১২:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৬)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • 47

প্রদীপ কুমার মজুমদার

আমরা পূর্বেই বলেছি স্থানীয়মান সহকারে সংখ্যাপাতন পদ্ধতি নিঃসন্দেহে মানব-জাতির একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার। তবে এটি কে, কবে এবং কোন জাতি আবিষ্কার করেছিলেন তা নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত আমরা এ ব্যাপারে কিছুটা অন্ধকারে রয়েছি।

যাই হোক, যতটুকু আমরা জানতে পেরেছি তা থেকে বলা যায় এই পদ্ধতিটি হিন্দু আরবীয় সংখ্যাপাতন পদ্ধতি এবং এই সূত্র থেকেই বলা যায় এটি ভারতীয় এবং আরবীয়রাই আবিষ্কার করেছেন। তবে এ মত সকলের নয়। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন ভারতীয়র।

এ পদ্ধতি একদিনে বের করেননি অথবা কোন একজন নির্দিষ্ট ভারতীয় গণিতবিদ এটি আবিষ্কার করেননি। এটি বহু শতাব্দী ধরে বহু গণিতবিদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে উদ্ভূত। গাঁজ (Gandz) প্রমুখ পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা মনে করেন সম্ভবতঃ গণনা ফলকের (Abacus) এর লম্বসারির (বা স্তম্ভ বা Column) ধারনা থেকে ভারতীয়রা দশ এবং দশগুণোত্তর রাশির নামকরণ করেছিলেন। বুবনভ ও ক্যে কিছুতেই প্রথম আবিষ্কর্ত।

হিসাবে ভারতীয়দের স্থান দিতে নারাজ এবং এক্ষেত্রে ইউরোপকে আবিষ্কর্তার আসনে বসাতে চান। কিন্তু সুখের কথা ক্যে প্রমুখের মত পরবর্তীকালে গ্রাহ হয় নি পরন্তু ভারতীয়রাই এই পদ্ধতির আবিষ্কারক বলে পরবর্তীকালে সুদৃঢ় মত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৫)

জনপ্রিয় সংবাদ

নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন”

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৬)

০৩:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

আমরা পূর্বেই বলেছি স্থানীয়মান সহকারে সংখ্যাপাতন পদ্ধতি নিঃসন্দেহে মানব-জাতির একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার। তবে এটি কে, কবে এবং কোন জাতি আবিষ্কার করেছিলেন তা নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত আমরা এ ব্যাপারে কিছুটা অন্ধকারে রয়েছি।

যাই হোক, যতটুকু আমরা জানতে পেরেছি তা থেকে বলা যায় এই পদ্ধতিটি হিন্দু আরবীয় সংখ্যাপাতন পদ্ধতি এবং এই সূত্র থেকেই বলা যায় এটি ভারতীয় এবং আরবীয়রাই আবিষ্কার করেছেন। তবে এ মত সকলের নয়। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন ভারতীয়র।

এ পদ্ধতি একদিনে বের করেননি অথবা কোন একজন নির্দিষ্ট ভারতীয় গণিতবিদ এটি আবিষ্কার করেননি। এটি বহু শতাব্দী ধরে বহু গণিতবিদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে উদ্ভূত। গাঁজ (Gandz) প্রমুখ পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা মনে করেন সম্ভবতঃ গণনা ফলকের (Abacus) এর লম্বসারির (বা স্তম্ভ বা Column) ধারনা থেকে ভারতীয়রা দশ এবং দশগুণোত্তর রাশির নামকরণ করেছিলেন। বুবনভ ও ক্যে কিছুতেই প্রথম আবিষ্কর্ত।

হিসাবে ভারতীয়দের স্থান দিতে নারাজ এবং এক্ষেত্রে ইউরোপকে আবিষ্কর্তার আসনে বসাতে চান। কিন্তু সুখের কথা ক্যে প্রমুখের মত পরবর্তীকালে গ্রাহ হয় নি পরন্তু ভারতীয়রাই এই পদ্ধতির আবিষ্কারক বলে পরবর্তীকালে সুদৃঢ় মত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৫)