০৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর গলাচিপায় খাস জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২৪ রান্নাঘর বাজার: পেঁয়াজের দাম ১১৫, ইলিশ এখনও নাগালের বাইরে ভারত চীন সীমান্তের কাছে নতুন সামরিক ঘাঁটি উদ্বোধন: কৌশলগত সক্ষমতা আরও জোরদার আগে গণভোট, ছাড়া সংসদ নির্বাচনে যাবে না জামায়াত উমর নাবির শেষ দিনের রহস্য: তদন্তে উঠে আসছে নতুন নতুন সূত্র মালয়েশিয়ার পাম অয়েল এত বেশি কেন ব্যবহার হয়? ইসলামাবাদে আত্মঘাতী হামলার পর চরম সতর্কতা—নিরাপত্তা ঘিরে আতঙ্কে নাগরিকরা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না: যুক্তরাজ্যকে জানালেন অধ্যাপক ইউনূস আফগানিস্তানে ভয়াবহ মানবিক সংকট—ক্ষুধা, ঋণ ও সেবাবঞ্চনায় বিপর্যস্ত ৯০% পরিবার পূর্ব আফ্রিকার মানুষের ক্ষমতায়নে  অবদানের জন্য  সুলতানের মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৬)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • 48

প্রদীপ কুমার মজুমদার

আমরা পূর্বেই বলেছি স্থানীয়মান সহকারে সংখ্যাপাতন পদ্ধতি নিঃসন্দেহে মানব-জাতির একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার। তবে এটি কে, কবে এবং কোন জাতি আবিষ্কার করেছিলেন তা নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত আমরা এ ব্যাপারে কিছুটা অন্ধকারে রয়েছি।

যাই হোক, যতটুকু আমরা জানতে পেরেছি তা থেকে বলা যায় এই পদ্ধতিটি হিন্দু আরবীয় সংখ্যাপাতন পদ্ধতি এবং এই সূত্র থেকেই বলা যায় এটি ভারতীয় এবং আরবীয়রাই আবিষ্কার করেছেন। তবে এ মত সকলের নয়। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন ভারতীয়র।

এ পদ্ধতি একদিনে বের করেননি অথবা কোন একজন নির্দিষ্ট ভারতীয় গণিতবিদ এটি আবিষ্কার করেননি। এটি বহু শতাব্দী ধরে বহু গণিতবিদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে উদ্ভূত। গাঁজ (Gandz) প্রমুখ পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা মনে করেন সম্ভবতঃ গণনা ফলকের (Abacus) এর লম্বসারির (বা স্তম্ভ বা Column) ধারনা থেকে ভারতীয়রা দশ এবং দশগুণোত্তর রাশির নামকরণ করেছিলেন। বুবনভ ও ক্যে কিছুতেই প্রথম আবিষ্কর্ত।

হিসাবে ভারতীয়দের স্থান দিতে নারাজ এবং এক্ষেত্রে ইউরোপকে আবিষ্কর্তার আসনে বসাতে চান। কিন্তু সুখের কথা ক্যে প্রমুখের মত পরবর্তীকালে গ্রাহ হয় নি পরন্তু ভারতীয়রাই এই পদ্ধতির আবিষ্কারক বলে পরবর্তীকালে সুদৃঢ় মত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৫)

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় খাস জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২৪

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৬)

০৩:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

আমরা পূর্বেই বলেছি স্থানীয়মান সহকারে সংখ্যাপাতন পদ্ধতি নিঃসন্দেহে মানব-জাতির একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার। তবে এটি কে, কবে এবং কোন জাতি আবিষ্কার করেছিলেন তা নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত আমরা এ ব্যাপারে কিছুটা অন্ধকারে রয়েছি।

যাই হোক, যতটুকু আমরা জানতে পেরেছি তা থেকে বলা যায় এই পদ্ধতিটি হিন্দু আরবীয় সংখ্যাপাতন পদ্ধতি এবং এই সূত্র থেকেই বলা যায় এটি ভারতীয় এবং আরবীয়রাই আবিষ্কার করেছেন। তবে এ মত সকলের নয়। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন ভারতীয়র।

এ পদ্ধতি একদিনে বের করেননি অথবা কোন একজন নির্দিষ্ট ভারতীয় গণিতবিদ এটি আবিষ্কার করেননি। এটি বহু শতাব্দী ধরে বহু গণিতবিদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে উদ্ভূত। গাঁজ (Gandz) প্রমুখ পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা মনে করেন সম্ভবতঃ গণনা ফলকের (Abacus) এর লম্বসারির (বা স্তম্ভ বা Column) ধারনা থেকে ভারতীয়রা দশ এবং দশগুণোত্তর রাশির নামকরণ করেছিলেন। বুবনভ ও ক্যে কিছুতেই প্রথম আবিষ্কর্ত।

হিসাবে ভারতীয়দের স্থান দিতে নারাজ এবং এক্ষেত্রে ইউরোপকে আবিষ্কর্তার আসনে বসাতে চান। কিন্তু সুখের কথা ক্যে প্রমুখের মত পরবর্তীকালে গ্রাহ হয় নি পরন্তু ভারতীয়রাই এই পদ্ধতির আবিষ্কারক বলে পরবর্তীকালে সুদৃঢ় মত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৫)