১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
কার্বন বাজারের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে, ২০২৫ শেষে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮২) স্ট্যাগফ্লেশনের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে শত শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, বদলে যাচ্ছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি মানচিত্র শহরে বাড়ছে বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি, ২০২৫ সালের বাস্তবতা দুবাই উপকূলে সবুজের বিস্তার, জেবেল আলি সামুদ্রিক সংরক্ষণ এলাকায় নতুন ছয়শ ম্যানগ্রোভ রোপণ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৯) বৈশ্বিক বক্স অফিসে ভারসাম্যের খোঁজ, ২০২৫ শেষে ২০২৫ সালের শেষে লোহিত সাগরে উত্তেজনায় চাপে বৈশ্বিক নৌপরিবহন হাত্তা পাহাড়ে তারাভরা রাত ও প্রকৃতির পাঠ, ব্যতিক্রমী ক্যাম্পিংয়ে নতুন অভিজ্ঞতা

মিত্র পুতিনকে প্রশংসা করলেন মোদি, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার

পুতিনকে ফোন করে শুভেচ্ছা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে তার সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি ওয়াশিংটনের দিক থেকে সরে আসছে বলে মনে হচ্ছে।

আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকের পর মোদি ফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। ভারতের সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এ সময় তারা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখার বিষয়ে একমত হন।

মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ লিখেছেন, “ভারত সব সময় ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে এবং এ ধরনের সব উদ্যোগকে সমর্থন করে। আমি আগামী দিনগুলোতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার অপেক্ষায় আছি।”

চীনের সঙ্গে নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়
মঙ্গলবার বিকেলে মোদি বৈঠক করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে। তিন বছর পর এই প্রথমবারের মতো তিনি ভারত সফরে এলেন। সোমবার বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর জানান, “সম্পর্কের কঠিন সময় অতিক্রম করার পর ভারত ও চীন এখন এগিয়ে যেতে চায়। ভিন্নতা যেন দ্বন্দ্বে না রূপ নেয়, প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে না গড়ায়।”

ওয়াং ই বলেন, “একতরফা দমননীতি এখন বিশ্বে বেড়ে গেছে। তাই ভারত ও চীনকে একসঙ্গে বহুমেরু বিশ্ব গঠনে অবদান রাখতে হবে। আমাদের একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী বা হুমকি হিসেবে নয়, বরং অংশীদার ও সুযোগ হিসেবে দেখতে হবে।”

অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা ও কৌশলগত বার্তা
নয়াদিল্লির এক কর্মকর্তা জানান, চীন ভারতকে সার, রেয়ার আর্থ খনিজ এবং টানেল বোরিং মেশিন সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে। যদিও বেইজিংয়ের সরকারি বিবৃতিতে এ প্রতিশ্রুতির উল্লেখ ছিল না।

ভারত-রাশিয়া ও চীনের এই ঘনিষ্ঠতা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের দুর্বলতাকে ইঙ্গিত করছে। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর ভারত প্রথমে আশা করেছিল দ্রুত বাণিজ্যচুক্তি হবে এবং সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। কিন্তু আলোচনার ব্যর্থতা ও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পদক্ষেপে সেই আশা ভেঙে গেছে। বিশেষ করে রাশিয়ার তেল আমদানির কারণে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসান, যা অনেক ভারতীয় রপ্তানিকারককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা
‘ফিনান্সিয়াল টাইমসে’ এক কলামে ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো ভারতের রাশিয়ার তেল ক্রয়কে “সুযোগসন্ধানী ও ধ্বংসাত্মক” বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, এভাবে ভারত মস্কোর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতাকে পরোক্ষভাবে শক্তিশালী করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কার্বন বাজারের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে, ২০২৫ শেষে

মিত্র পুতিনকে প্রশংসা করলেন মোদি, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার

১১:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

পুতিনকে ফোন করে শুভেচ্ছা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে তার সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি ওয়াশিংটনের দিক থেকে সরে আসছে বলে মনে হচ্ছে।

আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকের পর মোদি ফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। ভারতের সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এ সময় তারা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখার বিষয়ে একমত হন।

মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ লিখেছেন, “ভারত সব সময় ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে এবং এ ধরনের সব উদ্যোগকে সমর্থন করে। আমি আগামী দিনগুলোতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার অপেক্ষায় আছি।”

চীনের সঙ্গে নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়
মঙ্গলবার বিকেলে মোদি বৈঠক করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে। তিন বছর পর এই প্রথমবারের মতো তিনি ভারত সফরে এলেন। সোমবার বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর জানান, “সম্পর্কের কঠিন সময় অতিক্রম করার পর ভারত ও চীন এখন এগিয়ে যেতে চায়। ভিন্নতা যেন দ্বন্দ্বে না রূপ নেয়, প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে না গড়ায়।”

ওয়াং ই বলেন, “একতরফা দমননীতি এখন বিশ্বে বেড়ে গেছে। তাই ভারত ও চীনকে একসঙ্গে বহুমেরু বিশ্ব গঠনে অবদান রাখতে হবে। আমাদের একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী বা হুমকি হিসেবে নয়, বরং অংশীদার ও সুযোগ হিসেবে দেখতে হবে।”

অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা ও কৌশলগত বার্তা
নয়াদিল্লির এক কর্মকর্তা জানান, চীন ভারতকে সার, রেয়ার আর্থ খনিজ এবং টানেল বোরিং মেশিন সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে। যদিও বেইজিংয়ের সরকারি বিবৃতিতে এ প্রতিশ্রুতির উল্লেখ ছিল না।

ভারত-রাশিয়া ও চীনের এই ঘনিষ্ঠতা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের দুর্বলতাকে ইঙ্গিত করছে। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর ভারত প্রথমে আশা করেছিল দ্রুত বাণিজ্যচুক্তি হবে এবং সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। কিন্তু আলোচনার ব্যর্থতা ও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পদক্ষেপে সেই আশা ভেঙে গেছে। বিশেষ করে রাশিয়ার তেল আমদানির কারণে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসান, যা অনেক ভারতীয় রপ্তানিকারককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা
‘ফিনান্সিয়াল টাইমসে’ এক কলামে ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো ভারতের রাশিয়ার তেল ক্রয়কে “সুযোগসন্ধানী ও ধ্বংসাত্মক” বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, এভাবে ভারত মস্কোর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতাকে পরোক্ষভাবে শক্তিশালী করছে।