০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 2

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

এইসমস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার ফলে এদেশের পুরাকালের সভ্যতার ইতিহাস প্রকাশ হয়ে পড়ছে।মরুভূমি ক্রমশ বিস্তারলাভ করে এসব দেশের বহু নগর গ্রাম ইত্যাদি গ্রাস করে ধ্বংস করেছে। কিন্তু মরুভূমির শুষ্কতার জন্যেই হাজার-দেড়হাজার বছরের পুরানো অনেক শিল্পের নিদর্শন, এমনকি বহু গ্রন্থ কাগজপত্র বালির মধ্যে থেকে এখনো পাওয়া যায়।

এসব থেকে বোঝা যায় যে, ষষ্ঠ-সপ্তম শতাব্দীতে এ দেশ বেশ সমৃদ্ধিশালী ছিল আর এদের সাংস্কৃতিক বিশিষ্টতা ছিল।মধ্য এশিয়ার অন্যান্য জাতির মত এ সময়ে এরাও বৌদ্ধ ছিল। শিক্ষিতরা সংস্কৃত ভাষায় অনুপ্রাণিত ছিলেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এদের লিপি, ভাষা আর আকৃতি।

মৌর্যযুগে ভারতের অধিকাংশ প্রদেশে যে লিপি ব্যবহৃত হত, তার নাম ব্রাহ্মীলিপি। কিন্তু গান্ধার ও উত্তর-পশ্চিম প্রত্যন্ত দেশের শিলালেখগুলিতে অশোক খরোধী লিপি ব্যবহার করেছিলেন, যার সঙ্গে ব্রাহ্মীলিপির চেয়ে পুরাতন ইরানীয় লিপির, সাদৃশ্যই বেশী।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, হিউএনচাঙের সময়ে ব্রাহ্মীলিপি তুরফান ও কুচায় ব্যবহৃত হত। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘এদের লিখবার ধরন ভারতীয়দেরই মতন, যদিও কিছু কিছু প্রভেদ আছে।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৮)

 

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৯)

০৯:০০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

এইসমস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার ফলে এদেশের পুরাকালের সভ্যতার ইতিহাস প্রকাশ হয়ে পড়ছে।মরুভূমি ক্রমশ বিস্তারলাভ করে এসব দেশের বহু নগর গ্রাম ইত্যাদি গ্রাস করে ধ্বংস করেছে। কিন্তু মরুভূমির শুষ্কতার জন্যেই হাজার-দেড়হাজার বছরের পুরানো অনেক শিল্পের নিদর্শন, এমনকি বহু গ্রন্থ কাগজপত্র বালির মধ্যে থেকে এখনো পাওয়া যায়।

এসব থেকে বোঝা যায় যে, ষষ্ঠ-সপ্তম শতাব্দীতে এ দেশ বেশ সমৃদ্ধিশালী ছিল আর এদের সাংস্কৃতিক বিশিষ্টতা ছিল।মধ্য এশিয়ার অন্যান্য জাতির মত এ সময়ে এরাও বৌদ্ধ ছিল। শিক্ষিতরা সংস্কৃত ভাষায় অনুপ্রাণিত ছিলেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এদের লিপি, ভাষা আর আকৃতি।

মৌর্যযুগে ভারতের অধিকাংশ প্রদেশে যে লিপি ব্যবহৃত হত, তার নাম ব্রাহ্মীলিপি। কিন্তু গান্ধার ও উত্তর-পশ্চিম প্রত্যন্ত দেশের শিলালেখগুলিতে অশোক খরোধী লিপি ব্যবহার করেছিলেন, যার সঙ্গে ব্রাহ্মীলিপির চেয়ে পুরাতন ইরানীয় লিপির, সাদৃশ্যই বেশী।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, হিউএনচাঙের সময়ে ব্রাহ্মীলিপি তুরফান ও কুচায় ব্যবহৃত হত। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘এদের লিখবার ধরন ভারতীয়দেরই মতন, যদিও কিছু কিছু প্রভেদ আছে।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৮)