০৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
দুবাইয়ে সোনার ঝলক, ইতিহাস গড়ে ২২ ক্যারেট ছুঁল ৫০০ দিরহাম বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানাল ঢাকা পদ্মা ব্যাংকের একশ তেত্রিশতম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত ঘরের মাটিতে যুদ্ধের প্রস্তুতি: ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা পুনর্গঠনে ধীরগতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ চিপের স্বনির্ভরতার স্বপ্নে আমেরিকার লাল ফিতার বাধা অর্গান সঙ্গীতে ধ্যানের আমন্ত্রণ এলেন আরকব্রো ম্যানহাটনে ফিরছে বামিয়ান বুদ্ধ, ধ্বংসের স্মৃতি থেকে মানবতার নতুন প্রতীক ক্যামেরায় ধরা পড়ল মেরু ভালুকের বিরল দত্তক গল্প, প্রকৃতিতে নজিরবিহীন ঘটনা আগুনের ঘরে একা কুকুর, ধোঁয়া ভেদ করে মানবতার সাহসী উদ্ধার থাই সীমান্তের দুর্গম খেমার মন্দির ঘিরে সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত থাই সেনা ও গ্রামবাসী

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬৫)

বিদেশ হইতে কেহ কোন পুস্তকের আদেশ করিয়া মূল্য এবং পেকিং খরচ পাঠাইলে অবিলম্বে পুস্তক প্রেরিত হয়।

১৮৭৭ সালে প্রকাশিত ‘পলাশির যুদ্ধ কাব্যের সরল ব্যাখ্যা’র শেষ পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন-

বিজ্ঞাপন-

“কাব্য প্রকাশ লাইব্রেরি।
৯নং ভবন, পাটুয়াটুলী, ঢাকা।

এই দোকানে বহুবিধ নূতন কাব্য, নাটক, প্রহসন, উপন্যাস, নবোন্যাস প্রভৃতি এবং তদতিরিক্ত বাঙ্গালা পাঠশালার পাঠ্যপুস্তক এবং তৎসমুদয়ের অর্থবহি প্রভৃতি পাওয়া যায়। নগদ মূল্য ভিন্ন কাহাকেও পুস্তক দেওয়া হয় না। বিদেশ হইতে কেহ কোন পুস্তকের আদেশ করিয়া মূল্য এবং পেকিং খরচ পাঠাইলে অবিলম্বে পুস্তক প্রেরিত হয়। অধিক পুস্তক ক্রয় করিলে যথোপযুক্ত কমিশন দেওয়া হয়।”

বঙ্গদেশের বিবরণের প্রচ্ছদ 

বাবুবাজার এলাকায় পেয়েছি একটি বইয়ের দোকানের নাম- এন. কে. চট্টোপাধ্যায় এন্ড কোম্পানির পুস্তকালয়। এন কে চট্টোপাধ্যায় হলেন তৎকালীন বিখ্যাত ব্রাহ্ম ও সমাজসেবী নবকান্ত চট্টোপাধ্যায়। ১৮৭৪ সালে প্রকাশিত ‘সাহিত্য সোপান’-এ বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছিল- এ দোকান সম্পর্কে “আমাদের পুদ্ধকালয়ে ইংরেজি, বাঙ্গালা পাঠ্যপুস্তক, নানা প্রকার কাব্য, প্রহসন, নাটক এবং ব্রাহ্মধর্ম সম্বন্ধীয় পুস্তক সকল বিক্রয়ার্থ প্রস্তুত আছে। স্থানীয় রীত্যানুসারে কমিশন দেওয়া হয়।”

মোগলটুলিতে পেয়েছি তিনটি দোকানের নাম দ্বারকানাথ পাল মহাশয়ের পুস্তকালয় (১৮৭১), ব্রজদাস বাবাজীর পুস্তকালয় (১৮৭৩), বেণীমাধব দেব কোম্পানি (১৮৭৬) ব্রজদাস বাবাজীর বইয়ের দোকান থেকে সাধারণত বিক্রি হতো ধর্মীয় পুস্তিকা, যেমন, শনির পাঁচালী বা সত্য নারায়ণের পাঁচালী প্রভৃতি। এছাড়া আরও কিছু দোকানের নাম পাওয়া গেছে কিন্তু সেগুলি পাটুয়াটুলি না মোগলটুলি না ইসলামপুর কোথায় ছিল তা এখনও নির্দিষ্ট করতে পারিনি। সেগুলি হলো-

