সারাক্ষণ রিপোর্ট
আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও দাবিসমূহ
গ্রামীণ ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ, আন্দোলনের কারণে বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের পুনর্বহাল, হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি বন্ধ করা এবং শ্রম আইন অনুযায়ী সকল সুবিধা প্রদানের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শ্রমভবনের সামনে সকাল ১০:৩০টা থেকে দুপুর ২:০০টা পর্যন্ত এক সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তাদের বক্তব্য
সমাবেশে বক্তারা উল্লেখ করেন, গ্রামীণ ব্যাংক গত ৩২ বছর ধরে বাংলাদেশের শ্রম আইন, আইএলও কনভেনশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মাবলী লঙ্ঘন করে কর্মচারীদের শোষণ করে আসছে। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণে প্রতিষ্ঠান এবং শ্রম অধিদপ্তর ও কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।
নেতৃত্ব ও সংহতি প্রকাশ
আলাউদ্দিন আল মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন:
- মানস নন্দী, সভাপতি, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন
- হারুনার রশিদ ভূইয়া, আহ্বায়ক, জাতীয় শ্রমজীবী আন্দোলন
- শামিম ইমাম, সমন্বয়ক, জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ
- আব্দুল আলী, সভাপতি, শ্রমজীবী সংঘ
- তৈমুর খান অপু, কেন্দ্রীয় সদস্য, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন
- সুশান্ত সিনহা, সদস্য সচিব, গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন
- ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় সংগঠক, হেল্থ সার্ভিস ফোরাম
- দিলীপ রায়, সভাপতি, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী
- সালমান সিদ্দিকি, সভাপতি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট
- রাজু আহমেদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন
- মিন্টু মিয়া, আপেল মাহমুদ প্রমুখ শ্রমিক নেতা।
মূল দাবি ও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ
সমাবেশে বক্তারা গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে অবিলম্বে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা উল্লেখ করেন যে, শ্রম আইন অনুযায়ী সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা না হলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।