বেইজিংয়ে নতুন অস্ত্রের প্রদর্শন
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের রাস্তায় সম্প্রতি দেখা গেছে অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্রশস্ত্রের সারি। এর মধ্যে ছিল হাইপারসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, রোড-মোবাইল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের ট্যাঙ্ক, ড্রোন এবং মানববিহীন সামরিক যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, এসব আধুনিক অস্ত্র দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত সামরিক মহড়ায় ব্যবহৃত হয়েছে, যা মূলত আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য সামরিক কুচকাওয়াজের প্রস্তুতির অংশ।

দ্বিতীয় মহড়ায় আধুনিক প্রযুক্তি
গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত তিয়ানআনমেন স্কোয়ার সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার সেনাসদস্য এই মহড়ায় অংশ নেয়। এতে বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজে প্রদর্শনের জন্য রাখা প্রায় সব অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়। এর আগে এক সপ্তাহ আগে ছোট পরিসরে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এই প্রদর্শনী মূলত ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সামরিক কুচকাওয়াজের জন্য, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হবে।
হাইপারসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল
মহড়ার ছবিতে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে ওয়াই-জে (YJ) সিরিজের অ্যান্টি-শিপ মিসাইল। এর মধ্যে দেখা গেছে ওয়াই-জে-১৫ (YJ-15) এবং তিনটি সম্ভাব্য হাইপারসনিক মিসাইল—ওয়াই-জে-১৭ (YJ-17), ওয়াই-জে-১৯ (YJ-19) ও ওয়াই-জে-২০ (YJ-20)।
ওয়াই-জে-১৭ মিসাইলটিতে হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল (HGV) রয়েছে, যা চীনের প্রথম ডিএফ-১৭ (DF-17) মিসাইলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। অপরদিকে ওয়াই-জে-১৯ মিসাইলের বাহ্যিক নকশা ও এর এয়ার ইনলেট রাশিয়ার জিরকন হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সঙ্গে মিলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে এটি স্ক্র্যামজেট প্রযুক্তি চালিত।

ওয়াই-জে-২০ মিসাইলটির দ্বিশঙ্কু (biconic) এরোডাইনামিক কাঠামো ইঙ্গিত দিচ্ছে এটি একটি ‘ম্যানুভারেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকল’, যা আঘাতের আগে দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম।
অন্যান্য উন্নত সামরিক প্রযুক্তি
এছাড়াও মহড়ায় দেখা গেছে মানববিহীন পানির নিচে ব্যবহৃত যান, বিশালাকৃতির লেজার অস্ত্র, ড্রোন বহর, মানববিহীন স্থলযান ও আধুনিক সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক। এসব প্রযুক্তি চীনের সামরিক সক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতিফলন হিসেবে ধরা হচ্ছে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) এসব নতুন প্রদর্শনী শুধু দেশের ভেতরেই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