‘দীননাথ সিংহ মহাশয়ের পুস্তকালয়’ (১৮৬৮), ‘অনাথবন্ধু মৌলিকের পুস্তকালয়’ (১৮৬৯), ‘কৈলাসচন্দ্র ঘোষের পুস্তকালয়’ (১৮৬৯), ‘স্টুডেন্টস লাইব্রেরি’ (১৮৮০), ‘গোবিন্দলাল লাইব্রেরি’ (মালিক: রজনীনাথ সেন) এবং ‘রিপন লাইব্রেরি’ (মালিক: জানকীনাথ ঘোষাল)।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬৪)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬৪)

জনপ্রিয় সংবাদ

দুবাইয়ে সোনার ঝলক, ইতিহাস গড়ে ২২ ক্যারেট ছুঁল ৫০০ দিরহাম

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬৫)

০৭:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

বিদেশ হইতে কেহ কোন পুস্তকের আদেশ করিয়া মূল্য এবং পেকিং খরচ পাঠাইলে অবিলম্বে পুস্তক প্রেরিত হয়।

১৮৭৭ সালে প্রকাশিত ‘পলাশির যুদ্ধ কাব্যের সরল ব্যাখ্যা’র শেষ পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন-

বিজ্ঞাপন-

“কাব্য প্রকাশ লাইব্রেরি।
৯নং ভবন, পাটুয়াটুলী, ঢাকা।

এই দোকানে বহুবিধ নূতন কাব্য, নাটক, প্রহসন, উপন্যাস, নবোন্যাস প্রভৃতি এবং তদতিরিক্ত বাঙ্গালা পাঠশালার পাঠ্যপুস্তক এবং তৎসমুদয়ের অর্থবহি প্রভৃতি পাওয়া যায়। নগদ মূল্য ভিন্ন কাহাকেও পুস্তক দেওয়া হয় না। বিদেশ হইতে কেহ কোন পুস্তকের আদেশ করিয়া মূল্য এবং পেকিং খরচ পাঠাইলে অবিলম্বে পুস্তক প্রেরিত হয়। অধিক পুস্তক ক্রয় করিলে যথোপযুক্ত কমিশন দেওয়া হয়।”

বঙ্গদেশের বিবরণের প্রচ্ছদ 

বাবুবাজার এলাকায় পেয়েছি একটি বইয়ের দোকানের নাম- এন. কে. চট্টোপাধ্যায় এন্ড কোম্পানির পুস্তকালয়। এন কে চট্টোপাধ্যায় হলেন তৎকালীন বিখ্যাত ব্রাহ্ম ও সমাজসেবী নবকান্ত চট্টোপাধ্যায়। ১৮৭৪ সালে প্রকাশিত ‘সাহিত্য সোপান’-এ বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছিল- এ দোকান সম্পর্কে “আমাদের পুদ্ধকালয়ে ইংরেজি, বাঙ্গালা পাঠ্যপুস্তক, নানা প্রকার কাব্য, প্রহসন, নাটক এবং ব্রাহ্মধর্ম সম্বন্ধীয় পুস্তক সকল বিক্রয়ার্থ প্রস্তুত আছে। স্থানীয় রীত্যানুসারে কমিশন দেওয়া হয়।”

মোগলটুলিতে পেয়েছি তিনটি দোকানের নাম দ্বারকানাথ পাল মহাশয়ের পুস্তকালয় (১৮৭১), ব্রজদাস বাবাজীর পুস্তকালয় (১৮৭৩), বেণীমাধব দেব কোম্পানি (১৮৭৬) ব্রজদাস বাবাজীর বইয়ের দোকান থেকে সাধারণত বিক্রি হতো ধর্মীয় পুস্তিকা, যেমন, শনির পাঁচালী বা সত্য নারায়ণের পাঁচালী প্রভৃতি। এছাড়া আরও কিছু দোকানের নাম পাওয়া গেছে কিন্তু সেগুলি পাটুয়াটুলি না মোগলটুলি না ইসলামপুর কোথায় ছিল তা এখনও নির্দিষ্ট করতে পারিনি। সেগুলি হলো-

‘দীননাথ সিংহ মহাশয়ের পুস্তকালয়’ (১৮৬৮), ‘অনাথবন্ধু মৌলিকের পুস্তকালয়’ (১৮৬৯), ‘কৈলাসচন্দ্র ঘোষের পুস্তকালয়’ (১৮৬৯), ‘স্টুডেন্টস লাইব্রেরি’ (১৮৮০), ‘গোবিন্দলাল লাইব্রেরি’ (মালিক: রজনীনাথ সেন) এবং ‘রিপন লাইব্রেরি’ (মালিক: জানকীনাথ ঘোষাল)।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬৪)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬৪)