১১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আগুন লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের আগে মুখোশধারী চালককে দেখা গেল সিসিটিভিতে রেকর্ড নিম্নস্তরের কাছেই রুপি, ডলারের দুর্বলতা সত্ত্বেও স্বস্তি নেই পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১২২) ব্রেক্সিট-পরবর্তী দুর্বল ব্রিটেনের পক্ষে চীনের সঙ্গে বিরোধিতা এখন আত্মঘাতী গ্র্যামির ডাবল মনোনয়নে কেটসআইয়ের জয়যাত্রা — বৈচিত্র্য, প্রতিভা ও সংস্কৃতির গ্লোবাল উদযাপন যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন সমাপ্তির সম্ভাবনায় ডলার স্থিতিশীল, অস্ট্রেলীয় ডলার শক্তিশালী, ইয়েন দুর্বল প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১) হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 11

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

এইসমস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার ফলে এদেশের পুরাকালের সভ্যতার ইতিহাস প্রকাশ হয়ে পড়ছে।মরুভূমি ক্রমশ বিস্তারলাভ করে এসব দেশের বহু নগর গ্রাম ইত্যাদি গ্রাস করে ধ্বংস করেছে। কিন্তু মরুভূমির শুষ্কতার জন্যেই হাজার-দেড়হাজার বছরের পুরানো অনেক শিল্পের নিদর্শন, এমনকি বহু গ্রন্থ কাগজপত্র বালির মধ্যে থেকে এখনো পাওয়া যায়।

এসব থেকে বোঝা যায় যে, ষষ্ঠ-সপ্তম শতাব্দীতে এ দেশ বেশ সমৃদ্ধিশালী ছিল আর এদের সাংস্কৃতিক বিশিষ্টতা ছিল।মধ্য এশিয়ার অন্যান্য জাতির মত এ সময়ে এরাও বৌদ্ধ ছিল। শিক্ষিতরা সংস্কৃত ভাষায় অনুপ্রাণিত ছিলেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এদের লিপি, ভাষা আর আকৃতি।

মৌর্যযুগে ভারতের অধিকাংশ প্রদেশে যে লিপি ব্যবহৃত হত, তার নাম ব্রাহ্মীলিপি। কিন্তু গান্ধার ও উত্তর-পশ্চিম প্রত্যন্ত দেশের শিলালেখগুলিতে অশোক খরোধী লিপি ব্যবহার করেছিলেন, যার সঙ্গে ব্রাহ্মীলিপির চেয়ে পুরাতন ইরানীয় লিপির, সাদৃশ্যই বেশী।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, হিউএনচাঙের সময়ে ব্রাহ্মীলিপি তুরফান ও কুচায় ব্যবহৃত হত। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘এদের লিখবার ধরন ভারতীয়দেরই মতন, যদিও কিছু কিছু প্রভেদ আছে।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৮)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আগুন

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৯)

০৯:০০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

এইসমস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার ফলে এদেশের পুরাকালের সভ্যতার ইতিহাস প্রকাশ হয়ে পড়ছে।মরুভূমি ক্রমশ বিস্তারলাভ করে এসব দেশের বহু নগর গ্রাম ইত্যাদি গ্রাস করে ধ্বংস করেছে। কিন্তু মরুভূমির শুষ্কতার জন্যেই হাজার-দেড়হাজার বছরের পুরানো অনেক শিল্পের নিদর্শন, এমনকি বহু গ্রন্থ কাগজপত্র বালির মধ্যে থেকে এখনো পাওয়া যায়।

এসব থেকে বোঝা যায় যে, ষষ্ঠ-সপ্তম শতাব্দীতে এ দেশ বেশ সমৃদ্ধিশালী ছিল আর এদের সাংস্কৃতিক বিশিষ্টতা ছিল।মধ্য এশিয়ার অন্যান্য জাতির মত এ সময়ে এরাও বৌদ্ধ ছিল। শিক্ষিতরা সংস্কৃত ভাষায় অনুপ্রাণিত ছিলেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এদের লিপি, ভাষা আর আকৃতি।

মৌর্যযুগে ভারতের অধিকাংশ প্রদেশে যে লিপি ব্যবহৃত হত, তার নাম ব্রাহ্মীলিপি। কিন্তু গান্ধার ও উত্তর-পশ্চিম প্রত্যন্ত দেশের শিলালেখগুলিতে অশোক খরোধী লিপি ব্যবহার করেছিলেন, যার সঙ্গে ব্রাহ্মীলিপির চেয়ে পুরাতন ইরানীয় লিপির, সাদৃশ্যই বেশী।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, হিউএনচাঙের সময়ে ব্রাহ্মীলিপি তুরফান ও কুচায় ব্যবহৃত হত। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘এদের লিখবার ধরন ভারতীয়দেরই মতন, যদিও কিছু কিছু প্রভেদ আছে।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৮)