০৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
ঝিনাইদহে ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস দুর্ঘটনা নিহত এক, আহত তিন রাজধানীর ১০ স্থানে একযোগে মিছিল, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৮ আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি ছয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার ট্রাম্পের জন্য বলরুম বানাতে ভাঙা হচ্ছে হোয়াইট হাউজের ইস্ট উইং শরীর হঠাৎ অবশ হয়ে যাওয়া রোগ জিবিএস, লক্ষণ আর চিকিৎসা কী শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন লাগার পর ২৭ ঘণ্টায় যা যা ঘটেছিল সন্তান লালনপালনে আসল বিষয় হারিয়ে ফেলছে ‘প্যারেন্টিং’ ট্রেন্ড এক পরিবারের তিন প্রজন্ম ও এক টয়োটা করোলার জীবনযাত্রা উৎপাদন থেকে কৃষি—কানাডার শিল্পখাতে ডিজিটাল রূপান্তরের ঢেউ টয়লেটে স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়াচ্ছে হেমোরয়েডের ঝুঁকি

সংখ্যালঘুদের হয়রানি রোধে সরকারের প্রতি আহ্বান বিএনপি মহাসচিবের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন— যেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা কোনো ধরনের হয়রানি বা সমস্যার মুখে না পড়েন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও সংখ্যালঘু নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব।

সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার অঙ্গীকার

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই— আমাদের সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের কোনো বিপদে ফেলবেন না। কোনোভাবেই তাদের হয়রানি করা চলবে না। আজ আমি এটি খুব স্পষ্টভাবে বলছি।”

এই অনুষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০ জন সদস্য বিএনপিতে যোগ দেন। ফখরুল বলেন, “আমরা অনেক রিপোর্ট পাই, দয়া করে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের হয়রানি করবেন না। তারা আমাদের সদস্য, আমাদের ভাই। আমরা সব শক্তি দিয়ে তাদের পাশে আছি এবং থাকব।”

ঐক্যের বার্তা ও বিভাজনের বিরোধিতা

নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজ থেকে আপনারা আমাদের বন্ধু, আমাদের সহযোদ্ধা।”

তারুণ্যের ভাবনা ও অধিকার নিয়ে বিএনপি'র মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু শুক্রবার |  খবর | বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

তিনি আরও যোগ করেন, “কিছু ব্যক্তি, দেশ এবং বিদেশি গণমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়াচ্ছে। আমরা সেই ভুল ধারণা বদলাতে চাই।”

ফখরুল বলেন, বিএনপি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। “২০১৬ সালে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ‘ভিশন ২০৩০’ উপস্থাপন করেছিলেন— যেখানে তিনি বাংলাদেশকে একটি ‘রেইনবো স্টেট’ হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন, যেখানে সব রং মিলেমিশে সৌহার্দ্যের প্রতীক হবে।”

দুর্গাপূজায় সহমর্মিতা ও অংশগ্রহণ

তিনি উল্লেখ করেন, দুর্গাপূজার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলেন। “আমার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ২৬৫টি পূজামণ্ডপে আমাদের নেতারা গিয়ে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন,” বলেন ফখরুল।

স্বাধীনতা যুদ্ধ ও জনগণের ঐক্যের আহ্বান

বিএনপি মহাসচিব সতর্ক করে বলেন, “কিছু মানুষ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে তৈরি হওয়া ঐক্যকে ভাঙার চেষ্টা করছে। আমরা এর কঠোর বিরোধিতা করি। আমরা— হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, চাকমা, মারমা— সবাই এই ভূমিতে শান্তিতে একসঙ্গে বাঁচতে চাই।”’

সংখ্যালঘুদের বিপদে না ফেলতে সরকারকে আহ্বান জানালেন মির্জা ফখরুল

সমঅধিকার ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব

তিনি বলেন, বিএনপি এমন বাংলাদেশ চায় যেখানে ধর্ম নির্বিশেষে সবাই শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসংস্থানের সমান সুযোগ পাবে।

“আমরা এমন নেতৃত্ব চাই না যারা পালিয়ে যাবে, যেমন আওয়ামী লীগের নেতারা করেছে। আমরা এমন নেতৃত্ব চাই যারা জনগণের সঙ্গে থাকবে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে,” যোগ করেন তিনি।

আসন্ন সমাবেশ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ফখরুল জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল ও সোমনাথ দে শিগগিরই একটি বড় সমাবেশ আয়োজন করবেন, যেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন।

