০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
পরিষ্কার জ্বালানির প্রবৃদ্ধিতে বৈশ্বিক নিঃসরণ স্থিতিশীল, তবে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে এআই ব্যবহারের গতি বাড়ায় নতুন নিরাপত্তা স্তর ঘোষণা ওপেনএআইয়ের শীতের শুরুতে যুদ্ধের চাপ বাড়াচ্ছে ইউক্রেন, দীর্ঘ সংঘাতের ইঙ্গিত মস্কোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নতুন কড়াকড়ি, চাপের মুখে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির চাপ বাড়ছে,মানবিক সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভিয়েতনামের বিরল খনিজে ১৯ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এলএস ইকো এনার্জির নতুন মুম্বাই বিমানবন্দর চালু, উড়োজাহাজ খাতে আদানির এক লাখ কোটি টাকার বাজি চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত খনি কোম্পানির ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি, ইকুয়েডরের বড় তামা প্রকল্প কিনছে জিয়াংসি কপার সিউলই পারে যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া পরমাণু আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে: বাস্তবতার পথে নতুন কৌশল মার্কিন বাজারে ভারতের রপ্তানি বাড়লেও ভেতরে দুর্বলতার ইঙ্গিত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

ভিন্নমত পেরিয়ে অর্থনীতিবিদদের ঐক্য

ট্রাম্প যুগে বিরল ঐক্য

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন আমেরিকার শ্রম পরিসংখ্যান প্রধান এরিকা ম্যাকএন্টারফার-কে বরখাস্ত করলেন, তখন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটল—অর্থনীতিবিদরা একসঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করলেন। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লার্ক সেন্টারের এক জরিপে শতভাগ অর্থনীতিবিদ একমত হন যে, শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিএলএস) পক্ষপাতদুষ্ট নয়।

ইতিহাসে অর্থনীতিবিদরা নানা বিষয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। ১৮ শতকে ধ্রুপদী অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মেরকান্টিলিস্টদের বিরোধ, ২০ শতকে কেইনসীয়দের সঙ্গে মুদ্রানীতিবিদদের বিতর্ক কিংবা সাম্প্রতিক সময়ে ‘র‍্যাশনাল এক্সপেক্টেশনস’ বনাম ‘বিহেভিয়ারাল ইকোনমিকস’-এর সংঘর্ষ এ বিষয়টির প্রমাণ। অনেক সময় এসব তর্ক কেবল একাডেমিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকে, আবার অনেক সময় তা ছড়িয়ে পড়ে ন্যূনতম মজুরি, ঋণের স্থায়িত্ব বা মুদ্রানীতির মতো জনসাধারণের আলোচনায়।

জর্জ বার্নার্ড শ মজা করে বলেছিলেন, সব অর্থনীতিবিদকে এক লাইনে দাঁড় করালেও তারা কখনো একমত হবেন না। উইনস্টন চার্চিলও বলেছিলেন, যদি দুটি মতামত চাই, তবে একটি ঘরে দুজন অর্থনীতিবিদকে বসিয়ে দিন। অথচ ট্রাম্পের নীতিগুলো এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে ভিন্নমতের অর্থনীতিবিদরাও অভূতপূর্বভাবে একমত হচ্ছেন।

জরিপে ঐকমত্য ও ভিন্নমত

২০১১ সাল থেকে ক্লার্ক সেন্টার অর্থনীতিবিদদের কাছে নানা সমসাময়িক প্রশ্ন রাখছে—ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফ্র্যাকিং, বৈষম্য কিংবা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা। ট্রাম্পের সময় কিছু প্রশ্নে ঐকমত্য বাড়লেও গবেষণায় দেখা যায়, ট্রাম্পের আগেও অনেক প্রশ্নে অর্থনীতিবিদরা একই অবস্থানে ছিলেন। বেশিরভাগ জরিপে ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি অর্থনীতিবিদ একই দিকেই ঝুঁকেছেন।

