সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- মোটরসাইকেলটি প্রাথমিকভাবে প্রদর্শনীর জন্য তৈরি করা হয়েছে
- ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রকল্পটি শুরু হয় এবং প্রায় ৪০ জন তরুণ প্রকৌশলী এই প্রকল্পে কাজ করছেন
- মোটরসাইকেলটি করাইডন চরিত্রের মতো উজ্জ্বল লাল রঙের এবং এটি ২.৫ মিটার লম্বা ও ৩০০ কিলোগ্রামের বেশি ওজনের
- এই বহুমুখী দক্ষতা কাজে লাগিয়ে জাপানি উৎপাদন খাত বিশ্ব মঞ্চে প্রতিযোগিতা করতে পারবে বলে হোন্ডা মনে করে
হোন্ডা মোটর সম্প্রতি জনপ্রিয় পোকেমন মিডিয়া ফ্র্যাঞ্চাইজের চরিত্র করাইডন-এর আদলে একটি প্রোটোটাইপ মোটরসাইকেল উন্মোচন করেছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল শিশুদের মধ্যে হোন্ডা এবং জাপানের বৃহত্তর উৎপাদন খাতের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো।
করাইডন-অনুপ্রাণিত মোটরসাইকেলের বৈশিষ্ট্য
ডিজাইন ও প্রযুক্তি:
এই মোটরসাইকেলটি করাইডন চরিত্রের উজ্জ্বল লাল রঙ অনুসারে তৈরি হয়েছে, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ২.৫ মিটার এবং ওজন ৩০০ কিলোগ্রামের বেশি।
স্বয়ংক্রিয় ভারসাম্য রক্ষা:
হোন্ডার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি নিজে নিজে সোজা হয়ে দাঁড়াতে সক্ষম। মোটরসাইকেলের দুই চাকার চারপাশে চারটি “পা” রয়েছে, যা বিশেষ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়, করাইডনের গতিবিধি অনুকরণ করতে সক্ষম।
নতুন প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ানো ও জাপানের উৎপাদন খাত
জাপানের শিল্প খাতে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নতুন প্রজন্মের উৎপাদন শিল্পের প্রতি আগ্রহের অভাব এবং বিদেশি প্রতিযোগিতার বৃদ্ধি।
শিল্প প্রতিযোগিতা ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ:
হোন্ডার প্রকল্প প্রধান জুনিচি সাকামোটো বলেন,
“আগে প্রতিযোগিতা মূলত জাপান, ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এখন ভারত ও চীনের নির্মাতারাও বড় অগ্রগতি করছে। জাপানি নির্মাতাদের টিকে থাকা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।”
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বর্তমান অবস্থা:
এই মোটরসাইকেলটি মূলত প্রদর্শনীর জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবে উন্নয়ন দল আশা করছে, এই গ্রীষ্মের মধ্যে এটি ঘণ্টায় ১০ কিমি গতিতে চলতে পারবে।
উন্নয়ন প্রক্রিয়া:
শুরু: ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রকল্পটি শুরু হয়।
প্রকৌশলী দল: প্রায় ৪০ জন তরুণ প্রকৌশলী এই প্রকল্পে কাজ করছেন।
বিভাগ: মূলত মোটরসাইকেল, পাওয়ার ও মেরিন পণ্য বিভাগ থেকে প্রকৌশলীরা যুক্ত রয়েছেন।
হোন্ডার বহুমুখী উৎপাদন দক্ষতা
সাকামোটো বলেন,
“কয়েকটি কোম্পানিই রয়েছে যারা মোটরসাইকেল, অটোমোবাইল, রোবোটিক্স এবং উন্নত প্রযুক্তি সব ক্ষেত্রেই দক্ষ। হোন্ডার এই বহুমুখী দক্ষতা আরও বাড়ানো গেলে, আমি বিশ্বাস করি যে জাপানি উৎপাদন খাত এখনও বিশ্ব মঞ্চে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।”