সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- আম্ব্রেলা-ভিত্তিক” প্রকল্প ভবিষ্যতে এলওসির আওতায় রাখা হবে না
- দ্বিতীয় এলওসির পরিশোধ সময় ২০৩৮ সালে শেষ হবে, কিন্তু এখনও অনেক ঋণ বিতরণ হয়নি
- বাদ দেওয়া প্রকল্পগুলোর জন্য যৌথ প্রযুক্তিগত কমিটি পর্যালোচনা করবে এবং প্রস্থান কৌশল নির্ধারণ করবে
বাংলাদেশের তিনটি ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় থাকা ৪০টি প্রকল্পের মধ্যে ১১টি বাদ দেওয়া হবে। ফলে এলওসির মোট অর্থায়ন $৭.৩৪ বিলিয়ন থেকে কমিয়ে $৪.৬৮ বিলিয়ন করা হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা জানান, যেসব প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল বা এখনো নির্মাণ শুরু হয়নি, সেগুলো বাতিল হবে।
পর্যালোচনা সভার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
৫-৬ মার্চ ঢাকায় ইআরডি অফিসে অনুষ্ঠিত এলওসি পর্যালোচনা সভায় প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন:
- মিরানা মাহরুখ, অতিরিক্ত সচিব, ইআরডি
- সুজা কে. মেনন, ক্রেডিট লাইন পরিচালক, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ভবিষ্যৎ ঋণ নীতির পরিবর্তন
- “আম্ব্রেলা-ভিত্তিক” প্রকল্প ভবিষ্যতে এলওসির আওতায় রাখা হবে না।
তিনটি এলওসি চুক্তির বর্তমান অবস্থা
প্রথম এলওসি (২০১০)
- পরিমাণ: $১ বিলিয়ন
- প্রকল্প সংখ্যা: ১৫টি (১২টি সম্পন্ন)
- অর্থছাড়: $৭৬৮.৭ মিলিয়ন
- সমাপ্তির সময়সীমা: ২০২৪ সালের জুন
দ্বিতীয় এলওসি (২০১৬)
- পরিমাণ: $২ বিলিয়ন
- প্রকল্প সংখ্যা: ১৫টি (১২টি চলমান, ৩টি বাতিল)
- অর্থছাড়: $৫১৮.৮ মিলিয়ন
- বাতিল প্রকল্প: খুলনা-দর্শনা ও পার্বতীপুর-কাউনিয়া রেল প্রকল্প

তৃতীয় এলওসি (২০১৭)
- পরিমাণ: $৪.৫ বিলিয়ন
- প্রকল্প সংখ্যা: ১৬টি (৩টি বাতিল)
- অর্থছাড়: $৫১৩.২ মিলিয়ন
- অবস্থা: কোনো প্রকল্প এখনো সম্পন্ন হয়নি, ৮টি প্রকল্প চলমান
প্রকল্প বাতিলের কারণ
ইআরডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছু প্রকল্প যথাযথ প্রস্তুতির অভাবে বিলম্বিত হচ্ছে। অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ভারতীয় অনুমোদনের দীর্ঘসূত্রিতা
- ভারতীয় পরামর্শক নিয়োগের বাধ্যবাধকতা
- ভারতীয় ঠিকাদারদের বাধ্যতামূলক ব্যবহার, যা দক্ষ ঠিকাদার পেতে সমস্যা তৈরি করছে
- শুরুর নিয়ম: প্রথম অর্থছাড়ের পরপরই পরিশোধ সময় গণনা শুরু হয়
পরিশোধের চ্যালেঞ্জ

- দ্বিতীয় এলওসির পরিশোধ সময় ২০৩৮ সালে শেষ হবে, কিন্তু এখনো অনেক ঋণ বিতরণ হয়নি।
- তৃতীয় এলওসির জন্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সুদ ও প্রতিশ্রুতি ফি পরিশোধ করছে, তবে কোনো প্রকল্প সম্পন্ন হয়নি।
প্রকল্প পর্যালোচনা
- বাদ দেওয়া প্রকল্পগুলোর জন্য যৌথ প্রযুক্তিগত কমিটি পর্যালোচনা করবে এবং প্রস্থান কৌশল নির্ধারণ করবে।
ভারতীয় পণ্য ক্রয়ের বাধ্যবাধকতা হ্রাস
- ভারতের ৭৫% বাধ্যতামূলক পণ্য ক্রয় শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
- নির্মাণ প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা ৬৫% পর্যন্ত কমানো হয়েছে।
- ভারত ভবিষ্যতে আরও শিথিলতার বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে।
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এলওসি প্রকল্প’র ১১টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। নতুন নীতির আওতায় “আম্ব্রেলা-ভিত্তিক” প্রকল্প বাতিল এবং ভারতীয় পণ্য ক্রয়ের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে।
Leave a Reply