রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইউরোপ-মধ্য এশিয়ার ধীরগতির প্রবৃদ্ধি ঠেকাতে উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন দরকার এই অর্থবছরের ছয় মাসে বেকার ৪% শ্রমিক, শিল্পে যন্ত্রপাতি আমদানি-ঋণপত্র কমেছে ৩০% বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে চায় পাকিস্তান: আসিফ ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের দামে আবারও শীর্ষে বাংলাদেশ ঝিলাম নদীতে হঠাৎ পানি ছাড়ায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে আতঙ্ক ৯/১১–এর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে শুনানি চান মার্কিন সিনেটর পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের স্মৃতিকথা (পর্ব-১৭৮) ট্রাম্প পুরো একটি মহাদেশকে উপেক্ষা করতে প্রস্তুত আট মাসে ২৪ নতুন দল, রাজনীতিতে কৌতূহল পাহালগামের অতল সঙ্কট

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন

  • Update Time : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৬.০৩ পিএম

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম পর্যায়ে নেমে এসেছে
  • খেলাপি ঋণের ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংকগুলো কঠোর শর্ত আরোপ করছে, যা ঋণ প্রাপ্তি কঠিন করে তুলেছে
  • সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করলে দেশের অর্থনীতি দ্রুত টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে আসবে বলে প্রত্যাশা করা যায়

বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি সাম্প্রতিক সময়ে এক দশকের তুলনায় সবচেয়ে কম পর্যায়ে নেমে এসেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশে-বিদেশে তৈরি হওয়া বহুমুখী চ্যালেঞ্জের কারণে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা সতর্ক হয়ে পড়েছেন। এ কারণেই ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ঋণ গ্রহণের আগ্রহ আগের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে।

মূল বিষয়বস্তু

  • বিনিয়োগের ধীরগতি
    অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও তুলনামূলকভাবে বেশি সুদের হার অনেক উদ্যোক্তাকে নতুন বিনিয়োগ প্রকল্পের পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে বাধ্য করছে।
  • ব্যাংকের সতর্ক অবস্থান
    অতি সতর্কতার অংশ হিসেবে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ঝুঁকি এড়াতে কঠোর শর্ত আরোপ করছে। ফলে আগে যেখানে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যেত, এখন তার পরিমাণ বেশ কমে গেছে।
  • আস্থার ঘাটতি
    রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীলতা ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বিধা সৃষ্টি করেছে। এর ফলে ঋণগ্রহণের প্রবণতায় স্পষ্ট পতন দেখা যাচ্ছে।

পরিস্থিতির বিশ্লেষণ

এই নিম্নমুখী প্রবণতা শুধু বিনিয়োগের গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে না; কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সামগ্রিক গতিপ্রবাহকেও ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সুদের হার সহনীয় রাখতে হবে, নীতিমালায় স্থিতিশীলতা আনতে হবে এবং উদ্যোক্তাদের যথাযথ অনুপ্রেরণা ও সুযোগ দিতে হবে। এ সকল পদক্ষেপ নিলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি আবারও পুনরুজ্জীবিত হওয়া সম্ভব।

উপসংহার

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির এই নিম্ন হার দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কসংকেত। অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক মহলে সমন্বিত উদ্যোগ এবং বাস্তবসম্মত নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করলে দেশের অর্থনীতি দ্রুত টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে আসবে বলে প্রত্যাশা করা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024