মুক্ত বাণিজ্যে সমর্থন

প্রায় সব জরিপেই দেখা যায়, মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে অর্থনীতিবিদদের শক্ত অবস্থান। নাফটা কিংবা চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের মতো ইস্যুতে তাদের স্পষ্ট মত—আমেরিকানরা মুক্ত বাণিজ্যে উপকৃত। শুল্ক বাড়িয়ে উৎপাদন দেশে ফিরিয়ে আনার ধারণার সঙ্গে কেউ একমত নন।

করনীতি নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি

করনীতিতে ঐক্যমত্যের আরেকটি দিক হলো—পিগুভিয়ান করকে সমর্থন ও লাফার কার্ভকে প্রত্যাখ্যান। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের কর ছাড় জিডিপি বাড়াবে বলে খুব কম অর্থনীতিবিদই বিশ্বাস করেছেন। আবার শীর্ষ করহার ৩৯.৬ শতাংশে ফেরানো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাধা দেবে—এমন ধারণার সঙ্গেও অধিকাংশ দ্বিমত পোষণ করেছেন।

ট্রাম্পবিরোধিতা নয়, বাস্তবতা

জরিপে পাওয়া অনেক ঐকমত্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির প্রত্যাখ্যানের মতো শোনালেও বিষয়টি একপেশে নয়। অর্থনীতিবিদরা যেমন উচ্চ দক্ষ অভিবাসন নিষিদ্ধকরণকে অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর বলেছেন, তেমনি তারা সুদের হারের সীমা নির্ধারণ বা ভাড়া নিয়ন্ত্রণের মতো বামপন্থি প্রস্তাবগুলোকেও সমালোচনা করেছেন।

তাদের মতে, ভ্যাকসিন প্রত্যাখ্যান সমাজে বহিরাগত ক্ষতি আনে, মুদ্রানীতি রাজনৈতিক করা বিপজ্জনক, আর উচ্চ দক্ষ অভিবাসনে নিষেধাজ্ঞা গবেষণা ও উদ্ভাবনকে দুর্বল করবে। একইসঙ্গে তারা একমত যে বৈষম্য গণতন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, তবে টমাস পিকেটির বক্তব্য—মূলধনের মুনাফা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে দ্রুত বাড়ছে বলে বৈষম্য বাড়ছে—এ বিষয়ে তারা দ্বিধান্বিত।

ভিন্নমতের ক্ষেত্র

যদিও অনেক বিষয়ে ঐক্যমত্য আছে, কিছু ক্ষেত্রে তীব্র ভিন্নমতও স্পষ্ট।

অ্যান্টিট্রাস্ট

আমেরিকার এয়ারলাইন সংযুক্তি অনুমোদন করা ঠিক হয়েছে কি না, বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ভেঙে ফেলা উচিত কি না কিংবা এআই প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি হওয়া উচিত কি না—এসব বিষয়ে অর্থনীতিবিদরা বিভক্ত।

আর্থিক নিয়ন্ত্রণ

সবাই মানছেন, আর্থিক খাতে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন, বিশেষ করে ব্যাংক বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে। তবে ‘সঠিক নিয়ন্ত্রণ’ কেমন হবে, তা নিয়ে মতভেদ। ব্যাংকের আকার কি সীমিত করা উচিত, গ্রাহকদের জন্য আমানত বীমা কি বাড়ানো উচিত—এসব প্রশ্নে মাত্র ৬০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থনীতিবিদ একপক্ষে আছেন।

কেন ঐক্য ও মতভেদ

বাণিজ্য বা অভিবাসন বিষয়ে গবেষণা ও প্রমাণের ভাণ্ডার থাকায় অর্থনীতিবিদরা এখানে সহজে একমত হন। কিন্তু অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা বা আর্থিক সংকট খুব বিরল ঘটনা, তাই এ বিষয়ে সাধারণীকরণ কঠিন। ফলে এ খাতে ঐকমত্যের বদলে ভিন্নমতই বেশি দেখা যায়।

ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা

জরিপে আরেকটি বিষয় উঠে এসেছে—ভবিষ্যৎ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের অনিশ্চয়তা। যেমন:

  • এআই কি ইন্টারনেটের মতো জিডিপি বাড়াবে?
  • দশ বছরে কি স্থিতিশীল মুদ্রা (স্টেবলকয়েন) বড় অংশের অর্থপ্রবাহ দখল করবে?
  • বেসরকারি ঋণের প্রসার কি আর্থিক ঝুঁকি বাড়াচ্ছে?

