১০:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩৩)

আয়ুব খানের নির্দেশে বাকল্যান্ড বাঁধের স্বত্ব জনগণ থেকে কেড়ে নিয়ে দেওয়া হয়েছিল অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থাকে….

আমি সেই শিল্পীর আঁকা বাড়িঘরের দৃশ্যটির একটি জরিপ করেছিলাম। সেই জরিপটির উল্লেখ করছি। গত দু’দশকে কিছু অট্টালিকা ধ্বংস করে আরো ঘিঞ্জি ও দূষিত হয়েছে মাত্র। সে কারণেই বাড়িঘরের বর্ণনাগুলি দিচ্ছি যেমন দিয়েছি অঙ্কিত [বা আলোকচিত্র] পোলগুলির।

জরিপটি করা হয়েছে বাকল্যান্ড বাঁধ এবং তার পাশে নির্মিত অট্টালিকাসমূহের ওপর। কারণ, পরিবেশ দূষিতকরণ রোধ, ঢাকাবাসীদের আয় বৃদ্ধি, পর্যটক আকর্ষণ ও স্থাপত্যিক কারণে বাঁধের পাশের কিছু অট্টালিকা সংরক্ষণ, নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি- সবকিছু এখনও করা যেতে পারে সংস্কার করলে।

১৯৭২ সালে সরকার (ঢাকার কালেক্টর বাঁধটিকে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে দাবি করেন। এ নিয়ে ঢাকাবাসী বা পৌরসভার সঙ্গে সরকারি প্রশাসন যন্ত্রের যথেষ্ট তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছিল আমলাদের।

মথুর পোদ্দারের ঘাট

১৯৬০ সালে, আয়ুব খানের নির্দেশে বাকল্যান্ড বাঁধের স্বত্ব জনগণ থেকে কেড়ে নিয়ে দেওয়া হয়েছিল অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থাকে। এবং তাদের বদৌলতে যে বাঁধ ছিল ঢাকাবাসীর গর্ব ও আমাদের বস্তু, তা রূপান্তরিত হয়েছিল এক কদর্য স্থানে।

সম্প্রতি সরকার বাকল্যান্ড বাঁধ পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছিল এবং কিছুটা সফলও হয়েছিল। জরিপে আমরা দেখেছি, অননুমোদিত দোকানপাট উঠিয়ে বাঁধটি যদি পরিচ্ছন্ন ও এর পাশে উনিশ শতকে নির্মিত কিছু ঘরবাড়ি সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে স্থানটি পুরনো ঢাকার এক আকর্ষণীয় এলাকায় পরিণত হবে।

সেই অজানা শিল্পীর কথায় ফিরে আসি। নৌকা থেকে তিনি নদী তীরের বাকল্যান্ড বাঁধসহ ৪২টি দ্রষ্টব্য স্থান (গৃহ। এঁকেছিলেন। আমি এখানে শুধু নদীতীরের ভবন ও মালিকদের। গুলির নাম ক্রমানুসারে উল্লেখ করছি।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩২)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩২)

জনপ্রিয় সংবাদ

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩৩)

০৯:০০:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

আয়ুব খানের নির্দেশে বাকল্যান্ড বাঁধের স্বত্ব জনগণ থেকে কেড়ে নিয়ে দেওয়া হয়েছিল অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থাকে….

আমি সেই শিল্পীর আঁকা বাড়িঘরের দৃশ্যটির একটি জরিপ করেছিলাম। সেই জরিপটির উল্লেখ করছি। গত দু’দশকে কিছু অট্টালিকা ধ্বংস করে আরো ঘিঞ্জি ও দূষিত হয়েছে মাত্র। সে কারণেই বাড়িঘরের বর্ণনাগুলি দিচ্ছি যেমন দিয়েছি অঙ্কিত [বা আলোকচিত্র] পোলগুলির।

জরিপটি করা হয়েছে বাকল্যান্ড বাঁধ এবং তার পাশে নির্মিত অট্টালিকাসমূহের ওপর। কারণ, পরিবেশ দূষিতকরণ রোধ, ঢাকাবাসীদের আয় বৃদ্ধি, পর্যটক আকর্ষণ ও স্থাপত্যিক কারণে বাঁধের পাশের কিছু অট্টালিকা সংরক্ষণ, নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি- সবকিছু এখনও করা যেতে পারে সংস্কার করলে।

১৯৭২ সালে সরকার (ঢাকার কালেক্টর বাঁধটিকে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে দাবি করেন। এ নিয়ে ঢাকাবাসী বা পৌরসভার সঙ্গে সরকারি প্রশাসন যন্ত্রের যথেষ্ট তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছিল আমলাদের।

মথুর পোদ্দারের ঘাট

১৯৬০ সালে, আয়ুব খানের নির্দেশে বাকল্যান্ড বাঁধের স্বত্ব জনগণ থেকে কেড়ে নিয়ে দেওয়া হয়েছিল অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থাকে। এবং তাদের বদৌলতে যে বাঁধ ছিল ঢাকাবাসীর গর্ব ও আমাদের বস্তু, তা রূপান্তরিত হয়েছিল এক কদর্য স্থানে।

সম্প্রতি সরকার বাকল্যান্ড বাঁধ পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছিল এবং কিছুটা সফলও হয়েছিল। জরিপে আমরা দেখেছি, অননুমোদিত দোকানপাট উঠিয়ে বাঁধটি যদি পরিচ্ছন্ন ও এর পাশে উনিশ শতকে নির্মিত কিছু ঘরবাড়ি সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে স্থানটি পুরনো ঢাকার এক আকর্ষণীয় এলাকায় পরিণত হবে।

সেই অজানা শিল্পীর কথায় ফিরে আসি। নৌকা থেকে তিনি নদী তীরের বাকল্যান্ড বাঁধসহ ৪২টি দ্রষ্টব্য স্থান (গৃহ। এঁকেছিলেন। আমি এখানে শুধু নদীতীরের ভবন ও মালিকদের। গুলির নাম ক্রমানুসারে উল্লেখ করছি।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩২)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩২)