০৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিনে কিছু এলাকার কারখানা বন্ধ রাখার পরামর্শ বিজিএমইএর সাধারণ মানুষের সচেতনতাই ডিজিটাল ভূমিসেবার সাফল্য: সিনিয়র সচিব মানবাধিকার সংগঠনের সতর্কবার্তা: বাংলাদেশে সংকুচিত হচ্ছে গণতান্ত্রিক পরিসর শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি, দাবি না মানলে লং মার্চের ঘোষণা গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই অন্তত ১০টি বসতঘর দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে উত্তপ্ত বিক্ষোভ, ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা আইসিসিআরের দিগন্ত সিরিজে সংগীতের সন্ধ্যা কলকাতায় বাংলাদেশের সঙ্গে শুল্ক কমাতে বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করল জাপান চব্বিশ সেকেন্ডে উনত্রিশ গুলি, আত্মরক্ষার দাবি ঘিরে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে মার্কোস জুনিয়র ২০২৫ সালে কোনোমতে টিকে ছিলেন। ২০২৬ সালে কি তিনি পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে পাবেন?

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬১)

কোফতার কথা বলতে গেলে কালিয়ার কথা বলতে হয়। একরকম কালিয়া হতো ঢাকায় যার নাম ছিল জাহাজি কালিয়া। তার উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী খণ্ডে।

ঢাকার বৈশিষ্ট্য যদি কোনো কাবাব ধারণ করে থাকে তবে তা বর্তমানে সুতলি কাবাব যাকে হাকিম পারসান্দ কাবাব বলে উল্লেখ করেছেন। উনিশ শতকে ১০-১৫ সের মাংস কীমা বানিয়ে সুতার সঙ্গে লেপটে বা পেঁচিয়ে শিকে পোড়ানো হতো। এ কাবাব এখনো তৈরি হয় কিন্তু পরিমাণ ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।

ঢাকাই খাসির রেজালা 

কাবাবের সঙ্গে কোফতার প্রসঙ্গ আসবে। কোফতা যে রকমভাবে সব জায়গায় তৈরি হতো, এখানেও প্রক্রিয়া ছিল একই রকম। মিঠা কোফতা নামে উনিশ শতকে এক ধরনের কোফতা ছিল।

বেরেজি কোফতার কথা আগে উল্লেখ করেছি যা মিঠা কোফতা নামেও পরিচিত ছিল। এখন তা লুপ্ত।কোফতার কথা বলতে গেলে কালিয়ার কথা বলতে হয়। একরকম কালিয়া হতো ঢাকায় যার নাম ছিল জাহাজি কালিয়া। তার উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী খণ্ডে।

কে এম মোহসীন প্রমুখের লেখায় আরেক ধরনের কালিয়ার উল্লেখ পাই। এর নাম কী ছিল জানি না। তবে তা রান্না করা হতো বাঁশের মোচা দিয়ে। কানিজ উল্লেখ করেছেন, কোরমা বা কালিয়া এসেছে তুরস্ক থেকে। তুর্কিরা কালিয়াতে মরিচ দিতেন না। ঢাকার কালিয়ায় হলুদ ও মরিচ দেয়া হতো।

আরেকটি খাবার ছিল যার নাম ছিল সিশরাঙা। সিশ ফারসি শব্দ যার মানে ছয়। অর্থাৎ সিশরাঙায় পাওয়া যেত ছয় রকমের স্বাদ। কানিজ উল্লেখ করেছেন সিশরাঙার উপাদান ছিল আটটি ডিম, এক পোয়া ঘি, দুই কাপ পেঁয়াজ কুচি, চারটি কমলালেবু বা লেবু এবং একটি আনারস।

মশলা হলো দারুচিনি, এলাচি, লং কিসমিস, এক চামচ চিনি, ডিম আগে সেদ্ধ করে ঘিয়ে ভাজা হতো। সব মিশিয়ে রান্না করা হতো। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, গরমের দিনে আনারস বাটা দেয়া হতো। আর শীতে কমলা লেবু। যারা ঝাল পছন্দ করতেন তারা এর সঙ্গে খানিকটা বাটা মরিচ মেশাতেন। পোলাও, ভাত বা রুটি দিয়ে সিশরাঙা খাওয়া হতো।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬০)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬০)

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিনে কিছু এলাকার কারখানা বন্ধ রাখার পরামর্শ বিজিএমইএর

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬১)

০৭:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

কোফতার কথা বলতে গেলে কালিয়ার কথা বলতে হয়। একরকম কালিয়া হতো ঢাকায় যার নাম ছিল জাহাজি কালিয়া। তার উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী খণ্ডে।

ঢাকার বৈশিষ্ট্য যদি কোনো কাবাব ধারণ করে থাকে তবে তা বর্তমানে সুতলি কাবাব যাকে হাকিম পারসান্দ কাবাব বলে উল্লেখ করেছেন। উনিশ শতকে ১০-১৫ সের মাংস কীমা বানিয়ে সুতার সঙ্গে লেপটে বা পেঁচিয়ে শিকে পোড়ানো হতো। এ কাবাব এখনো তৈরি হয় কিন্তু পরিমাণ ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।

ঢাকাই খাসির রেজালা 

কাবাবের সঙ্গে কোফতার প্রসঙ্গ আসবে। কোফতা যে রকমভাবে সব জায়গায় তৈরি হতো, এখানেও প্রক্রিয়া ছিল একই রকম। মিঠা কোফতা নামে উনিশ শতকে এক ধরনের কোফতা ছিল।

বেরেজি কোফতার কথা আগে উল্লেখ করেছি যা মিঠা কোফতা নামেও পরিচিত ছিল। এখন তা লুপ্ত।কোফতার কথা বলতে গেলে কালিয়ার কথা বলতে হয়। একরকম কালিয়া হতো ঢাকায় যার নাম ছিল জাহাজি কালিয়া। তার উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী খণ্ডে।

কে এম মোহসীন প্রমুখের লেখায় আরেক ধরনের কালিয়ার উল্লেখ পাই। এর নাম কী ছিল জানি না। তবে তা রান্না করা হতো বাঁশের মোচা দিয়ে। কানিজ উল্লেখ করেছেন, কোরমা বা কালিয়া এসেছে তুরস্ক থেকে। তুর্কিরা কালিয়াতে মরিচ দিতেন না। ঢাকার কালিয়ায় হলুদ ও মরিচ দেয়া হতো।

আরেকটি খাবার ছিল যার নাম ছিল সিশরাঙা। সিশ ফারসি শব্দ যার মানে ছয়। অর্থাৎ সিশরাঙায় পাওয়া যেত ছয় রকমের স্বাদ। কানিজ উল্লেখ করেছেন সিশরাঙার উপাদান ছিল আটটি ডিম, এক পোয়া ঘি, দুই কাপ পেঁয়াজ কুচি, চারটি কমলালেবু বা লেবু এবং একটি আনারস।

মশলা হলো দারুচিনি, এলাচি, লং কিসমিস, এক চামচ চিনি, ডিম আগে সেদ্ধ করে ঘিয়ে ভাজা হতো। সব মিশিয়ে রান্না করা হতো। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, গরমের দিনে আনারস বাটা দেয়া হতো। আর শীতে কমলা লেবু। যারা ঝাল পছন্দ করতেন তারা এর সঙ্গে খানিকটা বাটা মরিচ মেশাতেন। পোলাও, ভাত বা রুটি দিয়ে সিশরাঙা খাওয়া হতো।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬০)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬০)