এমন প্রশ্নে অর্থনীতিবিদরা এককথায় উত্তর দিতে চান না। রাজনীতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত, কিন্তু ভবিষ্যৎ অনুমান করতে তারা সতর্ক।

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিষ্কার জ্বালানির প্রবৃদ্ধিতে বৈশ্বিক নিঃসরণ স্থিতিশীল, তবে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে

ভিন্নমত পেরিয়ে অর্থনীতিবিদদের ঐক্য

০৬:২৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

ট্রাম্প যুগে বিরল ঐক্য

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন আমেরিকার শ্রম পরিসংখ্যান প্রধান এরিকা ম্যাকএন্টারফার-কে বরখাস্ত করলেন, তখন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটল—অর্থনীতিবিদরা একসঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করলেন। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লার্ক সেন্টারের এক জরিপে শতভাগ অর্থনীতিবিদ একমত হন যে, শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিএলএস) পক্ষপাতদুষ্ট নয়।

ইতিহাসে অর্থনীতিবিদরা নানা বিষয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। ১৮ শতকে ধ্রুপদী অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মেরকান্টিলিস্টদের বিরোধ, ২০ শতকে কেইনসীয়দের সঙ্গে মুদ্রানীতিবিদদের বিতর্ক কিংবা সাম্প্রতিক সময়ে ‘র‍্যাশনাল এক্সপেক্টেশনস’ বনাম ‘বিহেভিয়ারাল ইকোনমিকস’-এর সংঘর্ষ এ বিষয়টির প্রমাণ। অনেক সময় এসব তর্ক কেবল একাডেমিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকে, আবার অনেক সময় তা ছড়িয়ে পড়ে ন্যূনতম মজুরি, ঋণের স্থায়িত্ব বা মুদ্রানীতির মতো জনসাধারণের আলোচনায়।

জর্জ বার্নার্ড শ মজা করে বলেছিলেন, সব অর্থনীতিবিদকে এক লাইনে দাঁড় করালেও তারা কখনো একমত হবেন না। উইনস্টন চার্চিলও বলেছিলেন, যদি দুটি মতামত চাই, তবে একটি ঘরে দুজন অর্থনীতিবিদকে বসিয়ে দিন। অথচ ট্রাম্পের নীতিগুলো এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে ভিন্নমতের অর্থনীতিবিদরাও অভূতপূর্বভাবে একমত হচ্ছেন।

জরিপে ঐকমত্য ও ভিন্নমত

২০১১ সাল থেকে ক্লার্ক সেন্টার অর্থনীতিবিদদের কাছে নানা সমসাময়িক প্রশ্ন রাখছে—ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফ্র্যাকিং, বৈষম্য কিংবা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা। ট্রাম্পের সময় কিছু প্রশ্নে ঐকমত্য বাড়লেও গবেষণায় দেখা যায়, ট্রাম্পের আগেও অনেক প্রশ্নে অর্থনীতিবিদরা একই অবস্থানে ছিলেন। বেশিরভাগ জরিপে ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি অর্থনীতিবিদ একই দিকেই ঝুঁকেছেন।

মুক্ত বাণিজ্যে সমর্থন

প্রায় সব জরিপেই দেখা যায়, মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে অর্থনীতিবিদদের শক্ত অবস্থান। নাফটা কিংবা চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের মতো ইস্যুতে তাদের স্পষ্ট মত—আমেরিকানরা মুক্ত বাণিজ্যে উপকৃত। শুল্ক বাড়িয়ে উৎপাদন দেশে ফিরিয়ে আনার ধারণার সঙ্গে কেউ একমত নন।

