০৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

যাদবপুরে প্রতিবাদ চলছে, শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৩০:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • 22

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তার গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর হলো।

ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে এফআইআর

বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তার গাড়ির চালক এবং অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশের পরেই তারা এই এফআইআর করে। আহত পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়। এনিয়ে হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে পুলিশ।

বিক্ষোভ-মিছিল চলছে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবার বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীরা মিছিলও করেন। বেলা সাড়ে তিনটে নাসাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয় মিছিল

কারা ছিলেন মিছিলে

বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, এটা হলো নাগরিক মিছিল। সেখানে বাম এবং অতি বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও ছিলেন বেশ কিছু মানুষ।

পড়ুয়াদের দাবি

এই বিক্ষোভ-মিছিলের অন্যতম দাবি হলো, ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। দিন কয়েক আগে ওয়েবকুপার বৈঠকে যারা অবৈধভাবে ঢুকেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে ইত্যাদি।

রোববার জোড়া মিছিল

রোববারও দুইটি মিছিলের ডাক দেয়া হয়েছে। একটি মিছিল শুরু হবে ধর্মতলা থেকে, অন্যটা হাজরা রোড থেকে। দুইটি মিছিল একাডেমি অফ ফাইন আর্টসে গিয়ে শেষ হবে।

আন্দোলনকারীদের হুমকি

বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করে পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, সোমবারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলকে বৈঠকে বসতে হবে। তারা দাবি মেনে কোনো পদক্ষেপ না নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকেই অচল করে দেয়া হবে।

হাইকোর্টে বিচারপতি বনাম কল্যাণ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে। সেখানে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, মন্ত্রীর উপর জনতা ঝাঁপিয়ে পড়লো। এটা পুলিশের ব্যর্থতা। কল্যাণের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলে রক্ষীদের বাইরে রেখে ঢোকা হয়। এটা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতা।

সওয়াল করবেন না কল্যাণ

বিচারপতি বলেন, মন্ত্রীর প্রটোকল মানা উচিত। কল্যাণ জানান, তাদের পক্ষে সবসময় প্রটোকল মানা সম্ভব নয়। বিচারপতি জানান, কল্যাণ এমনভাবে কথা বলছেন, আদালত তাতে নিজেকে অসম্মানিত বোধ করছে। কল্যাণ জানান, তিনি যদি আদালতকে অসম্মান করে থাকেন, তাহলে তিনি দুঃখিত। তিনি আর এই আদালতে সওয়াল করতে আসবেন না।

ডয়চে ভেলে বাংলা

 

যাদবপুরে প্রতিবাদ চলছে, শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর

০৬:৩০:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তার গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর হলো।

ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে এফআইআর

বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তার গাড়ির চালক এবং অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশের পরেই তারা এই এফআইআর করে। আহত পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়। এনিয়ে হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে পুলিশ।

বিক্ষোভ-মিছিল চলছে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবার বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীরা মিছিলও করেন। বেলা সাড়ে তিনটে নাসাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয় মিছিল

কারা ছিলেন মিছিলে

বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, এটা হলো নাগরিক মিছিল। সেখানে বাম এবং অতি বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও ছিলেন বেশ কিছু মানুষ।

পড়ুয়াদের দাবি

এই বিক্ষোভ-মিছিলের অন্যতম দাবি হলো, ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। দিন কয়েক আগে ওয়েবকুপার বৈঠকে যারা অবৈধভাবে ঢুকেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে ইত্যাদি।

রোববার জোড়া মিছিল

রোববারও দুইটি মিছিলের ডাক দেয়া হয়েছে। একটি মিছিল শুরু হবে ধর্মতলা থেকে, অন্যটা হাজরা রোড থেকে। দুইটি মিছিল একাডেমি অফ ফাইন আর্টসে গিয়ে শেষ হবে।

আন্দোলনকারীদের হুমকি

বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করে পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, সোমবারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলকে বৈঠকে বসতে হবে। তারা দাবি মেনে কোনো পদক্ষেপ না নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকেই অচল করে দেয়া হবে।

হাইকোর্টে বিচারপতি বনাম কল্যাণ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে। সেখানে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, মন্ত্রীর উপর জনতা ঝাঁপিয়ে পড়লো। এটা পুলিশের ব্যর্থতা। কল্যাণের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলে রক্ষীদের বাইরে রেখে ঢোকা হয়। এটা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতা।

সওয়াল করবেন না কল্যাণ

বিচারপতি বলেন, মন্ত্রীর প্রটোকল মানা উচিত। কল্যাণ জানান, তাদের পক্ষে সবসময় প্রটোকল মানা সম্ভব নয়। বিচারপতি জানান, কল্যাণ এমনভাবে কথা বলছেন, আদালত তাতে নিজেকে অসম্মানিত বোধ করছে। কল্যাণ জানান, তিনি যদি আদালতকে অসম্মান করে থাকেন, তাহলে তিনি দুঃখিত। তিনি আর এই আদালতে সওয়াল করতে আসবেন না।

ডয়চে ভেলে বাংলা