দশম পরিচ্ছেদ
দুম করে আরেকটা আওয়াজ হল। তারপর একটা টুল সরানোর আওয়াজ। ফের শুরু হল গম্ভীর গলার সেই টেনে-টেনে কথা:
“উল্টা দিক’ দেখাচ্ছি তোমায়। দাঁড়াও। এখুনি তোমায় আমি উল্টো দিকে পাঠাব।’
‘না-মেরে আমারে একদম খতম করে দিতি হুকুম দেন না কেন,’ চুবুকের গলা এবার আগের চেয়ে আস্তে শোনা গেল। ‘আমাদের নোকে যদি আপনারে ধরত, স্যার, তাইলে মুখে দু-এক ঘা ঘুসি কষিয়ে তারপর একবারে সাবাড় করি দিত। কিন্তু আপনে তো আমারে দেখি চাবুক হাঁকড়ে-হাঁকড়ে শরীলটে ফালা-ফালা করে দিলেন, ইদিকে নিজেদের আবার আপনারা বুদ্ধিজীবী কন।’
‘ক্-কী? কী বললি?’ খনখনে গলায় চিল-চিৎকার করে উঠল ক্যাপ্টেন।
‘কলাম, মানুষরে লিয়ে এতক্ষণ ধরে এত ঝামেলা করার আচে কী?’
তৃতীয় একটা গলা শোনা গেল। এর আগের বার যে টেলিফোন আসার খবর দিয়েছিল তারই গলা।
‘আপনার ফোন এসেছে, স্যার!’
এরপর মিনিট দশেক দেয়ালের ওধারে সব চুপচাপ রইল। তারপর শোনা গেল বাড়ির সদর দরজার সি’ড়ি থেকে পরিচারক পাখোমভের ডাক।
‘মুসাবেকভ! ইব্রাগিষ্কা!’
আর রাস্পবেরির ঝোপ থেকে আসে গলার উত্তর শোনা গেল, ‘হল কী?’
বলি, আচ কোন্ চুলোয়? ক্যাটেনের ঘোড়ায় জিন বাঁধো শিগিরি।’
‘ আর আমার ঘরের দেয়ালের ওপাশ থেকে ফের সেই গম্ভীর দরাজ গলা কানে এল:
‘ভিক্তর ইলিচ, আমি সদর দপ্তরে চললুম। খুব সম্ভব আজ রাত্রেই ফিরব। শুভাৎসকে টেলিফোনে ডেকে বলুন অবিলম্বে জিখারেভের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। জিখারেভ রিপোর্ট করেছে যে বেগিচেভ আর শেবালভের বাহিনী দুটো মিলে গেছে।’
আর্কাদি গাইদার 



















