০১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৭৪)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • 9

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এখন এই রাশি বলতে তিনি কি বুঝিয়েছিলেন? প্রাচীন জৈন আগমগ্রন্থের অনুযোগদ্বার সূত্রে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা নির্ণয় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- “কোড়াকোড়িও এগুণতীসং টাণাইং তিজমলপয় উবরিং চট্টজমলপয়স হেট ঠা অহব ণং ছট্ট,ঠো বংগো পংচমবগ গপডুল্লোন্নো, অভব ণং চন্নউইছেঅণদায়ীরাসী।”

(কোটি কোটয় একোনত্রিংশৎস্থানানি ত্রিষমলপদস্থ উপরি চতুর্থমলপদশ্য অর্ধস্তাৎ, অথবা নম্ন ষষ্ঠবর্গঃ পকমবর্গপ্রত্যুৎপন্ন অথবা নহ্য যন্ত্রবতিছেদনদায়ী রাশিঃ।)
অর্থাৎ “ঐ রাশি কোটি কোটি প্রভৃতি একোনত্রিংশস্থান (ব্যাপী) ত্রিযমলপদেব উর্ধে এবং চতুর্থষমলপদেব অধে। অথবা পঞ্চগুণিত ষষ্ঠবর্গের (সমান), অথবা উহাকে ছিয়ানব্বই বার (দুই দ্বারা ছেদ করা যায়)।” অঙ্কে লিখলে হবে:

(ষষ্ঠ বর্গ) (প্রথম বর্গ)

-(১৮, ৪৪৬, ৭৪৪, ০৭৩, ৭০৯, ৫৫১, ৬১৬) (৪, ২৯৪, ৯৬৭, ২৯৬)
= ৭৯, ২২৮, ১৬২, ৫১৪, ২৬৪, ৩৩৭, ৫৯৩, ৫৪৩, ৯৫০, ৩৩৬ –
= ২৬৪ × ২৩২ = ২৬

হেমচন্দ্র নামসংখ্যার সাহায্যে এত বড় সংখ্যাটি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন-

ছত্তিন্নি তিন্নি সুরং পংচেব য ণব য তিন্নি চত্তারি।
পংচেব তিন্নি ণব পংচ সত্ত তিন্নেব তিন্নেব।
চউ ছন্দো চউ একো পণ দো ছক্কেকযে। য অটঠেব।
দো দো নব সত্তেব য অংকঠান। পরাহুত্তা।

অর্থাৎ উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছে:
৭৯, ২২৮, ১৬২, ৫১৪, ২৬৪, ৩৩৭, ৫৯৩, ৫৪৩, ৯৫০, ৩৩৬।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৭৩)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৭৩)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৭৪)

১০:০০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এখন এই রাশি বলতে তিনি কি বুঝিয়েছিলেন? প্রাচীন জৈন আগমগ্রন্থের অনুযোগদ্বার সূত্রে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা নির্ণয় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- “কোড়াকোড়িও এগুণতীসং টাণাইং তিজমলপয় উবরিং চট্টজমলপয়স হেট ঠা অহব ণং ছট্ট,ঠো বংগো পংচমবগ গপডুল্লোন্নো, অভব ণং চন্নউইছেঅণদায়ীরাসী।”

(কোটি কোটয় একোনত্রিংশৎস্থানানি ত্রিষমলপদস্থ উপরি চতুর্থমলপদশ্য অর্ধস্তাৎ, অথবা নম্ন ষষ্ঠবর্গঃ পকমবর্গপ্রত্যুৎপন্ন অথবা নহ্য যন্ত্রবতিছেদনদায়ী রাশিঃ।)
অর্থাৎ “ঐ রাশি কোটি কোটি প্রভৃতি একোনত্রিংশস্থান (ব্যাপী) ত্রিযমলপদেব উর্ধে এবং চতুর্থষমলপদেব অধে। অথবা পঞ্চগুণিত ষষ্ঠবর্গের (সমান), অথবা উহাকে ছিয়ানব্বই বার (দুই দ্বারা ছেদ করা যায়)।” অঙ্কে লিখলে হবে:

(ষষ্ঠ বর্গ) (প্রথম বর্গ)

-(১৮, ৪৪৬, ৭৪৪, ০৭৩, ৭০৯, ৫৫১, ৬১৬) (৪, ২৯৪, ৯৬৭, ২৯৬)
= ৭৯, ২২৮, ১৬২, ৫১৪, ২৬৪, ৩৩৭, ৫৯৩, ৫৪৩, ৯৫০, ৩৩৬ –
= ২৬৪ × ২৩২ = ২৬

হেমচন্দ্র নামসংখ্যার সাহায্যে এত বড় সংখ্যাটি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন-

ছত্তিন্নি তিন্নি সুরং পংচেব য ণব য তিন্নি চত্তারি।
পংচেব তিন্নি ণব পংচ সত্ত তিন্নেব তিন্নেব।
চউ ছন্দো চউ একো পণ দো ছক্কেকযে। য অটঠেব।
দো দো নব সত্তেব য অংকঠান। পরাহুত্তা।

অর্থাৎ উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছে:
৭৯, ২২৮, ১৬২, ৫১৪, ২৬৪, ৩৩৭, ৫৯৩, ৫৪৩, ৯৫০, ৩৩৬।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৭৩)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৭৩)