্স গত মাসে নয়াদিল্লি গিয়ে জানান, কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর ভারত “সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে” পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে, তবে তা যেন আঞ্চলিক অস্থিরতা না বাড়ায়। একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, দায়িত্ব থাকলে পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সহযোগিতা করবে।