সত্যেন্দ্রকুমার বসু
অশোকের নির্মিত দুই শ ফুট উঁচু একটি স্তূপও সে সময়ে এখানে ছিল, আর বসুবন্ধু যে দুতলা স্তম্ভের উপরে একটি ঘরে তাঁর একখানা গ্রন্থ লিখেছিলেন, আর অসঙ্গ যে আম্রকুঞ্জে বাস করতেন, হিউএনচাঙ তাও দেখেন।
কিন্তু এ সময়ে মাত্র দশটা বৌদ্ধমঠ এখানে ছিল আর তার অবস্থাও খুব খারাপ ছিল। হিন্দুমন্দির কিন্তু প্রায় পঞ্চাশটা ছিল আর তাতে বহু লোক পূজা দিতে আসত। ‘একটি পুরানো প্রাসাদের অঙ্গনে খুব উঁচু একটা বিহারে রাজা উদয়ন কর্তৃক নির্মিত চন্দনকাঠের বুদ্ধমূর্তি আছে।
শাক্যধর্ম লোপ পাবার সময়ে সবশেষে এই প্রদেশ থেকে লোপ পাবে। তাই যারাই এ দেশ দর্শন করতে আসেন, প্রত্যেকেই শোকার্ত হৃদয়ে এখান থেকে বিদায় হন।’
(চলবে)