০৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
পরিষ্কার জ্বালানির প্রবৃদ্ধিতে বৈশ্বিক নিঃসরণ স্থিতিশীল, তবে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে এআই ব্যবহারের গতি বাড়ায় নতুন নিরাপত্তা স্তর ঘোষণা ওপেনএআইয়ের শীতের শুরুতে যুদ্ধের চাপ বাড়াচ্ছে ইউক্রেন, দীর্ঘ সংঘাতের ইঙ্গিত মস্কোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নতুন কড়াকড়ি, চাপের মুখে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির চাপ বাড়ছে,মানবিক সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভিয়েতনামের বিরল খনিজে ১৯ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এলএস ইকো এনার্জির নতুন মুম্বাই বিমানবন্দর চালু, উড়োজাহাজ খাতে আদানির এক লাখ কোটি টাকার বাজি চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত খনি কোম্পানির ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি, ইকুয়েডরের বড় তামা প্রকল্প কিনছে জিয়াংসি কপার সিউলই পারে যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া পরমাণু আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে: বাস্তবতার পথে নতুন কৌশল মার্কিন বাজারে ভারতের রপ্তানি বাড়লেও ভেতরে দুর্বলতার ইঙ্গিত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

চীনে নতুন জাতের রেপসিডে এশিয়ায় কৃষি বিপ্লবের হাতছানি

  • Sarakhon Report
  • ০৫:২৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • 93

চীনা গবেষকরা উত্তর এশিয়ার কঠিন আবহাওয়ার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী একটি নতুন জাতের রেপসিড উদ্ভাবন করেছেন, যা ফলন ও তেলের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে সক্ষম। চীনা কৃষি বিজ্ঞান একাডেমি (সিএএএস) জানাল, নতুন এই জাতের নাম বেইইয়াইয়ৌ-১। জাতটি উদ্ভাবন করেছে অয়েল ক্রপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইনার মঙ্গোলিয়া একাডেমি অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড অ্যানিমেল হাসব্যান্ড্রি সায়েন্সেস।

এটি উত্তরাঞ্চলের স্বল্প সময়ের চাষাবাদ উপযোগী পাঁচটি নতুন জাতের মধ্যে অন্যতম। গবেষক তুন সিয়াওলিং জানান, বেইইয়াইয়ৌ-১ মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে পুরো বৃদ্ধির চক্র সম্পন্ন করতে পারে, যা উত্তর এশিয়ার জন্য এক বড় সাফল্য। কারণ এই অঞ্চলের (ইনার মঙ্গোলিয়া, সিনচিয়াং, হেইলংচিয়াং ও চিলিন প্রদেশ) জমিতে অল্প সময়ের তুষারমুক্ত মৌসুম ও কম তাপমাত্রার কারণে আগের জাতের রেপসিড চাষ হতো কম। মাঠ পরীক্ষায় দেখা গেছে, বেইইয়াইয়ৌ-১ প্রতি হেক্টরে ৪.২৭ মেট্রিক টন পর্যন্ত ফলন দিয়েছে, যা স্থানীয় জাতের গড় ফলনের তুলনায় ৯৩ শতাংশ বেশি।

এ ছাড়া এর ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতাও বেশি। ২০২৪ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো দেশীয় ভোজ্যতেল ফসলের উৎপাদন বাড়ানো ও আমদানি নির্ভরতা কমানো। গবেষক দল মূলত ৪৫ ডিগ্রি অক্ষাংশের উত্তরের জমিকে লক্ষ্য করেছে, যেখানে তুষারমুক্ত মৌসুম ১০০ দিনেরও কম। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উত্তর এশীয় রেপসিড ও সয়াবিন বিজ্ঞান-প্রযুক্তি উদ্ভাবন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। এখানে জৈবপ্রযুক্তি ও পরিবেশভিত্তিক প্রজনন কৌশল মিলিয়ে নতুন মডেল তৈরি করা হয়। তুন জানান, ‘আগে একাধিক মৌসুম অপেক্ষা করতে হতো।

