০৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২ মিলিয়ন ডলার কিনল: বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতি ফেরাতে নতুন পদক্ষেপ হুইস্কি বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ১০৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো: সুদের বাড়তি চাপ নিয়ে বিশ্বব্যাংক নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে অনলাইনে জনমত নেবে জামায়াত এমিনেমকে নিয়ে বিব্রতকর প্রশ্ন, কেট উইন্সলেটের সেই এসএনএল স্মৃতিই এখন ভাইরাল ডিসেম্বর ৯ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০ ছাড়াল উত্তর-পূর্ব জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার জাপানের সামরিক হুমকি নিয়ে চীনের তীব্র অভিযোগ, তাইওয়ান ইস্যুতে বাড়ছে উত্তেজনা ইন্দোনেশিয়ার বন্যায় টাপানুলি ওরাংওটাং আরও বিপদে ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনায় কুশনারের অর্থায়ন: ট্রাম্পের স্বার্থ নিয়ে নৈতিক প্রশ্ন

শিশু আয়ানের মৃত্যু নিয়ে পরবর্তী শুনানি ১৮ ফেব্রুয়ারি

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 80

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিশু আয়ানের মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি । রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। একই দিন সারাদেশের অনিবন্ধিত হাসপাতালের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলের নার্সারি শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল আয়ান। গত ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনার জন্য অজ্ঞান করা হয় তাকে। এরপর জ্ঞান না ফেরায় তাকে সেখান থেকে নেয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালের গুলশান শাখায়।

সেখানে টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শিশু আয়ানের মৃত্যু  হয়। পরবর্তীতে অনুমতি ছাড়াই শিশু আয়ানের খতনা করানো হয় বলে অভিযোগ তুলেন তার বাবা শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কারণে তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।

ওই ঘটনায় হাইকোর্টের নজরে এলে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে গত ২৯ জানুয়ারি এ নিয়ে শুনানিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আইওয়াশ (লোক দেখানো) ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওইদিন এমন মন্তব্য করেন।

সেদিন আদালত বলেন, দায় এড়ানোর জন্যই তারা (তদন্ত কমিটি) এ ধরনের রিপোর্ট দাখিল করেছে। শিশু আয়ানের অ্যাজমা সমস্যা থাকার কথা জানার পরও কেন চিকিৎসকেরা অপারেশনের জন্য এত তাড়াহুড়া করলেন? ওই সময় সুন্নতে খতনা করার সময় যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে, হার্টের বাইপাসেও এত ওষুধ  লাগে না বলেও মন্তব্য  করেন আদালত। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২ মিলিয়ন ডলার কিনল: বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতি ফেরাতে নতুন পদক্ষেপ

শিশু আয়ানের মৃত্যু নিয়ে পরবর্তী শুনানি ১৮ ফেব্রুয়ারি

০৯:০৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিশু আয়ানের মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি । রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। একই দিন সারাদেশের অনিবন্ধিত হাসপাতালের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলের নার্সারি শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল আয়ান। গত ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনার জন্য অজ্ঞান করা হয় তাকে। এরপর জ্ঞান না ফেরায় তাকে সেখান থেকে নেয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালের গুলশান শাখায়।

সেখানে টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শিশু আয়ানের মৃত্যু  হয়। পরবর্তীতে অনুমতি ছাড়াই শিশু আয়ানের খতনা করানো হয় বলে অভিযোগ তুলেন তার বাবা শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কারণে তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।

ওই ঘটনায় হাইকোর্টের নজরে এলে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে গত ২৯ জানুয়ারি এ নিয়ে শুনানিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আইওয়াশ (লোক দেখানো) ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওইদিন এমন মন্তব্য করেন।

সেদিন আদালত বলেন, দায় এড়ানোর জন্যই তারা (তদন্ত কমিটি) এ ধরনের রিপোর্ট দাখিল করেছে। শিশু আয়ানের অ্যাজমা সমস্যা থাকার কথা জানার পরও কেন চিকিৎসকেরা অপারেশনের জন্য এত তাড়াহুড়া করলেন? ওই সময় সুন্নতে খতনা করার সময় যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে, হার্টের বাইপাসেও এত ওষুধ  লাগে না বলেও মন্তব্য  করেন আদালত। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।