করনীতি নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি

করনীতিতে ঐক্যমত্যের আরেকটি দিক হলো—পিগুভিয়ান করকে সমর্থন ও লাফার কার্ভকে প্রত্যাখ্যান। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের কর ছাড় জিডিপি বাড়াবে বলে খুব কম অর্থনীতিবিদই বিশ্বাস করেছেন। আবার শীর্ষ করহার ৩৯.৬ শতাংশে ফেরানো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাধা দেবে—এমন ধারণার সঙ্গেও অধিকাংশ দ্বিমত পোষণ করেছেন।

ট্রাম্পবিরোধিতা নয়, বাস্তবতা

জরিপে পাওয়া অনেক ঐকমত্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির প্রত্যাখ্যানের মতো শোনালেও বিষয়টি একপেশে নয়। অর্থনীতিবিদরা যেমন উচ্চ দক্ষ অভিবাসন নিষিদ্ধকরণকে অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর বলেছেন, তেমনি তারা সুদের হারের সীমা নির্ধারণ বা ভাড়া নিয়ন্ত্রণের মতো বামপন্থি প্রস্তাবগুলোকেও সমালোচনা করেছেন।

তাদের মতে, ভ্যাকসিন প্রত্যাখ্যান সমাজে বহিরাগত ক্ষতি আনে, মুদ্রানীতি রাজনৈতিক করা বিপজ্জনক, আর উচ্চ দক্ষ অভিবাসনে নিষেধাজ্ঞা গবেষণা ও উদ্ভাবনকে দুর্বল করবে। একইসঙ্গে তারা একমত যে বৈষম্য গণতন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, তবে টমাস পিকেটির বক্তব্য—মূলধনের মুনাফা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে দ্রুত বাড়ছে বলে বৈষম্য বাড়ছে—এ বিষয়ে তারা দ্বিধান্বিত।

ভিন্নমতের ক্ষেত্র

যদিও অনেক বিষয়ে ঐক্যমত্য আছে, কিছু ক্ষেত্রে তীব্র ভিন্নমতও স্পষ্ট।

অ্যান্টিট্রাস্ট

আমেরিকার এয়ারলাইন সংযুক্তি অনুমোদন করা ঠিক হয়েছে কি না, বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ভেঙে ফেলা উচিত কি না কিংবা এআই প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি হওয়া উচিত কি না—এসব বিষয়ে অর্থনীতিবিদরা বিভক্ত।

আর্থিক নিয়ন্ত্রণ

সবাই মানছেন, আর্থিক খাতে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন, বিশেষ করে ব্যাংক বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে। তবে ‘সঠিক নিয়ন্ত্রণ’ কেমন হবে, তা নিয়ে মতভেদ। ব্যাংকের আকার কি সীমিত করা উচিত, গ্রাহকদের জন্য আমানত বীমা কি বাড়ানো উচিত—এসব প্রশ্নে মাত্র ৬০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থনীতিবিদ একপক্ষে আছেন।

কেন ঐক্য ও মতভেদ

বাণিজ্য বা অভিবাসন বিষয়ে গবেষণা ও প্রমাণের ভাণ্ডার থাকায় অর্থনীতিবিদরা এখানে সহজে একমত হন। কিন্তু অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা বা আর্থিক সংকট খুব বিরল ঘটনা, তাই এ বিষয়ে সাধারণীকরণ কঠিন। ফলে এ খাতে ঐকমত্যের বদলে ভিন্নমতই বেশি দেখা যায়।

ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা

জরিপে আরেকটি বিষয় উঠে এসেছে—ভবিষ্যৎ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের অনিশ্চয়তা। যেমন:

  • এআই কি ইন্টারনেটের মতো জিডিপি বাড়াবে?
  • দশ বছরে কি স্থিতিশীল মুদ্রা (স্টেবলকয়েন) বড় অংশের অর্থপ্রবাহ দখল করবে?
  • বেসরকারি ঋণের প্রসার কি আর্থিক ঝুঁকি বাড়াচ্ছে?

এমন প্রশ্নে অর্থনীতিবিদরা এককথায় উত্তর দিতে চান না। রাজনীতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত, কিন্তু ভবিষ্যৎ অনুমান করতে তারা সতর্ক।