সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- বাংলাদেশ ব্যাংক ৯ মার্চ থেকে ব্যাংকগুলোর জন্য একক রেপো হার ১০% নির্ধারণ করেছে। ফলে, ব্যাংকগুলো আর ৭, ১৪ ও ২৮ দিনের বিভিন্ন মেয়াদের হারে ঋণ নেবে না, যা তরলতা ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও সহজতা আনবে।
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এই পরিবর্তন মুদ্রানীতির আধুনিকীকরণ এবং ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনা সহজ করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
- বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইএমএফ-এর নির্দেশনা অনুসারে তারল্য ব্যবস্থাপনায় কঠোরতা আনছে। নতুন নীতির ফলে ব্যাংকগুলোকে সরকারি সিকিউরিটিজ বিনিয়োগে আরও সতর্ক হতে হবে, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আর বিভিন্ন মেয়াদের হারের পরিবর্তে এখন একক রেপো হারের উপর ঋণ নেবে। এই পরিবর্তন ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান বিভেদ দূর করে কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং সহজতা আনবে।
নতুন ব্যবস্থা ও নীতি
বর্তমানে, ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৭, ১৪ ও ২৮ দিনের বিভিন্ন মেয়াদের রেপো ইন্সট্রুমেন্টের মাধ্যমে তরলতা সংগ্রহ করে। তবে ৯ই মার্চ থেকে এই ব্যবস্থা পাল্টে যাবে:
- ব্যাংকগুলো শুধুমাত্র ১০% নীতি বা রেপো হারে ঋণ নেবে, মেয়াদের কোন পার্থক্য থাকবে না।
- দৈনিক ক্যাশ রিজার্ভ অনুপাতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছে, যা তরলতার চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
- ২৮ দিনের রেপো সুবিধা ধীরে ধীরে বন্ধ করা হবে, যা আগামী ৩রা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মন্তব্য
“এই পদক্ষেপটি মুদ্রানীতির আধুনিকীকরণ এবং ব্যাংকগুলোর তরলতা ব্যবস্থাপনা সহজ করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ৪ মার্চ ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত সর্বশেষ রিপো নিলামে ব্যাংকগুলো ৭, ১৪ ও ২৮ দিনের জন্য যথাক্রমে ১০.১০%, ১০.২০% ও ১০.২৫% হারে বিশাল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছিল।
ব্যাংকের মতামত ও প্রত্যাশা
- বেসরকারি ব্যাংকের মন্তব্য:
বেসরকারি ব্যাংকের একজন ট্রেজারি প্রধান, অনামিক, বলেন যে, আইএমএফ-এর নির্দেশনা অনুসারে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তরলতা ব্যবস্থাপনায় কঠোরতা অবলম্বন করছে।
তিনি জানান,
- ইদ উল ফিতরের পর ২৮ দিনের রেপো সুবিধা বন্ধ হবে।
- জুনের মধ্যে ১৪ দিনের রেপো উইন্ডো বিলুপ্ত হবে।
- জুলাই থেকে শুধুমাত্র ৭ দিনের রেপো উইন্ডো থেকে ঋণ গ্রহণ করা যাবে।
এর ফলে ব্যাংকগুলোকে সরকারি সিকিউরিটিজ বাজারে বিনিয়োগে আরও সতর্ক হতে হবে।
উপসংহার
এই একক রেপো হারের সিদ্ধান্ত ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও সহজতা আনতে সহায়ক হবে। নতুন নীতি অনুযায়ী ব্যাংকগুলো একক হারে ঋণ গ্রহণ করে তরলতা ব্যবস্থাপনাকে সহজ করবে এবং মুদ্রানীতির আধুনিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
Leave a Reply