“আজ থেকে আমরা আপনাদের প্রতি আরও সতর্ক থাকব, আপনাদের প্রয়োজনের সময় পাশে থাকব। আপনারা আমাদের ভাই, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি, এবং আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে পাশে থাকব,” বলেন বিএনপি মহাসচিব।

 

#বিএনপি #মির্জা_ফখরুল #সংখ্যালঘু #রাজনীতি #বাংলাদেশ #গণতন্ত্র #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস দুর্ঘটনা নিহত এক, আহত তিন

সংখ্যালঘুদের হয়রানি রোধে সরকারের প্রতি আহ্বান বিএনপি মহাসচিবের

১১:৩৪:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন— যেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা কোনো ধরনের হয়রানি বা সমস্যার মুখে না পড়েন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও সংখ্যালঘু নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব।

সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার অঙ্গীকার

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই— আমাদের সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের কোনো বিপদে ফেলবেন না। কোনোভাবেই তাদের হয়রানি করা চলবে না। আজ আমি এটি খুব স্পষ্টভাবে বলছি।”

এই অনুষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০ জন সদস্য বিএনপিতে যোগ দেন। ফখরুল বলেন, “আমরা অনেক রিপোর্ট পাই, দয়া করে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের হয়রানি করবেন না। তারা আমাদের সদস্য, আমাদের ভাই। আমরা সব শক্তি দিয়ে তাদের পাশে আছি এবং থাকব।”

ঐক্যের বার্তা ও বিভাজনের বিরোধিতা

নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজ থেকে আপনারা আমাদের বন্ধু, আমাদের সহযোদ্ধা।”

তারুণ্যের ভাবনা ও অধিকার নিয়ে বিএনপি'র মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু শুক্রবার |  খবর | বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

তিনি আরও যোগ করেন, “কিছু ব্যক্তি, দেশ এবং বিদেশি গণমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়াচ্ছে। আমরা সেই ভুল ধারণা বদলাতে চাই।”

ফখরুল বলেন, বিএনপি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। “২০১৬ সালে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ‘ভিশন ২০৩০’ উপস্থাপন করেছিলেন— যেখানে তিনি বাংলাদেশকে একটি ‘রেইনবো স্টেট’ হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন, যেখানে সব রং মিলেমিশে সৌহার্দ্যের প্রতীক হবে।”

দুর্গাপূজায় সহমর্মিতা ও অংশগ্রহণ

তিনি উল্লেখ করেন, দুর্গাপূজার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলেন। “আমার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ২৬৫টি পূজামণ্ডপে আমাদের নেতারা গিয়ে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন,” বলেন ফখরুল।

স্বাধীনতা যুদ্ধ ও জনগণের ঐক্যের আহ্বান

বিএনপি মহাসচিব সতর্ক করে বলেন, “কিছু মানুষ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে তৈরি হওয়া ঐক্যকে ভাঙার চেষ্টা করছে। আমরা এর কঠোর বিরোধিতা করি। আমরা— হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, চাকমা, মারমা— সবাই এই ভূমিতে শান্তিতে একসঙ্গে বাঁচতে চাই।”’

সংখ্যালঘুদের বিপদে না ফেলতে সরকারকে আহ্বান জানালেন মির্জা ফখরুল

সমঅধিকার ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব

তিনি বলেন, বিএনপি এমন বাংলাদেশ চায় যেখানে ধর্ম নির্বিশেষে সবাই শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসংস্থানের সমান সুযোগ পাবে।

“আমরা এমন নেতৃত্ব চাই না যারা পালিয়ে যাবে, যেমন আওয়ামী লীগের নেতারা করেছে। আমরা এমন নেতৃত্ব চাই যারা জনগণের সঙ্গে থাকবে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে,” যোগ করেন তিনি।

আসন্ন সমাবেশ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ফখরুল জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল ও সোমনাথ দে শিগগিরই একটি বড় সমাবেশ আয়োজন করবেন, যেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন।

“আজ থেকে আমরা আপনাদের প্রতি আরও সতর্ক থাকব, আপনাদের প্রয়োজনের সময় পাশে থাকব। আপনারা আমাদের ভাই, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি, এবং আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে পাশে থাকব,” বলেন বিএনপি মহাসচিব।

 

#বিএনপি #মির্জা_ফখরুল #সংখ্যালঘু #রাজনীতি #বাংলাদেশ #গণতন্ত্র #সারাক্ষণ_রিপোর্ট