এখন ডাবলড হ্যাপ্লয়েড প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র এক প্রজন্মেই জেনেটিক্যালি খাঁটি উদ্ভিদ তৈরি সম্ভব।’ ২০২৪ সালে ইনার মঙ্গোলিয়ার এরগুনে ৮ হাজারের বেশি ডাবলড হ্যাপ্লয়েড লাইন পরীক্ষা করে ছয়টি উৎকৃষ্ট ‘প্যারেন্ট লাইন’ বাছাই করা হয়। এগুলো থেকে ১৭টি নতুন হাইব্রিড তৈরি করা হয়, যার মধ্যে পাঁচটি প্রদর্শনী পরীক্ষায় রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বেইইয়াইয়ৌ-১। গবেষকরা মনে করছেন, এই সাফল্য দীর্ঘদিন ধরে উত্তর এশিয়ায় ভোজ্যতেল উৎপাদনের সংকট কাটাতে সহায়ক হবে।

সিএমজি বাংলা

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিষ্কার জ্বালানির প্রবৃদ্ধিতে বৈশ্বিক নিঃসরণ স্থিতিশীল, তবে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে

চীনে নতুন জাতের রেপসিডে এশিয়ায় কৃষি বিপ্লবের হাতছানি

০৫:২৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

চীনা গবেষকরা উত্তর এশিয়ার কঠিন আবহাওয়ার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী একটি নতুন জাতের রেপসিড উদ্ভাবন করেছেন, যা ফলন ও তেলের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে সক্ষম। চীনা কৃষি বিজ্ঞান একাডেমি (সিএএএস) জানাল, নতুন এই জাতের নাম বেইইয়াইয়ৌ-১। জাতটি উদ্ভাবন করেছে অয়েল ক্রপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইনার মঙ্গোলিয়া একাডেমি অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড অ্যানিমেল হাসব্যান্ড্রি সায়েন্সেস।

এটি উত্তরাঞ্চলের স্বল্প সময়ের চাষাবাদ উপযোগী পাঁচটি নতুন জাতের মধ্যে অন্যতম। গবেষক তুন সিয়াওলিং জানান, বেইইয়াইয়ৌ-১ মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে পুরো বৃদ্ধির চক্র সম্পন্ন করতে পারে, যা উত্তর এশিয়ার জন্য এক বড় সাফল্য। কারণ এই অঞ্চলের (ইনার মঙ্গোলিয়া, সিনচিয়াং, হেইলংচিয়াং ও চিলিন প্রদেশ) জমিতে অল্প সময়ের তুষারমুক্ত মৌসুম ও কম তাপমাত্রার কারণে আগের জাতের রেপসিড চাষ হতো কম। মাঠ পরীক্ষায় দেখা গেছে, বেইইয়াইয়ৌ-১ প্রতি হেক্টরে ৪.২৭ মেট্রিক টন পর্যন্ত ফলন দিয়েছে, যা স্থানীয় জাতের গড় ফলনের তুলনায় ৯৩ শতাংশ বেশি।

এ ছাড়া এর ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতাও বেশি। ২০২৪ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো দেশীয় ভোজ্যতেল ফসলের উৎপাদন বাড়ানো ও আমদানি নির্ভরতা কমানো। গবেষক দল মূলত ৪৫ ডিগ্রি অক্ষাংশের উত্তরের জমিকে লক্ষ্য করেছে, যেখানে তুষারমুক্ত মৌসুম ১০০ দিনেরও কম। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উত্তর এশীয় রেপসিড ও সয়াবিন বিজ্ঞান-প্রযুক্তি উদ্ভাবন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। এখানে জৈবপ্রযুক্তি ও পরিবেশভিত্তিক প্রজনন কৌশল মিলিয়ে নতুন মডেল তৈরি করা হয়। তুন জানান, ‘আগে একাধিক মৌসুম অপেক্ষা করতে হতো।

এখন ডাবলড হ্যাপ্লয়েড প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র এক প্রজন্মেই জেনেটিক্যালি খাঁটি উদ্ভিদ তৈরি সম্ভব।’ ২০২৪ সালে ইনার মঙ্গোলিয়ার এরগুনে ৮ হাজারের বেশি ডাবলড হ্যাপ্লয়েড লাইন পরীক্ষা করে ছয়টি উৎকৃষ্ট ‘প্যারেন্ট লাইন’ বাছাই করা হয়। এগুলো থেকে ১৭টি নতুন হাইব্রিড তৈরি করা হয়, যার মধ্যে পাঁচটি প্রদর্শনী পরীক্ষায় রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বেইইয়াইয়ৌ-১। গবেষকরা মনে করছেন, এই সাফল্য দীর্ঘদিন ধরে উত্তর এশিয়ায় ভোজ্যতেল উৎপাদনের সংকট কাটাতে সহায়ক হবে।

সিএমজি বাংলা